‘খেলার সময় ব্যাটসম্যানদের চোখে তো ক্যামেরা থাকে না’

বিস্ময়কর সব কাটার নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এসে শুরুতেই বাজিমাত করেছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। কদিন পরই তাকে পড়তে হয়েছে প্রযুক্তির কাঁটাছেড়ার নিচে। তাকে খেলার টোটকা ঠিকই বের করে ফেলেছে দলগুলো। কিন্তু রশিদ খানের বেলায় যেন প্রযুক্তিও ফেল। শুরু থেকেই একই ধার নিয়ে ব্যাটসম্যানদের বোকা বানিয়ে চলেছেন এই লেগ স্পিনার।

বিস্ময়কর সব কাটার নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এসে শুরুতেই বাজিমাত করেছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। কদিন পরই তাকে পড়তে হয়েছে প্রযুক্তির কাঁটাছেড়ার নিচে। তাকে খেলার টোটকা ঠিকই বের করে ফেলেছে দলগুলো। কিন্তু রশিদ খানের বেলায় যেন প্রযুক্তিও ফেল। শুরু থেকেই একই ধার নিয়ে ব্যাটসম্যানদের বোকা বানিয়ে চলেছেন এই লেগ স্পিনার।

বৃহস্পতিবার ছিল রশিদের জন্মদিন। এদিন ব্যাট হাতে ৩২ বলে ৫৭ রান করার পর বোলিংয়ে এসে ঠিকই গোল খাইয়েছেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের। এত এত প্রযুক্তির তার উপর নজর রাখলেও এটা নাকি উপভোগই করেন এই লেগ স্পিনার, ‘আমি এটা উপভোগ করি। এই যে ভিডিওসহ আরও প্রযুক্তি আসছে, আমি এসব উপভোগ করি। দেখি এসবে কতটা কাজ হয় এবং কিভাবে ক্রিকেটাররা পরিকল্পনা করে। জুম করে ভিডিও দেখা হচ্ছে। কিন্তু খেলার সময় ব্যাটসম্যানের চোখে তো ক্যামেরা থাকে না। যতোই তাকে জুম করে দেখিয়ে দিন, মাঠে গিয়ে খালি চোখেই দেখতে হয়।’

রশিদের সহজাত প্রতিভা অন্য লেগ স্পিনার থেকে আলাদা। তিনি যে গতিতে গুগলি মারেন তা পিক করা বেশ কঠিন যেকোনো ব্যাটসম্যানের জন্যই। নিজের এই বিশেষত্ব বেশ তৃপ্তির সঙ্গে জানালেন তিনি, ‘আমি যে গতিতে বল করি, সেটা আমাকে বাড়তি সুবিধা দেয়। ‘কুইক আর্ম অ্যাকশন’ আমাকে অনেক সাহায্য করে। আমি ভিডিওকে খুব বেশি গুরুত্ব দেই না। ব্যাটসম্যানরা এসব দেখে, সেটি আমি উপভোগ করি। এসব থেকে আমি নিজেও শিখি। আর নেটে আমি সবসময়ই আলাদা কিছু অনুশীলন করেই চলেছি। ম্যাচে সেগুলো দেখাইনি অবশ্য, এখনও কাজ করে চলছি।’

৪৯ ম্যাচে ১১২ উইকেট নিয়ে ওয়ানডেতে মোহাম্মদ নবীর সঙ্গে আফগানিস্তানের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি বনে গেছেন। এটা অবশ্য সময়ের ব্যাপারই ছিল। কারণ গড়ে প্রতি ১৪.০৬ রান দিয়ে তুলছেন একটি করে উইকেট। প্রায় অবিশ্বাস্য বোলিং গড় তাকে আপাতত করে রেখেছে অনন্য।

Comments

The Daily Star  | English
Bangladeshi-Americans eager to help build new Bangladesh

July uprising and some thoughts of Bangladeshi-Americans

NRBs gathered in New Jersey showed eagerness to assist in the journey of the new Bangladesh forward.

11h ago