‘আমরা কেউই কিন্তু বীর পালোয়ান ছিলাম না’
তরণ ক্রিকেটাররা পারফর্ম করতে পারছেন না। দলকে টানছেন সেই পুরনোরাই। বাংলাদেশ ক্রিকেটে বেশ অনেকদিন থেকেই চলছে এই নিয়ে হাহাকার, হচ্ছে বিস্তর সমালোচনা। তবে তরুণ ক্রিকেটারদের এভাবে শূলে চড়ানো ঠিক পছন্দ হচ্ছে না সাকিব আল হাসানের।
এশিয়া কাপ ছিল বেশ কয়েকজন তরুণ ক্রিকেটারের নিজেকে মেলে ধরার মঞ্চ। তামিম ইকবাল চোটে পড়ে ছিটকে যাওয়ায় দুই ওপেনার লিটন দাস ও নাজমুল হোসেন শান্তর সামনে ছিল বড় সুযোগ। কিন্তু তা কাজে লাগানোর ধারেকাছেও যেতে পারেননি তারা। তাদের দলে থাকা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।
তবে এত তাড়াতাড়ি ধৈর্যচ্যুতি সাকিবের কাছে তরুণদের উলটো চাপই দিচ্ছে। এমনকি ক্যারিয়ারের প্রথম দিকে এখানকার সিনিয়ররাও আহামরি কিছু করেননি বলে মত সাকিবের, ‘আমরা ওদের উপর অল্প সময়ে এতো বেশি চাপ দিয়ে ফেলি, ওদের জন্য ভালো করার সম্ভাবনাটা আরও কমে যায়। যে ৪/৫ জনের কথা আপনারা বলছেন, আমরা কেউই কিন্তু বীর পালোয়ান ছিলাম না। শেষ ৪ বছরের ক্যারিয়ার দেখছেন, এর আগের ৬/৭ বছর ক্রিকেট খেলছি, আমরাই বা কতখানি ভালো ক্রিকেট খেলেছি।’
সাকিবের মতে তরুণ ক্রিকেটাররা সবার চাপে থিতু হতে পারছেন না, পরিস্থিতিতে শেখার জন্য পাচ্ছেন না যথেষ্ট সময়, ‘নতুন নতুন পরিস্থিতিতে পড়তে পড়তে মানুষ যখন শিখবে তখন তার ভালো করা সম্ভব। আমরা ওদেররকে ওই সুযোগ হয়তো দিতে পারছি না সেভাবে। ওদের জন্য কঠিন, এই পরিস্থিতিতে পারফরম্যান্স করা।’
গত বিশ্বকাপের পর ঘরের মাঠে তিন সিরিজে এই তরুণরাই মুন্সিয়ানা দেখিয়েছিলেন, দলও দেখাতে পেরেছিল দাপট। কীসের ঘাটতিতে এই জায়গা নড়ে গেল তা খুঁজার চেষ্টায় সাকিব, ‘হয়তো আরও একটু বেশি করতে পারলে ভালো হতো। যখন ওরা ভালো করেছে, তখন আমাদের দলটা ভালো করেছে। খেয়াল করে যদি দেখেন, ভারত, পাকিস্তান কিংবা দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে যখন সিরিজ জিতেছি তখন ওদের অবদান কিন্তু ভালো ছিল। এ কারণে আমাদের পারফরম্যান্সের লেভেলটা উপরে ছিল। ওটার ধারাবাহিকতা যদি আমরা ধরে রাখতে পারতাম, তাহলে আরও বেশি ভালো হতো। সেটা হয়নি। সেটা থেকে এখন ওভারকাম করতে হবে। সে জায়গাগুলো খুঁজে বের করতে হবে।’
Comments