‘এমন জয় দারুণ তৃপ্তির’

তীরে গিয়ে তরী ডুববে। এমনটা প্রায় স্বাভাবিক ঘটনা টাইগারদের জন্য। উদাহরণ আছে ভুরিভুরি। ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি যেন আবারও হচ্ছিল। এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হারের খুব কাছেই ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সেখান থেকে রোমাঞ্চকর এক জয় ছিনিয়ে আনে টাইগাররা। ঘটনাটা যেন পুরোই উল্টে যায়।

তীরে গিয়ে তরী ডুববে। এমনটা প্রায় স্বাভাবিক ঘটনা টাইগারদের জন্য। উদাহরণ আছে ভুরিভুরি। ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি যেন আবারও হচ্ছিল। এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হারের খুব কাছেই ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সেখান থেকে রোমাঞ্চকর এক জয় ছিনিয়ে আনে টাইগাররা। ঘটনাটা যেন পুরোই উল্টে যায়।

আগের দিন বাংলাদেশের বিপক্ষে শেষ ওভারে আফগানদের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৮ রানের। হাতে ছিল চার উইকেট। উইকেটে ছিলেন সেট ব্যাটসম্যান সামিউল্লাহ শেনওয়ারিও। প্রথম বলে ২ রানও নিয়ে ফেলেন রশিদ খান। ৫ বলে তখন দরকার তাদের ৬ রান। পরাজয়টা খুব কাছ থেকেই দেখছিল বাংলাদেশ।

ঠিক তখনই শুরু হয় কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমানের জাদু। পরের বলেই আউট রশিদ খান। এরপর দারুণ সব কাটারে পরাস্ত শেনওয়ারির মতো ব্যাটসম্যানও। তাতেই আসে শ্বাসরুদ্ধকর এক জয়। বার বার কাছে গিয়ে হার দেখাটা যেখানে অভ্যাসে পরিণত টাইগারদের জন্য সেখানে এমন জয়ের অনুভূতিটা ছিল ভিন্ন রকম।

ম্যাচ শেষে সে অনুভূতিটা আটকে রাখতে পারেননি টাইগাররা। মাহমুদউল্লাহর ভাষায়, ‘এমন ম্যাচ জেতার অনুভূতি কখনোই প্রকাশ করা যায় না। বাংলাদেশের হয়ে যে কোনো সংস্করণে যে কোনো ম্যাচ জয়ই ভালো লাগার। তবে বেশি ভালো লাগছিল যে আমরা অনেকবারই ৬ বলে ৮ বা ৯ রান করতে পারিনি। আজকে আমাদের বোলাররা এটা ডিফেন্ড করেছে। এটা দারুণ তৃপ্তির।’

খুব বেশি আগের কথা নয়। এইতো কদিন আগেই শ্রীলঙ্কায় নিদাহাস ট্রফির ফাইনালে জয়ের পথে থেকে হেরেছে বাংলাদেশ। এমন গল্প তো টাইগার ক্রিকেটের সূচনা থেকেই শুরু। সেই ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের হাতের মুঠোয় থাকা ট্রফি কেড়ে নিয়েছেন মুরালিধরনের মতো ব্যাটসম্যান। তাই আফগানদের বিপক্ষে জয়ের আগ পর্যন্ত বিশ্বাস ছিল না টাইগারদের।

ম্যাচ জিতবেন এমন ভাবনাটা কখন আসে মাহমুদউল্লাহর মাথায়? এমন প্রশ্নে তার উত্তর, ‘সম্ভবত, শেষ বলটির পরই। কারণ ব্যবধান ছিল খুবই কম। ওরা খুব ভালো খেলছিল, ভালো জুটি গড়েছিল, স্নায়ুকেও বশে রেখেছিল। তবে শেষ পর্যন্ত আমরাই জিতেছি। মোস্তাফিজ দারুণ বোলিং করেছে। সব বোলারই ভালো করেছে, ম্যাশ, সাকিব, মিরাজ সবাই। মোস্তাফিজকে তবু আলাদা কৃতিত্ব দিতে হবে। ক্র্যাম্প নিয়েও দারুণ করেছে।’

এমন জয়কে তৃপ্তির বলেছেন মাহমুদউল্লাহ। স্বস্তিরও। কারণ এখান থেকেই হয়তো শুরু হতে পারে নতুন গল্প।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

7h ago