ছোট ছোট দল, বড় বড় জোট

নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক জোট নতুন কিছু নয়। ২০০৮ এর নির্বাচনের আগেও এমন চিত্র দেখা গেছে। এবার প্রথমে জোট করে আলোচনায় এসেছে বাম রাজনৈতিক দলগুলো। তারপর আলোচনায় এলো যুক্তফ্রন্ট- জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে জোটকেন্দ্রীক রাজনীতি নিয়ে কিছু কথা।
শনিবার রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার নাগরিক সমাবেশে বাম দিক থেকে বিএনপির নেতা মওদুদ আহমেদ, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা মইনুল হোসেন, বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জেএসডির সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, বিএনপির নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী। ছবি: আমরান হোসেন

নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক জোট নতুন কিছু নয়। ২০০৮ এর নির্বাচনের আগেও এমন চিত্র দেখা গেছে। এবার প্রথমে জোট করে আলোচনায় এসেছে বাম রাজনৈতিক দলগুলো। তারপর আলোচনায় এলো যুক্তফ্রন্ট- জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে জোটকেন্দ্রীক রাজনীতি নিয়ে কিছু কথা।

১. ভোটের রাজনীতিতে বাম রাজনৈতিক দলগুলো গুরুত্বপূর্ণ নয়। ন্যায্য দাবি প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে তাদের একটা গুরুত্ব আছে। তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির ব্যানারে আন্দোলন সংগ্রাম করে তা প্রমাণ করেছে বাম দলগুলো। সাম্প্রতিক জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিবাদ- আন্দোলনেও তাদের ভূমিকা ছিল। সেই বাম দলগুলো একত্রিত হয়ে একটি জোট করেছে।

জোট গঠনের পরের দিনই, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সিপিবি কার্যালয়ে গিয়ে দেখা করলেন মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমের সঙ্গে। রাজনৈতিক বিশ্লেষণে বিষয়টি তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা হিসেবেই দেখা হচ্ছে।

রাজনীতিতে সাধারণ ধারণা, সিপিবিসহ বাম রাজনৈতিক দলগুলো আওয়ামী লীগের প্রতি সহানুভূতিশীল। বক্তব্যে কিছু বিরোধিতা করলেও, আওয়ামী লীগের পক্ষে থাকা ছাড়া তাদের উপায় নেই, এমনটাই ধারণা করা হয়। কিন্তু জোট করে তারা যখন সুনির্দিষ্ট পাঁচ দফা দাবি নিয়ে কথা বলতে শুরু করেন, তখন আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব কিছুটা দ্বিধায় পড়ে যান। যদিও সিপিবির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এখনও আওয়ামীলীগের দিকে কিছুটা ঝুঁকে থাকলেও, ছাত্র ইউনিয়ন ও মাঠ পর্যায়ের নেতৃত্বের আওয়ামী সরকারবিরোধী অবস্থান বেশ কঠোর বলেই মনে হচ্ছে। কারণ তারা গত কয়েক বছর একনাগারে ছাত্রলীগের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।

২. ড. কামাল হোসেন, বি. চৌধুরী, আ স ম আব্দুর রব, মাহমুদুর রহমান মান্না- যুক্তফ্রন্ট ও জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতা মূলত এই চারজন। ডা. জাফরউল্লাহ্ চৌধুরী, সাবেক ডাকসু ভিপি সুলতান মুহাম্মদ মনসুর, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনসহ আরও অনেকে আছেন।

ড. কামাল আওয়ামী লীগ থেকে বের হয়ে গণফোরাম, বি. চৌধুরী বিএনপি থেকে এসে বিকল্প ধারা করেছিলেন। সাবেক ডাকসু ভিপি মাহমুদুর রহমান মান্না আওয়ামী লীগে গিয়েছিলেন। বের হয়ে এসে নাগরিক ঐক্য করেছেন। জাসদের একটি অংশের নেতা আ স ম আব্দুর রব। এদের কারও রাজনৈতিক দলের সাংগঠনিক ভিত্তি শক্ত নয়। ভোটের রাজনীতিতে তারা কেউ বা তাদের কারও দল গুরুত্বপূর্ণ নয়।

যুক্তফ্রন্ট গঠনকে প্রধানমন্ত্রীসহ আওয়ামী লীগের নেতারা প্রথমে স্বাগত জানিয়েছেন। জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার প্রথম সভা ও সেখানে বিএনপি যোগ দেওয়ার পর বিষয়টি আর ভালোভাবে দেখছে না সরকার। তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যের পাশাপাশি, ষড়যন্ত্রকারী ও দুর্নীতিবাজদের সঙ্গে জোট করার অভিযোগ আনা হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে।

৩. যুক্তফ্রন্ট গঠন প্রক্রিয়া চলাকালীনই আলোচনায় ছিল, বড় রাজনৈতিক দল বিএনপির সঙ্গে তাদের যোগাযোগের বিষয়টি। যুক্তফ্রন্ট এবং বিএনপি উভয়েই উভয়কে সঙ্গে বা কাছে পেতে চায়, এক সঙ্গে জোট না হলেও। বিএনপি বাম জোটকেও আস্থায় রাখতে চায়। বাম জোট বিএনপি বা আওয়ামী লীগের সঙ্গে যাবে না বললেও, এখনকার মূল যে দাবি তা প্রায় হুবহু এক। সুষ্ঠু নির্বাচন, নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙে দেওয়া, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন-  বাম জোট-যুক্তফ্রন্ট ও জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া-বিএনপি, সবার একই রকম দাবি। জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার প্রথম সভায় বিএনপি মহাসচিবসহ নেতাদের অংশগ্রহণ তাদেরকে অনেকটাই কাছাকাছি নিয়ে এসেছে।

৪. বাংলাদেশের রাজনীতি এখন এক ভিন্ন বাস্তবতায় এসে পৌঁছেছে। ফলে বাম জোট, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া ও বিএনপির নীতি- আদর্শ সম্পূর্ণ ভিন্ন হওয়া সত্ত্বেও, তারা কাছাকাছি চলে এসেছে। যা গুরুত্বহীন বা তুচ্ছ- তাচ্ছিল্য করে উড়িয়ে দেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। সরকার সম্ভবত এমন পরিস্থিতির জন্যে প্রস্তুত ছিল না। তাদের কিছুটা ক্ষুব্ধ- অস্বস্তিকর মন্তব্য তেমনটাই ইঙ্গিত দেয়।

একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্যে নিরপেক্ষ ‘নির্বাচনকালীন সরকার’র কথা এতদিন বিএনপি বলছিল। এখন বাম জোট, যুক্তফ্রন্ট- জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়াও বলছে। নাগরিক সমাজ বলছে। আওয়ামী লীগ খুব দক্ষতার সঙ্গে বিরোধী দল বিএনপিকে কোণঠাসা করে রাখতে সক্ষম হয়েছে। ফলে কোণঠাসা বিএনপি কোনো দাবি জোরালোভাবে সামনে আনতে পারেনি। বিএনপির যেকোনো দাবিকে আওয়ামী লীগ সরকার তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়েছে সব সময়। বাম জোট এবং যুক্তফ্রন্টও একই কথা বলায়, এখন তা উড়িয়ে দেওয়া সম্ভব নাও হতে পারে।

বিশেষ করে আন্তর্জাতিক অঙ্গনের একটা চাপ সরকার ভেতরে ভেতরে অনুভব করবে। সব বিরোধী পক্ষ যদি একই রকমের কথা বলে, দেশের জনমতেও তার একটা প্রভাব পড়তে পারে।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচন ও পরের স্থানীয় সরকারের নির্বাচনগুলো মানুষ দেখেছেন। নির্বাচন কমিশন বা সরকার যাই বলুক, দেশের মানুষ বাস্তবতাটা উপলব্ধি করেছে। একটি সুষ্ঠু নির্বাচন এখন দেশের মানুষ প্রত্যাশা করেন। জনপ্রত্যাশা অনুযায়ী সম্মিলিতভাবে দাবি যদি সামনে আসে, সরকারকে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হতে পারে।

৫. বিএনপি জোট থেকে জামায়াতকে বাদ দিতে হবে, এটা আওয়ামী লীগসহ অনেকেই দীর্ঘদিন ধরেই বলে এসেছে। যুক্তফ্রন্ট-জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতাদের বক্তব্যও এমন। এতদিন বিএনপি এ বিষয়ে জোর দিয়ে জামায়াতকে ছাড়ার বিষয়টি না ভাবলেও, এখন কৌশলী হচ্ছে বলেই প্রতীয়মান।

২০ দলীয় জোটকে আলাদা রেখে বিএনপি জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে চায়। কিন্তু জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার প্রথম যৌথ ঘোষণায় বলা হয়েছে, ‘প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ স্বাধীনতাবিরোধী রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তিরা ছাড়া এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী রাজনৈতিক দল, সামাজিক শক্তি ও নাগরিক সমাজ এই ঐক্য প্রক্রিয়ায় আসতে পারবে।’

‘পরোক্ষ’ শব্দটিকে কেন্দ্র করে ঐক্য প্রক্রিয়া বড় রকমের জটিলতায় আটকে যেতে পারে।

বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে ২০ দলীয় জোট থেকে জামায়াতকে বাদ দিবে, সেই সম্ভাবনা খুবই কম। ফলে ‘পরোক্ষ’ শব্দটি জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ায় অন্তরায় হিসেবে দেখা দিতে পারে।

বিএনপি জামায়াতকে আড়ালে রেখে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে চায়। জামায়াত নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল না হওয়ায় তাদের স্বতন্ত্র নির্বাচন করতে হবে। আনুষ্ঠানিক ঘোষণা বা সমঝোতা না করেই, বিএনপি সেসব আসনে ছাড় দিতে চায়। একইভাবে ছাড় দিতে চায় জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতাদের আসনগুলোতেও। এমনকি বাম নেতাদের কিছু আসনেও বিএনপি প্রার্থী নাও দিতে পারে। বিএনপি নেতৃত্বের ভাবনাটা এমনই। তবে পুরো দল এমন ভাবনার সঙ্গে একমত নয়।

বিএনপি যদি এসব আসনে নিজেদের প্রার্থী না দেয়, তৃণমূলের বিএনপি নেতৃত্বকে যদি তা বোঝাতে সক্ষম হয়, তবে বাম ও জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার বেশ কয়েকজন নেতার বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তার জন্যে নির্বাচন হতে হবে, সুষ্ঠু-গ্রহণযোগ্য-নিরপেক্ষ।

ফলে সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি, সব পক্ষ থেকেই জোরালো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পরও বিএনপির ওপর দমনপীড়ন চললে, বাম ও যুক্তফ্রন্ট- জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া যদি প্রতিবাদী ভূমিকায় থাকে, তা রাজনীতিতে ভিন্নমাত্রা যোগ করতে পারে। যুক্তফ্রন্ট- জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া ও বিএনপি নিজেরা যদি জটিলতায় আটকে না যায়, তবে জামায়াতকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিএনপিকে বিব্রত করার প্রেক্ষাপটও আগের মতো নাও থাকতে পারে। জামায়াত বিষয়ে বিএনপির কৌশল, অন্যদিকে হেফাজতের সঙ্গে সরকারের সখ্যতায় ধর্মভিত্তিক ইস্যু আগের চেয়ে দুর্বল হয়ে গেছে জাতীয়-আন্তর্জাতিক উভয় প্রেক্ষিতেই।

‘সব দুর্নীতিবাজরা এক হয়েছে’- ইস্যু হিসেবে তা কতটা গুরুত্ব পাবে, সেটাও প্রশ্নসাপেক্ষ। এখনকার দুর্নীতির অভিযোগের পাশাপাশি, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারে দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত স্বৈরাচার এরশাদ আছেন।

৬. রাজনীতির এই পর্যায়ে নিজেদের কোণঠাসা অবস্থা কিছুটা কাটছে বলে ভাবছে বিএনপি। তবে ভাবনা এত সরল নাও থাকতে পারে। অনেক ‘যদি’ ‘কিন্তু’ মোকাবিলা করতে হতে পারে বিএনপিকে। নির্বাচনকালীন সরকারের আকার একটু ছোট হলেও, প্রশাসনে তার প্রভাব কমার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। নির্বাচন কমিশন শক্ত অবস্থান নিয়ে তফসিল ঘোষণার পর প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিবে, সেই সম্ভাবনা খুবই কম। তফসিল ঘোষণার পর নতুন করে মামলা না দিলেও, বিএনপি নেতা কর্মীদের নামে হাজার হাজার মামলা আছে, এখন অজ্ঞাত পরিচয়ের আসামী উল্লেখ করে মামলা হচ্ছে। কোনো ঘটনা না ঘটলেও মামলা হচ্ছে। পুলিশের পক্ষে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পরেও এসব মামলায় বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার অভিযান পরিচালনার সুযোগ থাকবে। বলার সুযোগ থাকবে, পুলিশ আইনশৃঙ্খলা রক্ষার রুটিন দায়িত্ব পালন করছে। এর বাইরে বাম জোট এবং যুক্তফ্রন্টের পথ চলা কতটা মসৃণ হবে, তাও নিশ্চিত নয়।

যুক্তফ্রন্ট নেতাদের মাঝে পারস্পরিক মতবিরোধ বা সন্দেহ রয়ে গেছে। বি চৌধুরী, তার চেয়ে বেশি মাহী চৌধুরীকে নিয়ে নানা আলোচনা আছে। বি চৌধুরীর বাসায় জাতীয় ঐক্যের সর্বশেষ সভায় তা অনেকটা দৃশ্যমান হয়েছে।

জোটের প্রধান ড. কামাল হোসেন বিবিসির সঙ্গে সাক্ষাৎকারে বলেছেন, শেখ হাসিনার সরকারের অধীনে তারা নির্বাচনে যেতে রাজী। বলেছেন, এটা তার ব্যক্তিগত মতামত। আবার পরের দিনই বলেছেন, বিবিসিকে তিনি একথা এভাবে বলেননি।

তাতে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার ভেতরে- বাইরে আলোচনা সমালোচনা বন্ধ হয়নি।

মামলা পরিচালনার জন্যে প্রায়ই ড. কামালকে বিদেশে যেতে হয়। আগামী তিন চার মাসে তার বেশ কয়েকটি মামলার তারিখ থাকতে পারে। সেই তারিখগুলোতে তাকে ইউরোপে যেতে হতে পারে। নির্বাচনের এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার প্রধানের দেশে থাকা না থাকার বিষয়টি নিয়ে এখনই আলোচনা শুরু হয়েছে।

বাম জোটের শরীক গণসংহতির জোনায়েদ সাকীর জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সভায় যোগ দেওয়া নিয়েও জটিলতা দেখা দিয়েছে। বামজোটের টানাপড়েন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে। মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম অসন্তোষ প্রকাশ করে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথাও বলেছেন।

কিছুদিন আগে পর্যন্ত বিএনপি ভাঙার একটা জোরালো আলোচনা ছিল। তেমন সম্ভাবনা এখন আর আছে বলে মনে হচ্ছে না। তবে বাম জোট ও যুক্তফ্রন্ট ভাঙার একটা আলোচনা সামনে জোরালো হয়ে উঠতে পারে।

৭. জোটকেন্দ্রিক নির্বাচনী রাজনীতি একই সঙ্গে, আশা-শঙ্কা দু’টোই তৈরি করছে। শেষ পর্যন্ত রাজনৈতিক মেরুকরণ কেমন হবে, তা বলার সময় এখনও আসেনি। বিএনপির সমাবেশ, আওয়ামী লীগের মাঠ দখলে রাখার ঘোষণা, নির্বাচনের আগে নিজেদের সক্ষমতা প্রমাণের প্রস্তুতি হিসেবে দেখা হচ্ছে। যা স্বাভাবিক রাজনৈতিক কর্মসূচির মধ্যে সীমিত থাকবে, না অস্বাভাবিক পরিস্থিতির দিকে যাবে, তা নিশ্চিত নয়।

রাজনৈতিক দলগুলোকে স্বাভাবিক পথে রেখে, মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। নির্বাচন কমিশন কি সেই চেষ্টাটা দৃশ্যমান করবে, না অপ্রাসঙ্গিক ইভিএমের পেছনে সময় অপচয় করবে?

Comments

The Daily Star  | English

Foreign investors returning to stock market

After a long time, foreign investors are showing renewed interest in buying shares of listed companies in Bangladesh as they hope good governance will return to the local stock market following the recent political changeover.

11h ago