ট্রাম্পের সঙ্গে করমর্দন ও কয়েকটি কথা

দীর্ঘদিনের বন্ধুও এমন করে ‘জানের শক্র’-তে পরিণত হতে পারে তা সম্প্রতি দেখা যায় যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে। সন্ত্রাসবাদে মদদ দেওয়ার অভিযোগে ট্রাম্প প্রশাসন পাকিস্তানকে সামরিক ও বেসামরিক সাহায্য বন্ধ করে দেওয়ায় এই সম্পর্ক তেতো হয়ে উঠে।
Donald Trump
যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: রয়টার্স

দীর্ঘদিনের বন্ধুও এমন করে ‘জানের শক্র’-তে পরিণত হতে পারে তা সম্প্রতি দেখা যায় যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে। সন্ত্রাসবাদে মদদ দেওয়ার অভিযোগে ট্রাম্প প্রশাসন পাকিস্তানকে সামরিক ও বেসামরিক সাহায্য বন্ধ করে দেওয়ায় এই সম্পর্ক তেতো হয়ে উঠে।

এমন পরিস্থিতিতে দুই দেশের শীর্ষ কর্তাব্যক্তিদের মধ্যে যখন মুখ দেখাদেখিই প্রায় বন্ধ তখন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর করমর্দন সৃষ্টি করেছে নতুন কথামালা।

গত ২৫ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ সভা উপলক্ষে সংস্থাটির মহাসচিব আন্তোনীয় গুতেরেস অতিথিদের উদ্দেশে মধাহ্নভোজের আয়োজন করেন। সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প করমর্দন করেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশির সঙ্গে।

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে যুক্তরাষ্ট্রের একজন মুখপাত্র বেশ সাদামাটাভাবেই জানান, “মধাহ্নভোজে আমন্ত্রিত বিশ্বনেতাদের সঙ্গে করমর্দনের অংশ হিসেবেই ছিলো এটি।”

কিন্তু, মেহমুদ কুরেশি পাকিস্তান টেলিভিশনকে বলেন, অতীতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাকিস্তানের যে মধুর সম্পর্ক ছিলো তা আবার ফিরিয়ে আনার জন্যে তিনি ট্রাম্পকে অনুরোধ করেছেন। শুধু তাই নয়, এই করমর্দনকে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তার ‘অনানুষ্ঠানিক বৈঠক’ বলেও জানিয়েছেন গণমাধ্যমটিকে।

কুরেশির বরাত দিয়ে আরও একটু যোগ করে বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস অব পাকিস্তান। জানায়, “এ বিষয়ে একমত হয়েছেন ট্রাম্প। বলেছেন, সম্পর্ক নুতন করে ঝালাই করার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহের কথাও।”

কিন্তু, সূত্র বলছে ভিন্ন কথা। তাদের ভাষায়, “আসলে এটি কোন বৈঠকই ছিলো না।”

একটি করমর্দনকে রীতিমত বৈঠকের রূপ দেওয়াকে কূটনৈতিক শিষ্টাচার বিরুদ্ধ বলে মন্তব্য করেছেন ওয়াশিংটনে বসবাসকারী একজন সাবেক রাষ্ট্রদূত।

তথ্যসূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

9h ago