কেইনের বিপক্ষে প্রথমবার, পারবেন তো মেসি?
রাশিয়া বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ গোলদাতা ছিলেন হ্যারি কেইন। ইংলিশ দলের অধিনায়কও। হালের অন্যতম সেরা তারকাও মানা হয় তাকে। অথচ এ তারকার বিপক্ষে এখনও খেলা হয়নি বার্সেলোনার আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসির। বুধবার রাতে প্রথমবারের মতো কেইনের বিপক্ষে মাঠে নামছেন পাঁচ বারের ব্যলন ডি’অর জয়ী এ খেলোয়াড়।
সর্বশেষ ২০০৯ সালে টটেনহ্যাম হটস্পার্সের বিপক্ষে ম্যাচ খেলেছিল বার্সেলোনা। তাও ছিল প্রীতি ম্যাচ। সে ম্যাচে খেলেননি মেসি। এরপর এ দলটির বিপক্ষে আর খেলা হয়নি কাতালান ক্লাবটির। তাই সঙ্গত কারণেই এ দলের বিপক্ষে খেলা হয়নি মেসির। এছাড়া জাতীয় দলের হয়েও খেলা হয়নি। সর্বশেষ ২০০৫ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মোকাবেলা করেছিল আর্জেন্টিনা। এ কারণে হয়নি জাতীয় দলের তাঁবুতেও।
তাই দুই তারকার প্রথম লড়াই নিয়ে আলোচনা ফুটবল মহলে। বিশেষ করে টানা তিন ম্যাচ ধরেই জয়হীন বার্সেলোনা। প্রতিপক্ষ যে খুব শক্তিশালী ছিল তাও নয়। জিরোনার বিপক্ষে ড্র করার পর লেগানেসের কাছে হেরে যায় তারা। এরপর অ্যাতলেটিক বিলবাওর বিপক্ষে আবার ড্র। আত্মবিশ্বাস তলানিতে গিয়ে জমেছে স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়নদের। আর এমন সময়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে টটেনহ্যামের মুখোমুখি হয়ে কতটা সুবিধা করে উঠবে বার্সেলোনা, এ নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
টটেনহ্যামও যে খুব ভালো অবস্থানে তাও নয়। শেষ পাঁচ ম্যাচে জয় মাত্র একটিতে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগেই আগের রাউন্ডের ইতালিয়ান ক্লাব ইন্টার মিলানের কাছে হেরে গেছে দলটি। চাপটা কম থাকছে না তাদেরও। তবে ম্যাচটা যে বেশ কঠিন হতে যাচ্ছে তা স্পষ্টই বললেন কোচ ভালভার্দে, ‘জয়ের জন্য মরিয়া হয়ে খেলা একটা দলের বিপক্ষে কঠিন ম্যাচ হতে যাচ্ছে। তারা তাদের অবিশ্বাস্য সমর্থকদের সহয়তাও পাবে। ইংল্যান্ডের মধ্যে তারা অন্যতম সেরা দল।’
তবে ইতিহাস বার্সেলোনার পক্ষেই। প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে এর আগে ১৯৮২ সালে উয়েফা কাপের সেমি ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। তাতে টটেনহ্যামের মাঠে ১-১ গোলে ড্র হলেও ন্যু ক্যাম্পে ১-০ গোলের জয় পায় কাতালানরা। তবে টটেমহ্যামের বিপক্ষে না খেললেও টটেনহ্যামের মাঠ ওয়েম্বলিতে দারুণ অভিজ্ঞতা আছে মেসির। ২০১১ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে ৩-১ গোলে জয় পেয়েছিল বার্সেলোনা।
Comments