লেজার গবেষণায় ৩ বিজ্ঞানীর নোবেল জয়
এ বছর পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেলেন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স এবং কানাডার তিন বিজ্ঞানী। লেজার গবেষণায় অবদানের জন্যে এই পুরস্কার তিনজনকে ভাগ করে দেওয়া হলো। তাদের এই অবদান চোখের আরও উন্নত চিকিৎসার কাজে সহায়তা করবে।
এই বিজ্ঞানীরা হলেন যুক্তরাষ্ট্রের আর্থার আশকিন, ফ্রান্সের জেরার্ড মোরউ এবং কানাডার ডোনা স্ট্রিকল্যান্ড।
আজ (২ অক্টোবর) রয়েল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস জানায়, ১০ লাখ ডলারের এই পুরস্কারের অর্ধেক পাবেন আশকিন এবং বাকি অর্ধেক বাকি দুজনের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে।
৯৬ বছর বয়সী আশকিনকে এই সম্মান দেওয়া হচ্ছে তার ‘অপটিক্যাল টুইজারস’ আবিষ্কারের স্বীকৃতি হিসেবে। এর মাধ্যমে ধরা যাবে ছোট ছোট কণা, পরমাণু, ভাইরাস এবং অন্যান্য জীবন্ত কোষ। এই আবিষ্কারকে “বৈজ্ঞানিক কল্পকথার পুরনো স্বপ্ন” বলে মন্তব্য করা হয়েছে অ্যাকাডেমির পক্ষ থেকে।
এদিকে, জেরার্ড এবং ডোনা দুজনে মিলে এমন একটি সূত্র তৈরি করেছেন যার মাধ্যমে আল্ট্রা শর্ট অপটিক্যাল পালস উৎপাদন করা যাবে। নোবেল কমিটির মতে, “এটিই হচ্ছে মানুষের তৈরি সবচেয়ে ছোট এবং ঘন লেজার পালস।”
তাদের এই কৌশল খাটিয়ে চোখে সংশোধনযোগ্য অস্ত্রোপচার করা সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য, ডোনা স্ট্রিকল্যান্ড হলেন তৃতীয় নারী যিনি পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেলেন। এর আগে মারিয়া গ্যোপের্ট-মায়ার এই পুরস্কার পেয়েছিলে ১৯৬৩ সালে এবং মাদাম কুরি পেয়েছিলেন ১৯০৩ সালে। ডোনার হাত ধরে পদার্থে নোবেল এলো ৫৫ বছর পর।
Comments