বার্সেলোনায় মেসি ছাড়া আর কেউ নেই গোল করার!

মেসি যখন খেলেন তখন বার্সেলোনা দারুণ একটি দল। যখন খেলেন না তখন এই দলটিই যেন ভিন্ন একটি দল। তার প্রমাণ একবার নয় বার বারই পেয়েছে ফুটবল বিশ্ব। এই কদিন আগে লা লিগায় অ্যাতলেটিক বিলবাওর মতো দলের বিপক্ষেও তাদের চেনা যায়নি তাদের।

মেসি যখন খেলেন তখন বার্সেলোনা দারুণ একটি দল। যখন খেলেন না তখন এই দলটিই যেন ভিন্ন একটি দল। তার প্রমাণ একবার নয় বার বারই পেয়েছে ফুটবল বিশ্ব। এই কদিন আগে লা লিগায় অ্যাতলেটিক বিলবাওর মতো দলের বিপক্ষেও তাদের চেনা যায়নি তাদের।

বিলবাওর বিপক্ষে প্রথমার্ধে খেলেননি মেসি। সে অর্ধে বলার মতো আক্রমণ তো দূরের কথা, উল্টো গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়ে দলটি। ৫৫ মিনিটে মাঠে নামার পর যেন প্রাণ পায় দলটি। তার এসিস্ট থেকেই গোল পেলে সমতা নিয়ে মাঠ ছাড়ে দলটি। দল যে অনেকটাই মেসি নির্ভর তা আরও একবার প্রমাণিত।

আলোচনায় আরও একটি বিষয়। যা রীতিমতো বিস্ময়কর। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ২০১৬ সাল থেকে ন্যু ক্যাম্পের বাইরে অ্যাওয়ে ম্যাচে মেসি ছাড়া আর কোন স্ট্রাইকার তো দূরের কথা, মিডফিল্ডারও গোল করতে পারেননি। আর্জেন্টাইন তারকা ছাড়া একমাত্র ডিফেন্ডার জেরার্দ পিকেই অ্যাওয়ে ম্যাচে গোল পেয়েছেন। অর্থাৎ মেসিই দলটির মূল ভরসা।

২০১৬ সালে বুরুসিয়া মুনশেনগ্লাডবাখের বিপক্ষে তাদের মাঠে গোল পেয়েছিলেন পিকে। সে ম্যাচে এর আগে গোল পেয়েছিলেন আর্দা তুরানও। এরপর মেসি ছাড়া আর কোন খেলোয়াড়ই অ্যাওয়ে ম্যাচে জালের ঠিকানা খুঁজে পাচ্ছেন না। ইউরোপের সর্বোচ্চ প্রতিযোগিতায় খেলোয়াড়দের বাজে ফর্ম ভাবাচ্ছে বার্সেলোনাকে।

চলতি মৌসুমে অবশ্য চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দারুণ সূচনা পেয়েছে বার্সেলোনা। পিএসভি আইন্দহভেনের বিপক্ষে ৪-০ গোলের জয়ে শুরু। কিন্তু মূল সমস্যা থেকেই যাচ্ছে। সে ম্যাচেও গোল পায়নি মেসি ছাড়া আর কেউ। হ্যাটট্রিক করেছেন মেসি। অপর গোলটি আসে আত্মঘাতী থেকে।

এদিকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আজ (বুধবার) রাতে ইংলিশ ক্লাব টটেনহ্যাম হটস্পার্সের বিপক্ষে মাঠে নামছে বার্সেলোনা। আর ম্যাচটি হবে ওয়েম্বলিতে। তখনই ঘুরে ফিরে আসছে বার্সার অ্যাওয়ে ম্যাচের দুর্দশার কথা। গত মৌসুমে ঘরের মাঠে বড় জয়ের পরও যে ইতালিতে গিয়ে রোমার কাছে রীতিমতো বিধ্বস্ত হয়ে বাদ পড়ে দলটি।

সঙ্গে যোগ হয়েছে আরও একটি দুশ্চিন্তা। লা লিগায় শেষ তিন ম্যাচে জয়হীন বার্সেলোনা। তাও প্রতিপক্ষ জায়ান্ট কোন দল নয়। জিরোনার বিপক্ষে ড্র করার পর লেগানেসের কাছে হেরে যায় দলটি। এরপর অ্যাতলেটিক বিলবাওর সঙ্গে আবার ড্র। আত্মবিশ্বাস তাই তলানিতে দলটির।

মূলত নেইমার দল ছাড়ার পর থেকে এ সমস্যায় পড়েছে বার্সেলোনা। এরপর চড়া দামে ওসমান দেম্বেলে ও ফিলিপ কৌতিনহোর মতো খেলোয়াড় কিনা আনলেও জায়গাটা এখনও পূরণ হচ্ছে না। ইনজুরির পর দেম্বেলে নিজের সেরা ছন্দ খুঁজে পাননি। আর এখনও লিভারপুলের সেই ঝলক দেখাতে পারছেন না কৌতিনহো।

তবে প্রত্যাশা হয়তো ওয়েম্বলিতেই ছন্দ খুঁজে পাবেন বাকি খেলোয়াড়রা। কারণ এ মাঠেই যে আছে তাদের দারুণ এক সুখস্মৃতি। ২০০৯ সালে সে মাঠে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ৩-১ গোলে হারিয়ে শিরোপায় চুমু খায় দলটি।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

8h ago