কোটা বাতিলের পরিপত্র প্রকাশ
সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন করপোরেশনের চাকরিতে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারের বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি বাতিল করে পরিপত্র প্রকাশ করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
আজ (৪ অক্টোবর) সেই পরিপত্রে বলা হয়, সব সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন করপোরেশনের চাকরিতে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ১৭ মার্চ ১৯৯৭ সালের স্মারকে উল্লিখিত কোটা পদ্ধতি সংশোধন করেছে।
পরিপত্রে বলা হয়- ৯ম গ্রেড (পূর্বতন ১ শ্রেণি) এবং ১০ম থেকে ১৩তম গ্রেডের (পূর্বতন ২ শ্রেণি) পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হবে।
এছাড়াও, ৯ম গ্রেড এবং ১০ম থেকে ১৩তম গ্রেডের পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি বাতিল করা হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের সচিব ফয়েজ আহম্মদ এর স্বাক্ষরিত পরিপত্রে আরও বলা হয় এই নির্দেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
উল্লেখ্য, গত ৩ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদের সচিব কোটা বাতিলের সিদ্ধান্তের কথা সাংবাদিকদের জানান।
কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা অবশ্য বিভিন্ন সময় বলছেন, কোটা সম্পূর্ণ বাতিল হোক, সেটা কখনই তাদের দাবি ছিল না। তারা চেয়েছিলেন কোটার যৌক্তিক সংস্কার হোক।
এখন আবার মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের সংগঠন এবং ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর বিভিন্ন সংগঠন কোটা বহাল রাখার দাবিতে আন্দোলন করছে।
চলতি বছরে এপ্রিল মাসের শুরুতে কোটা সংস্কারে আন্দোলন জোরদার হওয়ার প্রেক্ষিতে গত ১১ এপ্রিল সংসদে প্রধানমন্ত্রী সব ধরনের কোটা বাতিল করে দেওয়ার পক্ষে তার মত জানিয়েছিলেন। তবে এর পরও প্রজ্ঞাপন জারি নিয়ে দীর্ঘসূত্রিতা ও কোটা বহাল রাখার পক্ষে সরকারের উচ্চ মহল থেকে বক্তব্য আসার পর আবার শিক্ষার্থীদের আন্দোলন শুরু হয়। আন্দোলনে ছাত্রলীগের হামলা ও মামলায় বহু শিক্ষার্থী আহত ও কারাবন্দি হয়েছেন।
Comments