রুশ এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা আসছে ভারতে

রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর রেড স্কয়ারে বিজয় দিবসের প্যারেডে এস-৪০০ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রদর্শন। রয়টার্স ফাইল ছবি

রাশিয়ার তৈরি এখন পর্যন্ত সবচেয়ে কার্যকর ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হিসেবে নাম রয়েছে যার সেই এস-৪০০ ব্যবস্থা কেনার চুক্তিতে সই করে ফেলল নয়া দিল্লি ও মস্কো। আকাশ সুরক্ষার জন্য ভূমি থেকে নিক্ষেপযোগ্য এই প্রতিরোধ ব্যবস্থার জন্য ভারত খরচ করবে ৫৪৩ কোটি ডলার।

ভারত সম্প্রতি প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কেনার জন্য যতগুলো চুক্তি করেছে এটি তার মধ্যে সবচেয়ে বড়। এস-৪০০ ভারতের হাতে চলে এলে পাকিস্তান ও চীনের দিক থেকে বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার হুমকি অনেকখানি কমে যাবে বলে মনে করছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা।

ভারত যেন ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থা কেনার কথা না ভাবে তার জন্য আগাম হুমকি দিয়ে রেখেছিল যুক্তরাষ্ট্র। তারা জানিয়ে রেখেছিল এই চুক্তি করলে সামরিক নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হতে হবে ভারতকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মিত্র দেশের চোখ রাঙানি উপেক্ষা করেই গতকাল দিল্লিতে বসে চুক্তিতে সই করলেন নরেন্দ্র মোদি ও ভ্লাদিমির পুতিন। চুক্তি হয়ে যাওয়ার পর অবশ্য সুর কিছুটা নরম করে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ওয়াশিংটন। তারা বলেছে, মিত্র দেশের ক্ষতি হোক এমন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন না তারা।

ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষরের পর ভারত ও রাশিয়া যৌথ বিবৃতিতে বলেছে, ভারতকে দূরপাল্লার ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা সরবরাহে যে চুক্তি হলো তাকে দুই পক্ষই স্বাগত জানাচ্ছে। তবে ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে আরও দুটি বড় ধরনের প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে এসে আর তা আলোর মুখ দেখেনি। সূত্রের খবরের উদ্ধৃতি দিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম জানায়, রাডার ফাঁকি দিতে সক্ষম স্টিলথ ফাইটার জেট ও এসল্ট রাইফেল ক্রয় সংক্রান্ত আরও দুটি চুক্তি প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এ নিয়ে আরও আলাপ আলোচনা প্রয়োজন থাকায় শেষ পর্যন্ত এটি স্বাক্ষরিত হয়নি।

সরকারি সূত্রগুলো ভারতের একটি গণমাধ্যমকে জানায়, আগামী ২৪ মাসের মধ্যে ভারতকে এস-৪০০ সরবরাহ শুরু করবে রাশিয়া। ফলে ২০২০ সাল শেষ হওয়ার আগেই সর্বাধুনিক এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পেয়ে যাবে ভারত।

কিছুদিন আগে ভারতের বিমানবাহিনীর প্রধান, বি এস ধানোয়া এস-৪০০-কে ‘গেমচেঞ্জার’ আখ্যা দিয়ে বলেছিলেন, এই ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভারতের হাতে এলে উপমহাদেশে শক্তির ভারসাম্য ঘুরে যাবে। এই ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থায় যুদ্ধবিমান, ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন বা যেকোনো উড়ন্ত বস্তু চিহ্নিত করে হামলা হওয়ার আগে আকাশেই ধ্বংস করে দেওয়া যাবে।

Comments

The Daily Star  | English

Ishraque alleges political obstruction in DSCC mayoral appointment

Announces establishment of 'Mayor's Cell' to monitor service delivery in the city

1h ago