দুই গোলে পিছিয়ে থেকেও জয় ম্যানইউর
সময়টা এমনিতেই খারাপ যাচ্ছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের। তার উপর ম্যাচের ১০ মিনিটেই দুই গোলে পিছিয়ে পড়ে তারা। এমন অবস্থা থেকে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় দলটি। শেষ সময়ের গোলে রোমাঞ্চকর জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে হোসে মরিনহোর শিষ্যরা। নিউক্যাসেল ইউনাইটেডের বিপক্ষে ৩-২ গোলের দারুণ জয় পেয়েছে ইংলিশ লিগের অন্যতম সফল এ দল।
ম্যাচের ৭ মিনিটেই গোল পেয়ে যায় নিউক্যাসেল। আয়োজ পেরেজের বাড়ানো বল পেয়ে ডি-বক্সে ঢুকে কোনাকুনি শটে লক্ষ্যভেদ করেন ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার কেনেডি। তিন মিনিট পর আবার গোল। জঞ্জো শালভের ক্রস দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বাঁ পায়ের জোরালো শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন জাপানের ফরোয়ার্ড ইয়োশিনোরি মুতো। ইংলিশ লিগে এটাই তার প্রথম গোল।
১৮ মিনিটে শেলভীর দূরপাল্লার শট কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন ম্যানইউ গোলরক্ষক দাভিদ দি হেয়া। ৩৪ মিনিটে আবারো দলকে রক্ষা করেন তিনি। জামাল লাসকেয়েসের হেডে গোল লাইন থেকে হেড নিয়ে দিক বদলে দিয়েছিলেন মুতো। কিন্তু দুর্দান্ত ক্ষিপ্রটায় সে বল রুখে দেন গোলরক্ষক হেয়া।
৫০ মিনিটে গোল শোধের দারুণ সুযোগ পেয়েছিল ম্যানইউ। কর্নার থেকে পাওয়া বল দারুণ শট নিয়েছিলেন পল পগবা। তার শট ঝাঁপিয়ে পড়ে ফিরিয়ে দেন গোলরক্ষক মার্টিন দুবরাভকা। ফিরতি বল ফাঁকায় পেয়ে গিয়েছিলেন নামানজা মাতিচ। কিন্তু তার শট লক্ষ্যে থাকেনি। তিন মিনিট পর ডিবক্সের বাইরে থেকে হুয়ান মাতার নেওয়া শটও লক্ষ্যে থাকেনি।
৫৫ মিনিটে পগবার ক্রসে ফাঁকায় হেড দেওয়ার সুযোগ পেয়েও লক্ষ্যে রাখতে পারেননি মার্কাস রাশফোর্ড। ৭০ মিনিটে ব্যবধান কমাতে পারে ইউনাইটেড। দারুণ এক ফ্রিকিকে লক্ষ্যভেদ করেন মাতা। তিন মিনিট পর ফেলানির শট ঝাঁপিয়ে পড়ে ফিরিয়ে দেন নিউক্যাসেল গোলরক্ষক।
৭৫ মিনিটে আবারো অবিশ্বাস্য এক সেভ করেন মার্টিন। এবার ক্রিস স্মালিংয়ের শট দারুণ দক্ষতায় ফেরান তিনি। তবে মিনিটে ইউনাইটেডকে আর গোলবঞ্চিত রাখতে পারেননি এ গোলরক্ষক। পগবার দারুণ এক ব্যাক হিল বল পেয়ে জোরালো শটে লক্ষ্যভেদ করেন অ্যান্থনি মার্শিয়াল। নির্ধারিত সময়ে শেষ মিনিটে জয় সূচক গোল পায় ম্যানইউ। অ্যাশলে ইয়ংয়ের ক্রস থেকে দারুণ হেডে জাল খুঁজে নেন আলেক্সিস সানচেজ। ফলে ৩-২ গোলের স্বস্তির জয় পায় তারা।
আট ম্যাচে চার জয় ও এক ড্রয়ে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে অষ্টম স্থানে আছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। এক করে ম্যাচ কম খেলে শীর্ষে থাকা ম্যানচেস্টার সিটির পয়েন্ট ১৯। সমান খেলায় সিটির সমান পয়েন্ট লিভারপুলেরও। তবে গোল পার্থক্যে পিছিয়ে আছে দলটি।
Comments