পিএসজির জয়ে এমবাপের চার গোল
নেইমারের পরেই বিশ্বের দামী খেলোয়াড় কিলিয়ান এমবাপে। আর কেন তা আরও একবার প্রমাণ করলেন এ তরুণ। রাশিয়া বিশ্বকাপে সে তরুণের মর্যাদা পাওয়া এ খেলোয়াড় লিঁওর বিপক্ষে একাই করেছেন চারটি গোল। ফলে লিঁওকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি)।
তবে এদিন শুরুটা করেছিলেন বিশ্বের সবচেয়ে দামী খেলোয়াড় নেইমারই। ৯ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল আদায় করে নেন তিনি। এ গোলেও অবদান ছিল এমবাপের। তাকে ডিবক্সের মধ্যে প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক অ্যান্থনি লোপেজ ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজিয়েছিলেন রেফারি।
৩২ মিনিটে তানগুই এনডমবেলেকে ফাউল করলে লাল কার্ড দেখেন ফরাসি ডিফেন্ডার প্রেসনেল কিম্পেম্বে। যদিও শুরুতে হলুদ কার্ড দিয়েছিলেন। তবে ভিএআরের সহয়তায় পড়ে ফাউলের ভয়াবহতা দেখে লাল কার্ড দেখান রেফারি। অবশ্য বিরতির ঠিক আগে এমবাপেকে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে বহিষ্কার হন লিওঁর ফরাসি মিডফিল্ডার লুকাঁও।
৫২ মিনিটে বিপদ ডেকে এনেছিলেন থিয়াগো সিলভা। ডি বক্স থেকে বল বাড়াতে গেলে প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়ের গায়ে প্রায় জাল খুঁজে নিচ্ছিল বল। তবে শেষ মুহূর্তে বারে লেগে ফিরে আসলে সে যাত্রা বেঁচে যায় তারা। পরের মিনিটে অবশ্য ক্রস বার হতাশ করে পিএসজিকে। ফাঁকায় এমবাপের নেওয়া শট বারে লেগে ফিরে আসে। তবে সে সময় বাঁপাশে অরক্ষিত অবস্থায় ছিলেন নেইমার। পাস দিলে হয়তো তখন ব্যবধান দ্বিগুণ হতে পারতো।
৬০ মিনিটে নেইমারের পাস থেকে আবার গোলরক্ষককে একা পেয়েও বল জালে জড়াতে পারেননি এমবাপে। গোলরক্ষকের গা বরাবর মেরে সহজ সুযোগ মিস করেন এ ফরাসী। তবে পরের মিনিটেই গোল পান তিনি। দারুণ ক্ষিপ্রতায় বল নিয়ে ডিবক্সে বল নিয়ে গেলে ডিফেন্ডারের বাধায় বল হারান নেইমার। সে বল পেয়ে নিখুঁত শটে বল জালে জড়ান এমবাপে।
৬৬ মিনিটে ডিবক্সের জটলায় মার্কিনিয়োসের পাস থেকে আলতো টোকায় বল জালে পাঠান এমবাপে। হ্যাটট্রিক করতে খুব বেশি সময় নেননি এমবাপে। নেইমারের পাস থেকে ফাঁকায় বল পেয়ে এবার জালে জড়াতে কোন ভুল করেননি এ ফরাসী তরুণ। ৭৪ মিনিটে নিজের চতুর্থ গোল করেন এমবাপে। ফলে ৫-০ গোলের বড় জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে তারা।
নয় ম্যাচের সবকটিতে জয় তুলে ২৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে পিএসজি। ১৯ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে লিল। তৃতীয় স্থানে থাকা মার্সেইয়ের পয়েন্ট ১৬।
Comments