রায় প্রতিক্রিয়া
২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার রায়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবন ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও শিক্ষা উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেছেন আদালত। রায়ের পর দ্য ডেইলি স্টার অনলাইনের কাছে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিশিষ্ট লেখক, গবেষক ও কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম।
‘হামলাটি কেবল কোনো দলের বিরুদ্ধেই নয়, এটা জাতির বিরুদ্ধে একটি বৃহৎ ষড়যন্ত্রের অংশ ছিল’
সৈয়দ আবুল মকসুদ
যদিও দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে রায় হয়েছে। তবুও এ রায় গুরুত্বপূর্ণ। এটি নিম্ন আদালতের প্রাথমিক রায়। এতে উচ্চ আদালতে আপিলের সুযোগ রয়েছে। ঘটনাটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলোর একটি। দেশের সব মানুষের প্রত্যাশা ছিল রাজনৈতিক প্রতিহিংসার ঊর্ধ্বে উঠে এ ঘটনায় ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে। সেই বিচারে আজকের রায়টি ছিল প্রত্যাশিত।
হামলাটি কেবল কোনো দলের বিরুদ্ধেই নয়, এটা জাতির বিরুদ্ধে একটি বৃহৎ ষড়যন্ত্রের অংশ ছিল। বিভিন্ন সময় প্রতিবন্ধকতার কারণে এ ঘটনার বিচার প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হলেও, এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট।
‘২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ছিল খুবই বর্বর অপরাধ‘
মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ছিল খুবই বর্বর অপরাধ। এ ঘটনার বিচার হোক আমরা তা চেয়েছি। এবার এর রায় হয়েছে। এই রায় চূড়ান্ত হবে আপিল আবেদন নিষ্পত্তির পর। কিন্তু প্রশ্ন হলো- দেশে বিচার হচ্ছে কি না। হলেও তা সঠিক হচ্ছে কি না।
বিচারে এমন রায় আসতে হবে যেন, জনমনে কোনো প্রশ্নের উদয় না হয়। বিএনপিকে ঘায়েল করার জন্য রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে এই বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হচ্ছে, এটা যেন কেউ বলতে না পারে।
২১ আগস্টের ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার আগে পল্টনে সিপিবির ওপর যে হামলা হয়েছিল তার বিচার, এমনকি সাগর-রুনি, ত্বকী, তনু হত্যা ও সাম্প্রতিক গুপ্তহত্যাগুলোর যেন সঠিক বিচার হয়। তাহলে বিচার ব্যবস্থা ও আইনের শাসনের ওপর জনগণের আস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে। কিন্তু কোনো বিচার প্রক্রিয়া যেন প্রতিহিংসার প্রমাণ না দেয়।
Comments