জিম্বাবুয়ে-উইন্ডিজের বিপক্ষে না জেতার কারণই দেখি না : সাকিব

আগামী সপ্তাহেই আবার শুরু হচ্ছে ক্রিকেটের ডামাডোল। বাংলাদেশ সফরে আসছে জিম্বাবুয়ে। এরপর আসবে উইন্ডিজ। জিম্বাবুয়ে সিরিজে খেলছেন না দেশ সেরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। হয়তো খেলবেন না উইন্ডিজ সিরিজেও। তার সঙ্গে তামিম ইকবালের খেলার সম্ভাবনাও অনিশ্চিত। দলের সেরা দুই তারকাকে ছাড়া খেলা কিছুটা দুশ্চিন্তারই বটে। তবে এ দুই তারকাকে ছাড়াই কদিন আগে এশিয়া কাপের ফাইনালে খেলেছে বাংলাদেশ। তাই জিম্বাবুয়ে ও উইন্ডিজের বিপক্ষে তাদের ছাড়া না জেতার কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না সাকিব।
Shakib Al Hasan

আগামী সপ্তাহেই আবার শুরু হচ্ছে ক্রিকেটের ডামাডোল। বাংলাদেশ সফরে আসছে জিম্বাবুয়ে। এরপর আসবে উইন্ডিজ। জিম্বাবুয়ে সিরিজে খেলছেন না দেশ সেরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। হয়তো খেলবেন না উইন্ডিজ সিরিজেও। তার সঙ্গে তামিম ইকবালের খেলার সম্ভাবনাও অনিশ্চিত। দলের সেরা দুই তারকাকে ছাড়া খেলা কিছুটা দুশ্চিন্তারই বটে। তবে এ দুই তারকাকে ছাড়াই কদিন আগে এশিয়া কাপের ফাইনালে খেলেছে বাংলাদেশ। তাই জিম্বাবুয়ে ও উইন্ডিজের বিপক্ষে তাদের ছাড়া না জেতার কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না সাকিব।

এশিয়া কাপের দলে ছিলেন সাকিব ও তামিম দুই জনই। প্রথম ম্যাচে তামিম আঙুলে চোট পেয়ে দেশে ফিরে আসেন। এরপর সাকিব। আঙুলে চোট ছিল তার আগেই। আঙুলে ব্যথা বেড়ে যাওয়ায় দেশে ফিরে আসেন। সংক্রমণ ছড়িয়ে বড় বিপদই হতে যাচ্ছিল। তবে ছোট একটি অস্ত্রোপচারে সে যাত্রা বেঁচে গিয়েছেন তিনি। এরপর অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে উন্নত চিকিৎসা নিয়ে দেশে ফিরেছেন সাকিব। সংক্রামণ নিয়ন্ত্রণে থাকায় এখন পুনর্বাসন করে মাঠে ফেরার মিশনে নেমেছেন এ অলরাউন্ডার।

তবে সাকিব ও তামিমকে ছাড়া খুব বেশি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা নেই বাংলাদেশের। এশিয়া কাপের সাম্প্রতিক সাফল্য কিছুটা হলেও অনুপ্রেরণা দেবে টাইগারদের। আর এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কার মতো দলের বিপক্ষে পারলে এ দুই দলের বিপক্ষে পারবেন এমন আত্মবিশ্বাসই ঝরে সাকিবের কণ্ঠে, ‘সত্যি কথা বলতে কারো জন্য কোনো কিছু অপেক্ষা করে না। আমি আশা করি বাংলাদেশ আরও ভালো করবে। আমি তামিম ছাড়া যদি এশিয়া কাপে বাংলাদেশ ফাইনাল খেলতে পারি তাহলে জিম্বাবুয়ে ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে না জেতার কোনো কারণই দেখি না।’

শক্তির বিচারে জিম্বাবুয়ের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ। উইন্ডিজেরও সেই সুবর্ণ সময় নেই। কিন্তু তারপরও সাকিব-তামিম না থাকা কিছুটা হলেও ভাবাচ্ছে বাংলাদেশকে। তবে এ ইনজুরিকে তরুণদের জন্য সুযোগ মনে করছেন সাকিব, ‘এটা (ইনজুরি) আসলে খেলার অংশ। একজন দুইজন খেলোয়াড় সব সময় ফিট থাকবে না। সব সময় খেলতেও পারবে না। সুবিধা হচ্ছে নতুন নতুন খেলোয়াড়দের সুযোগ আসে। আশা করি তারা কাজে লাগাতে পারবে এবং ভালো করবে।

এর মধ্যেই জিম্বাবুয়ে সিরিজের ওয়ানডে দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ। সেখানে নেই সাকিব ও তামিম দুইজনই। তবে দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচে তামিমকে দলে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেই জানা গেছে। সেটা নির্ভর করবে তামিমের হাতের ইনজুরি কতো দ্রুত সেরে ওঠে। তবে উইন্ডিজ সিরিজে সাকিবকে না পেলেও তামিমকে পাওয়া যাবে বলেই জানিয়েছিলেন বিসিবি চিকিৎসকরা। 

Comments