এখনো বড় খেলোয়াড় হইনি: লিটন
ব্যাট হাতে ক্যারিয়ারের শুরু থেকে বেশ নড়বড়ে ছিলেন লিটন দাস। যতটা প্রতিভা নিয়ে তার আগমন, মাঠে বিচ্ছুরণ হচ্ছিল না তার ছিটেফোঁটাও। নড়বড়ে ভাবটা ছিল কথাবার্তাতেও। তালগোল পাকিয়ে সমালোচিতও হয়েছেন। এশিয়া কাপের ফাইনালে করা সেঞ্চুরি ব্যাট হাতে তাকে দিচ্ছে থিতু হওয়ার বিশ্বাস। সেই সেঞ্চুরির পর সংবাদ মাধ্যমের সামনে প্রথম মুখোমুখিতে কথাবার্তাতে দেখা গেল বেশ পরিণত ভাব।
এশিয়া কাপে গিয়ে প্রথম কয়েক ম্যাচেও রান পাচ্ছিলেন না। আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচে ছন্দ পেয়েছিলেন। কিন্তু ৪৩ বলে ৪১ করেই বিসর্জন দেন নিজের ইনিংস। ফাইনালে গিয়েই ভারতের বিপক্ষে নিজেকে মেলে ধরতে পেরেছেন পুরোপুরি। ১১৭ বলে করেন ১২১। পেয়ে যান আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি, প্রথম বড় কোন ইনিংস।
এশিয়া কাপে যাওয়ার আগে বলেছিলেন, বড় ইনিংস খেলতে পারছেন না কারণ বড়দের কাতারে যেতে পারেননি। এশিয়া কাপের ফাইনালের মতো বড় মঞ্চে ভারতের মতো শক্তিধর প্রতিপক্ষের বিপক্ষে খেলে ফেলেছেন বড় ইনিংস। তার সেঞ্চুরিতে এশিয়া কাপ জেতার একদম কাছেও চলে গিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে কি এবার...? প্রশ্নকর্তাকে মাঝপথেই থামিয়ে লিটনের জবাব, ‘এখনও বড় খেলোয়াড় হইনি (হাসি)। কিন্তু আমি চেষ্টা করব, ধারাবাহিকতা বজায় রেখে নিয়মিত পারফর্ম করার। ’
ঘরোয়া ক্রিকেটে রান পান নিয়মিতই। প্রথম শ্রেণীতে গড়টাও পঞ্চাশ ছাড়ানো, লিস্ট-এ ক্রিকেটেও তাই। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কোন কিছু হচ্ছিল না মনোমতো, একদিনে নিজের ঘাটতির জায়গা চিনেছেন ভালো করে। এবার লক্ষ্যটাও ঠিক করে ফেলেছেন এই ওপেনার, ‘হ্যাঁ, আমার মূল লক্ষ্য এটাই। আমার মনে হয় আমি যখন ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলি, তখন ধারাবাহিক পারফর্মেন্স দিয়ে থাকি। ওই জিনিসটাই ঘাটতি ছিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। আমি চেষ্টা করছি, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও ধারাবাহিক ভাবে পারফর্ম করে যাওয়ার। ’
খারাপ খেলতে থাকলে নিজের সামর্থ্য নিয়ে নিজেরই তৈরি হয় সংশয়। একটা কোন ভাল ইনিংস পাল্টে দেয় পুরো পরিস্থিতি। ওই সেঞ্চুরিও তাই লিটনকে করছে নির্ভার, ‘আমি বলবো না যে পূর্ণ আত্মবিশ্বাস আছে। তবে আগে থেকে একটু চাপ মুক্ত অবস্থায় আছি, এটা বলতে পারেন। আর নিজের প্রতি একটু আত্মবিশ্বাস এসেছে। যখন ভাল কিছু করে তখন নিজের ভেতর এই জিনিসটা আসে।’
Comments