অথচ প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার পরিকল্পনাই ছিল না সৌম্যর!
জাতীয় লিগের ম্যাচ খেলতে খুলনায় ছিলেন সৌম্য সরকার। হঠাৎ করেই জানতে পারলেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে খেলতে হবে তাকে। প্রথমে মন টানেনি। পূজা পার্বনের সময় চেয়েছিলেন বাড়িতে ছুটি কাটাতে। কিন্তু খেলতে যখন হবে তাই সেরাটা দিয়েই খেলার চেষ্টা করেছেন। আর দারুণ এক সেঞ্চুরি করে ছন্দে ফেরার আভাস দিয়ে রাখলেন এ তরুণ।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এদিন ১০২ রানের হার না মানা এক ইনিংস খেলেন সৌম্য। অথচ এ প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে হবে তা দুদিন আগেও জানতেন না এ তারকা, ‘প্রথমে তো এই খেলা আছে জানতাম না। খুলনাতেই ছিলাম, পরিকল্পনা ছিল বাড়িতে যাব। হঠাৎ করে যখন বলা হল খেলতে হবে। প্রথমে একটু খারাপ লেগেছিল। অনেক দিন পর একটা ছুটি পেয়েছিলাম সেটাও মিস। আবার চিন্তা করলাম যেহেতু খেলতেই হবে এসব চিন্তা না করাই ভালো। মনোযোগ দিয়ে খেলাই ভালো। সেই চেষ্টাই করেছি।’
অনেক দিন পর তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারে গিয়ে দারুণ স্বস্তি পেয়েছেন সৌম্য। স্বাভাবিকভাবেই দারুণ উচ্ছ্বসিত তিনি। ‘একশ তো একশই। একশ করলে তো আনন্দ হবেই। সেঞ্চুরি তো অবশ্যই স্পেশাল। কিছু একটা ত্যাগ করে কিছু একটা পাওয়া তো অবশ্যই স্পেশাল।’
প্রস্তুতি ম্যাচের সেঞ্চুরিকেও স্পেশাল বলছেন সৌম্য। কারণ একে তো খারাপ সময়ে ছিলেন, তার উপর টানা ভ্রমণের জন্য কাজটাও ছিল কঠিন। খুলনা থেকে আগের দিন ঢাকা ফিরে পরদিন সকালে যেতে হয়েছে সাভারের বিকেএসপিতে। সৌম্যর ভাষায়, ‘শারীরিক দিক থেকে একটু কঠিন ছিল। মানসিক দিক থেকে অন্যভাবে প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। খেলতেই যেহেতু হবে ওই ভাবে না ভেবে রাতের মধ্যে যতটুকু সম্ভব মানিয়ে নিতে চেষ্টা করেছি। সকাল বেলায়ও একটা ভ্রমণ ছিল। সে সব মাথায় না নিয়ে চেষ্টা করেছি যতটা স্বাভাবিক খেলা খেলা যায়। যতক্ষণ সুস্থ থাকবো বা শরীর সমর্থন করবে স্বাভাবিক ক্রিকেট খেলবো।’
খুলনাতেই রংপুর বিভাগের বিপক্ষে ছন্দে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন সৌম্য। দুই ইনিংসেই করেছেন ফিফটি। পাশাপাশি এক ইনিংসে ৫ উইকেটও নিয়েছেন। এবার পেলেন সেঞ্চুরি। তবে তাতেই আত্মতুষ্টিতে গা ভাসাচ্ছেন না এ তরুণ, ‘ছন্দে আছি এমন না। রান করলে তো অবশ্যই সবার ভালো লাগে। তেমন কোনো চিন্তা করিনি। চেষ্টা করছি নিজেকে খুশি রাখার। অবশ্যই ভালো খেললে ভালো ভালো লাগে। চেষ্টা করেছি বেশ সময় ক্রিজে থেকে ব্যাটিং করার।’
Comments