ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেট কি ‘লড়াই মঞ্চ’?

প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের জন্যে খাশোগি কনস্যুলেট অফিসের ভেতরে ঢুকেছিলেন। তার প্রমাণ সিসি ক্যামেরার ফুটেজে আছে। বের হওয়ার কোনো ফুটেজ বা প্রমাণ নেই। ‘খাশোগি বেরিয়ে গেছেন’- একথা সৌদি আরব কিসের ভিত্তিতে বলেছিল?
তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে 'নিহত' সাংবাদিক জামাল খাশোগি। ছবি: রয়টার্স

খাশোগি হত্যাকাণ্ড নিয়ে সৌদি আরবকে এখন যেসব প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে:

১. প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের জন্যে খাশোগি কনস্যুলেট অফিসের ভেতরে ঢুকেছিলেন। তার প্রমাণ সিসি ক্যামেরার ফুটেজে আছে। বের হওয়ার কোনো ফুটেজ বা প্রমাণ নেই। ‘খাশোগি বেরিয়ে গেছেন’- একথা সৌদি আরব কিসের ভিত্তিতে বলেছিল?

২. আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম যখন খাশোগি ‘নিখোঁজ-মৃত্যু’র সংবাদ প্রচার করতে শুরু করে, সৌদি আরব তখন এসব গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশনের অভিযোগ তুলে ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি কেন দিয়েছিল?

৪. যেকোনো কারণ দেখিয়ে খাশোগিকে হয়ত গ্রেপ্তার করা যেত। কাগজপত্র সরবরাহ করা থেকেও বিরত থাকতে পারত সৌদির ইস্তাম্বুল কনস্যুলেট। কিন্তু খাশোগির সঙ্গে ‘লড়াই’ শুরু করতে হলো কেন? ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেট কি ‘লড়াই মঞ্চ’? কাগজপত্র বা সেবা পাওয়ার পূর্ব শর্ত কী ‘লড়াই’ করা?

৫. খাশোগির সঙ্গে ‘লড়াই’ করার জন্যে দু’টি ব্যক্তিগত উড়োজাহাজে ১৫ জনকে সৌদি আরব থেকে ইস্তাম্বুলে পাঠানো হয়েছিল? ১৫ ‘লড়াইবিদ’ পাঠানো ও সেদিনই ফিরে আসার সংবাদ গোপন করা হলো কেন?

৬. ‘লড়াই’য়ে নিহত হলে লাশ কোথায় গেল? লাশ টুকরো টুকরো করার প্রসঙ্গ আসছে কেন? লাশ কেন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না? কনস্যুলেট থেকে লাশ বের করলো কে- কারা?

৭. খাশোগি ‘লড়াইয়ে’ নিহত হয়েছেন, তা স্বীকার করতে সৌদি আরবের প্রায় দুই সপ্তাহ লাগল কেন?

এবং

৮. আমেরিকা তথা ট্রাম্প কেন সৌদি আরব তথা যুবরাজ সালমানকে সকল অপকর্ম থেকে রক্ষার দায়িত্ব নিয়েছেন?  যুবরাজ সালমান ইয়েমেনে বোমা মেরে শিশু হত্যা করছেন, খাশোগিদের  হত্যা করছেন, জেলে ঢোকাচ্ছেন। খাল কেটে কাতারকে বিচ্ছিন্ন করতে চাইছেন, ইরানকে ধ্বংস করতে চাইছেন। ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে গিয়ে ইসরায়েলের স্বার্থ দেখছেন।

অস্ত্র বিক্রি তথা আর্থিক সুবিধা নিয়ে ট্রাম্পের আমেরিকা কি এই নজিরবিহীন অন্যায়- অপরাধ সমর্থন করেই যাবে?

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

5h ago