ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে মুখ খুললেন রোনালদো
সাবেক মার্কিন মডেল ক্যাথরিন মায়োরগাকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে হালের অন্যতম সেরা তারকা ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর উপর। অবশ্য শুরু থেকেই এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন তিনি। কখনোই এ বিষয়ে খোলসা কিছু বলেননি। সোমবার প্রথমবারের মতো এ নিয়ে বিস্তারিত বললেন এ তারকা। জানালেন তিনি একজন সুখী মানুষ। আর এ মামলায় তিনি এবং তার আইনজীবী খুবই আত্মবিশ্বাসী।
মায়োরগাকে ধর্ষণ করার অভিযোগে প্রথমবারের মতো যা বললেন রোনালদো
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে খেলতে বর্তমানে ম্যানচেস্টারে আছেন রোনালদো। সেখানেই আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে মায়োরগার সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। বরাবর এ বিষয়ে বিরক্তি প্রকাশ করা এ তারকা এদিন বললেন, ‘আমি এ বিষয়ে কখনোই মিথ্যে বলতে যাব না। আমি খুব সুখী একজন মানুষ। আমার আইনজীবীরা এ মামলার ব্যাপারে খুবই আত্মবিশ্বাসী এবং অবশ্যই আমি নিজেও। অবশ্যই সত্যটা বেরিয়ে আসবে।’
‘সবচেয়ে বড় কথা আমি ফুটবল খুব উপভোগ করছি। আমার জীবন উপভোগ করছি। আমি জানি আমি একজন উদাহরণ। আমি খুবই সুখী একজন মানুষ। আমি সৌভাগ্যবান যে আমি দারুণ একটি ক্লাবে খেলছি। আমার চারটি সন্তান আছে। আমি স্বাস্থ্যবান। আমার সব কিছু আছে। তাই এইসব আমার সুখে হস্তক্ষেপ করতে পারেনা। আমি খুব সুখে আছি। অনেক।’ – যোগ করে আরও বলেন রোনালদো।
রোনালদোর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ
ঘটনাটি ২০০৯ সালের ১২ জুনে। মায়োগরা জানিয়েছেন, এক নৈশ ক্লাবে দেখা হওয়ার আলাপের পর নাম্বার বদল হয় দুই জনের। পর দিন রাতে মায়োরগাকে পামস ক্যাসিনো রিসোর্টে নিমন্ত্রণ জানান রোনালদো। সেখানেই তাকে যৌন হয়রানির পর একপর্যায়ে ধর্ষণ করেন এ পর্তুগিজ তারকা। ধর্ষণের পর অবশ্য ক্ষমা চেয়েছিলেন রোনালদো।পরদিনই পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছিলেন মায়োরগা। পরে তার আইনজীবী ও রোনালদোর মধ্যে সমঝোতা হয়। সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন না হতে ৩ লাখ ৭৫ হাজার ডলার ক্ষতিপূরণ দেন রোনালদো।
তবে এ তথ্য কখনো প্রকাশ করা যাবে না এমনই চুক্তি হয়েছিল দুই জনের মধ্যে। তবে গত বছর হ্যাশট্যাগ ‘মি টু’আন্দোলনে নিজের পরিচয় প্রকাশের সাহস পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন মায়োরগা। এ নিয়ে ‘ডার স্পেইগেল গত বছরই সংবাদ প্রকাশ করেছিল। তবে মায়োরগার অনুমতি না মেলায় এ নিয়ে বেশি দূর এগোয়নি সংবাদমাধ্যমটি। তবে এবার ফলাও করে ছাপানো হয়েছে সে ঘটনা।
কে এই ক্যাথরিন মায়োরগা?
৩৪ বছর বয়সী ক্যাথরিন মায়োরগা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক মডেল। ২০০৯ সালে ‘রেইন’নাইটক্লাবে একজন প্রোমোটার হিসেবে কাজ করতেন কালো চুল ও সবুজ চোখের এ সুন্দরী। লা ভেগাসে পরিবারের সঙ্গে ছুটিতে যাওয়ার পর রোনালদোর সঙ্গে পরিচয় হয় তার। পরে অবশ্য সে চাকুরী বাদ দিয়ে শিক্ষিকা হিসেবে যোগ দেন একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। সম্প্রতি সে চাকুরীও ছেড়ে দিয়েছেন তিনি।
Comments