জাতীয় লিগের চার ম্যাচেই সমান তালে লড়াই
ওয়ালটন জাতীয় ক্রিকেট লিগের চতুর্থ রাউন্ডের ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে দারুণ লড়াই চলছে। চারটি ম্যাচেই সমান তালে লড়ছে দলগুলো। প্রথম স্তরের ম্যাচে খুলনাকে প্রথম ইনিংসে ৩০৯ রান আটকে ৫ উইকেটে ২০২ রান তুলেছে রাজশাহী। রংপুর ও বরিশাল দুই দলেরই প্রথম ইনিংস ১৪৭ রানে শেষ হওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৩ উইকেটে ৭৭ রান করেছে বরিশাল।
লড়াই চলছে দ্বিতীয় স্তরেও। ঢাকা বিভাগের প্রথম ইনিংস ২৮৮ রানে আটকে দেওয়ার পর ৮ উইকেটে ২২৩ রান করেছে চট্টগ্রাম বিভাগ। আর নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৩১২ রান করার পর ২৬৭ রানের ঢাকা মেট্রোর ৮ উইকেট তুলে নিয়েছে সিলেট বিভাগ।
খুলনা বিভাগ বনাম রাজশাহী বিভাগ
আগের দিনের ৭ উইকেটে ২৮১ রানে ব্যাট করতে নামা খুলনা বিভাগ এদিন শেষ তিন উইকেট হারিয়ে যোগ করতে পারে ২৮ রান। আর নিজেদের প্রথম ইনিংসে উইকেটে সেট হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেনি রাজশাহীর ব্যাটসম্যানরা। দলের সব ব্যাটসম্যানই পৌঁছান দুই অঙ্কের কোটায়। সর্বোচ্চ ৫৬ রান আসে ফরহাদ হোসেনের ব্যাট থেকে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
খুলনা বিভাগ প্রথম ইনিংস : ৩০৯ (মেহেদি ১১, বিজয় ৫৬, সৌম্য ৬৬, তুষার ৭১, আফিফ ১৪, সোহান ২৫, জিয়াউর ৪৩, নাহিদুল ০, মইনুল ১৩, আল-আমিন ৭, রবিউল ২; শফিউল ৩/৬১, রেজা ৩/৫৪, সাকলাইন ০/৪৬, মুক্তার ১/৪৩, ফরহাদ ০/১৬, সানজামুল ৩/৭৩, মাইশুকুর ০/৯, সাব্বির ০/৬)।
রাজশাহী বিভাগ প্রথম ইনিংস : ২০২/৫ (মাইশুকুর ১৪, মিজানুর ৪৩, জুনায়েদ ৪৭, ফরহাদ ৫৬, জহুরুল ১৫, সাব্বির ১৬, মুক্তার ০; আল-আমিন ২/৬২, রবিউল ০/২৪, মইনুল ১/২৮, সৌম্য ২/৪১, আফিফ ০/৮, নাহিদুল ০/১৬, মেহেদি ০/১৭)।
রংপুর বিভাগ বনাম বরিশাল বিভাগ
আগের দিনের ২ উইকেটে ৩৫ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামা বরিশাল বিভাগ পেসার শুভাশিস রায়ের বোলিং তোপে পরে এদিন ১৪৭ রানে অলআউট হয়ে যায়। প্রথম ইনিংসে রংপুরও ১৪৭ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল। মাত্র চার ব্যাটসম্যান ছুঁতে পেরেছেন দুই অঙ্কের কোটা। সর্বোচ্চ ৪০ রান আসে রাফসান মাহমুদের ব্যাট থেকে। রংপুরের শুভাশিস নেন ৫ উইকেট।
নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে ৭৭ রানে ৩ উইকেট হারিয়েছে রংপুর। সর্বোচ্চ ৩০ রান করেছেন রাকিন আহমেদ। নাঈম ইসলাম ০ ও সোহরাওয়ার্দী শুভ ৬ রান নিয়ে ব্যাট করছেন। রংপুরের ৩টি উইকেটই পেয়েছেন বরিশালের মনির হোসেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
রংপুর বিভাগ প্রথম ইনিংস : ১৪৭।
দ্বিতীয় ইনিংস : ৭৭/৩ (মারুফ ১০, রাকিন ৩০, মাহমুদুল ২৭, নাঈম ০, সোহরাওয়ার্দী ৬; রাব্বি ০/১৪, তৌহিদুল ০/৯, মনির ৩/১২, মোসাদ্দেক ০/০, গাজী ০/২০, নুরুজ্জামান ০/১২, তানভীর ০/৬)।
বরিশাল বিভাগ প্রথম ইনিংস : ১৪৭ (নাফীস ০, রাফসান ৪০, শামসুল ২, আল-আমিন ১৬, মোসাদ্দেক ৪, গাজী ০, নুরুজ্জামান ১৮, মনির ১, রাব্বি ২৭, তানভীর ১, তৌহিদুল ৪; শুভাশিস ৫/৪৯, রবিউল ২/২৬, সঞ্জিত ০/৬, মাহমুদুল ০/২, সাজেদুল ১/২২, তানবীর ২/১৯)।
ঢাকা বিভাগ ও চট্টগ্রাম বিভাগ
রাজশাহী বিভাগের মতো এদিন চট্টগ্রামের ব্যাটসম্যানরাও সেট হয়ে ইনিংস বড় করতে পারেননি। প্রথম সারির ব্যাটসম্যানদের মধ্যে একমাত্র মুমিনুল হক ফিরেছেন ০ রানে। বাকি সবাই দুই অঙ্কের কোটা পার হলেও তার সদ্ব্যবহার করতে পারেনি। ফলে ২২৩ রানেই ৮ উইকেট হারিয়ে ফেলে দলটি। সর্বোচ্চ ৬০ রান আসে ইয়াসির আলীর ব্যাট থেকে। এছাড়া ইফতেখার সাজ্জাদ ৪৬ ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ৪০ রান করেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
ঢাকা প্রথম ইনিংস : ২৮৮।
চট্টগ্রাম প্রথম ইনিংস : ২২৩/৮ (সাদিকুর ১৪, পিনাক ২২, মুমিনুল ০, ইয়াসির ৬০, তাসামুল ১৫, মাহিদুল ৪০, ইফতেখার ৪৬, নাঈম ১৬*, রানা ৩, শাখাওয়াত ০*; শাহাদাত ১/২৯, শাকিল ১/৩৯, শুভাগত ১/৫২, মোশাররফ ২/৫১, তাইবুর ১/৩৮, সাইফ ১/৯, নাজমুল ০/০)।
সিলেট বিভাগ বনাম ঢাকা মেট্রো
আগের দিনের ৯ উইকেটে ২৯২ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামা সিলেট এদিন শেষ উইকেটটি হারিয়ে যোগ করে মূল্যবান ২৩ রান। নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেটে ২৬৭ রান করে দিন শেষ করেছে মেট্রো। সর্বোচ্চ ৭৪ রান এসেছে অধিনায়ক মার্শাল আইয়ুবের ব্যাট থেকে। শামসুর রহমান করেন ৬৩ রান। জাবিদ হাসান ৩৯ রানে অপরাজিত আছেন। সিলেটের পক্ষে ৪টি উইকেট নিয়েছেন খালেদ আহমেদ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
সিলেট প্রথম ইনিংস : ৯৮ ওভারে ৩১২ (ইমতিয়াজ ৩১, শানাজ ৬০, জাকির ৫০, রাজিন ১০, কাপালী ২০, শাহানুর ৫৪, জাকের ১৫, এনামুল ৫, আবু জায়েদ ২৬, খালেদ ১৮*, এবাদত ১১; শহিদুল ১/৫০, অনিক ২/৬১, সৈকত ১/২৫, সানি ২/৬৩, আসিফ ২/৪৩, আশরাফুল ২/৬৫)।
ঢাকা মেট্রো প্রথম ইনিংস : ৭৯ ওভারে ২৬৭/৮ (সাদমান ১৮, সৈকত ১৬, শামসুর ৬৩, মার্শাল ৭৪, আশরাফুল ১৪, মেহরাব ৬, জাবিদ ৩৯*, অনিক ৮, শহিদুল ১০, আসিফ ২*; আবু জায়েদ ০/৭১, এবাদত ০/২২, খালেদ ৪/৬৯, শাহানুর ২/৪২, এনামুল জুনিয়র ১/৫৭)।
Comments