ডিসমিসালে মুশফিকের ডাবল সেঞ্চুরি

প্রথম ওয়ানডেতে নিয়েছিলেন একটি ক্যাচ। মাইলফলক স্পর্শ করতে মুশফিকুর রহিমের দরকার ছিল আরও দুটি ডিসমিসাল। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে নিলেন ৩টি ক্যাচ। তাতে হয়ে গেল রেকর্ড। প্রথম বাংলাদেশি উইকেটরক্ষক হিসেবে ওয়াডেতে এখন ২০০ ডিসমিসালের মালিক এখন মুশফিক।
উইকেটের পেছনে মুশফিকের ভুল নিয়েও সমালোচনা হয় প্রায়ই। উইকেটকিপিং বাদ দিয়ে তিনি কেন কেবল ব্যাটিংয়ে মনোযোগ দেন না এই নিয়েও প্রশ্ন এসেছে বহুবার। টেস্টে ছাড়লেও ওয়ানডেতে কিপিংটা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। আর এতে সমৃদ্ধ হচ্ছে তার পরিসংখ্যানও।
বাংলাদেশের হয়ে এমন রেকর্ড মুশফিকেরই সবার আগে হবে, এটা অনুমিতই ছিল। ২০০৬ সালে অবসরে যাওয়া খালেদ মাসুদের ১২৬টি ডিসমিসালের রেকর্ড যে তিনি অনেক আগেই ছাড়িয়ে এসেছেন। তার আশেপাশেও নেই আর কেউ।
বর্তমান জাতীয় দলে খেলাদের মধ্যে লিটন দাস আছে ১০ ডিসমিসাল নিয়ে। ১৯৪ ম্যাচে দুশো ডিসমিসালে পৌঁছালেন মুশফিক। তাতে ক্যাচ আছে ১৫৯টি, স্টাম্পিং ৪২টি।
বুধবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের বলে শেন উইলিয়ামসের ক্যাচ নিয়ে ল্যান্ডমার্কে পৌঁছান মুশফিক।
একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সব মিলিয়ে সর্বোচ্চ ডিসমিসালের রেকর্ড শ্রীলঙ্কান কুমার সাঙ্গাকারার। ৪৮২ ডিসমিসাল নিয়ে সবার উপরে তিনি। দুইয়ে থাকা অ্যাডাম গিলক্রিস্ট নিয়েছেন ৪৭২ ডিসমিসাল।
বর্তমানে খেলা চালিয়ে যাওয়াদের মধ্যে ৪২০ ডিসমিসাল নিয়ে সবার উপরে আছেন ভারতের মহেন্দ্র সিং ধোনী।
Comments