বিমানবন্দরে হয়রানি: কোর্স করিয়ে ভালো আচরণ শেখানো যাবে?

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হয়রানি এবং ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের কাছ থেকে অপ্রাসঙ্গিক ও অসম্মানজনক প্রশ্ন শোনা মানুষের সংখ্যা অগণিত। যারা এই লেখাটি পড়ছেন, আমার ধারণা তাদেরও অনেকের এমন তিক্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হয়রানি এবং ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের কাছ থেকে অপ্রাসঙ্গিক ও অসম্মানজনক প্রশ্ন শোনা মানুষের সংখ্যা অগণিত। যারা এই লেখাটি পড়ছেন, আমার ধারণা তাদেরও অনেকের এমন তিক্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে।

শুধু ইমিগ্রেশন নয়, বিমানবন্দরে ঢোকার আগে লাগেজ বহনের জন্য ট্রলি পাওয়া থেকে শুরু করে দেশে ফিরে ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস পার হয়ে বাইরে এসে প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস কিংবা সিএনজিচালিত অটোরিকশা পাওয়া পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে হয়রানি ও বিরক্তিকর অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়।

সরকারের নীতিনির্ধারকরা এসব জানেন। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষেরও বিষয়টি অজানা নয়। এরকম বাস্তবতায় এবার বিমানবন্দরের কর্মীদের ভালো আচরণ শেখানোর জন্য কোর্স চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মোহাম্মদ মফিদুর রহমানের উদ্ধৃতি দিয়ে গত বুধবার একাধিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, 'বিমানবন্দরে সাধারণ যাত্রীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যাত্রীদের সঙ্গে যাতে বিমানবন্দর কর্মীরা ভালো ব্যবহার করেন সেজন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ কোর্স চালু করা হবে। বিমানবন্দরে কর্মরত ইমিগ্রেশন, কাস্টমস, পুলিশ সবাই এর আওতায় থাকবে। যাত্রীদের কথা চিন্তা করে এটা করা হচ্ছে। যাত্রীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে কেউ এখানে চাকরি করতে পারবে না।'

বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশনে যাত্রীদের অপ্রাসঙ্গিক ও অসম্মানজনক প্রশ্ন করা, বিশেষ করে প্রবাসী শ্রমিকদের হেয় করে কথা বলার অভিযোগ বহু পুরনো। অথচ এই মানুষগুলোর পাঠানো অর্থেই দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রয়েছে। করোনা মহামারিসহ বৈশ্বিক নানা সংকটের ভেতরেও দেশের অর্থনীতি যে একটা মোটামুটি স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে, সেখানে প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ বা রেমিট্যান্স অন্যতম প্রধান শক্তি। অথচ সেই রেমিট্যান্স যোদ্ধারাই দেশের মাটিতে পা রেখে বিমানবন্দরে নানাভাবে অসম্মানিত হন।

এরপর বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে বাসায় যাওয়ার জন্য কোনো গণপরিবহন পান না। সিএনজিচালিত অটোরিকশা বা প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসগুলোর চালকরাও ৩ থেকে ৪ গুণ ভাড়া হাঁকে। তারাও বিদেশফেরত মানুষের পকেট কাটার জন্য ওঁত পেতে থাকেন। আবার এসব সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও প্রাইভেটকারকে বিমানবন্দর থেকে যাত্রী নিয়ে গিয়ে নানা জায়গায় চাঁদা দিতে হয়। চাঁদা দিতে না হলে তারা যাত্রীদের কম ভাড়ায় গন্তব্যে নিয়ে যেতে পারতেন।

তার মানে শুধু বিমানবন্দরের ভেতরে হয়রানি ও অনিয়ম, বিশৃঙ্খলা এবং চুরিই নয়, বরং বিমানবন্দরের বাইরেও যাত্রীদের জন্য অপেক্ষা করে নানাবিধ অস্বস্তি।

এরকম বাস্তবতায় বেবিচক চেয়ারম্যান জানালেন, বিমানবন্দরের কর্মীদের ভালো আচরণ শেখানোর জন্য কোর্স করানো হবে। প্রশ্ন হলো, কোর্স করিয়ে কি ভালো আচরণ শেখানো যায়? সবাই তো এই কোর্স করার সুযোগ পাবেন না। যারা কোর্স করবেন তাদের অনেকের মানসিকতায় হয়তো কিছুটা পরিবর্তন আসবে। কিন্তু যারা কোর্স করবেন না, তাদের কী হবে?

চোরকে পরকালের ভয় দেখিয়ে বা নীতি-নৈতিকতার কথা শুনিয়ে খুব একটা লাভ হয় না। বরং সে যাতে চুরি না করে সেজন্য তার আর্থিক অবস্থা ভালো করার উদ্যোগ নিতে হয়। তারপরও সে চুরি করলে বোঝা যাবে এটা তার খাসলত, বদলাবে না। অতএব তাকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। একই কথা বিমানবন্দরের কর্মীদের জন্যও প্রযোজ্য। বছরের পর বছর তাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগের পাহাড় জমেছে, সেই তুলনায় শাস্তি পেয়েছেন কতজন? কতটি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হয়েছে? দেশ স্বাধীন হওয়ার ৫১ বছর পরে এসে বেবিচকের একজন চেয়ার‌ম্যান বললেন, 'যাত্রীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে কেউ এখানে চাকরি করতে পারবে না।' এমন কঠোর বার্তা এর আগে কোনো মন্ত্রী বা চেয়ারম্যান দিয়েছেন? তার মানে, লেট বেটার দ্যান নেভার। দেরিতে হলেও তারা যাত্রীদের অসুবিধা বুঝতে পারছেন।

মুশকিল হলো, আমাদের কর্তাব্যক্তিরা অনেক কথাই বলেন। অনেকে হয়তো পরিস্থিতি বদলাতেও চান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অনেক কিছুই আর আলোর মুখ দেখে না। যেমন প্রধানমন্ত্রী সব সময়ই দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের কথা বলেন। অথচ কোনো একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের নাম কি বলা সম্ভব, যেটি দুর্নীতিমুক্ত হয়েছে বা যেখানে দুর্নীতি কমেছে? বরং সাম্প্রতিক বছরগুলোয় সরকারি কেনাকাটা ও উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা কীভাবে লুটপাট হয়েছে, তার অনেক খবর গণমাধ্যমে এসেছে।

তাহলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে এই জিরো টলারেন্সের ঘোষণা কী অর্থ বহন করে? যারা এই ঘোষণার পরেও দুর্নীতি করছেন, ঘুষ ছাড়া কাজ করছেন না, জনগণের কষ্টার্জিত পয়সা বিদেশে পাচার করছেন—তারা কি স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীকেই অসম্মানিত করছেন না বা তাকে চ্যালেঞ্জ করছেন না?

দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্সের প্রতি সম্মান জানিয়ে রাষ্ট্রের অন্তত একটি প্রতিষ্ঠানও কি নিজেদের সম্পূর্ণ ঘুষ, অনিয়ম ও দুর্নীতিমুক্ত করতে পেরেছে? অন্তত একটি প্রতিষ্ঠানের নাম কি বলা সম্ভব, যেখানে ক্ষমতাবান বা প্রভাবশালী না হয়েও, কাউকে পয়সা না দিয়েও, কোনো ধরনের হয়রানি বা অহেতুক সময়ক্ষেপণের শিকার না হয়েও রাষ্ট্রের একেবারে সাধারণ একজন মানুষও দ্রুততার সঙ্গে তার কাঙ্ক্ষিত সেবাটি পাচ্ছেন? সম্ভবত এরকম একটি প্রতিষ্ঠানে নামও নির্দ্বিধায়, সাহসের সঙ্গে উচ্চারণ করা সম্ভব নয়।

তাহলে সারা দেশে এই যে হাজারো সরকারি প্রতিষ্ঠানে সেবা নিতে গিয়ে মানুষ প্রতিনিয়ত নাজেহাল হচ্ছে; সেবা পাওয়ার জন্য অসহায়ের মতো সরকারি হাসপাতালের বারান্দায় বারান্দায় ঘুরছে এবং জনগণের করের পয়সায় যাদের বেতন হয়, সেই কর্মচারীরা যে সাধারণ মানুষকে তাদের অধীনস্থ ভাবেন; তাদের কতজনকে কোর্স করিয়ে ভালো আচরণ শেখানো যাবে? তাদের বিরাট অংশ তো মানুষকে মানুষই ভাবেন না। অথবা তারা ভাবেন, মানুষের কাজ করে দেওয়ার বিনিময়ে ঘুষ বা স্পিড মানি নেওয়াটা তাদের অধিকার। অথচ ওই কাজের জন্য তাকে যে সরকার বেতন দেয়, এবং সেই বেতনটা যে সেবা নিতে যাওয়া সাধারণ মানুষেরই করের পয়সা, এই বোধটুকু তাদের ভেতরে কাজ করে না।

তাহলে প্রশ্ন ওঠে, সরকারি কর্মচারীরা নিয়োগ পাওয়ার পরে দেশে-বিদেশে নানারকম প্রশিক্ষণ ও কোর্সে অংশ নেন। সেইসব কোর্সে তাদের কী শেখানো হয়? জনগণকে চাকর-বাকর বা অধীনস্থ ভাবার শিক্ষা দেওয়া হয়?

ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা কেন যাত্রীদের সঙ্গে, বিশেষ করে প্রবাসীদের সঙ্গে অসম্মানজনক আচরণ করেন বা অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্ন করেন? সম্ভবত এটি তারা করেন একধরনের হীনমন্যতা থেকে। একধরনের ঈর্ষা থেকে যে এই মানুষগুলো বিদেশে বসে অনেক টাকা উপার্জন করেন, দেশে টাকা পাঠান, বাড়িতে দালান তোলেন, তাদের আর্থিক অবস্থার উন্নতি হয়। ইমিগ্রেশনের অনেক কর্মকর্তা হয়তো মনে মনে ভাবেন, এইসব কম পড়ালেখা করা মানুষ বিদেশে গিয়ে কত টাকা কামায়! অথবা তিনি সরকারি কর্মচারী হিসেবে নিজেদেরকে সাধারণ মানুষের চেয়ে সুপিরিয়র ভাবেন এবং এমন ভাবনা থেকেই যাত্রীদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন, অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্ন করেন।

সুতরাং এই বোধ যদি তার মগজে গেঁথে থাকে, তাহলে তাকে কোর্স করিয়ে কতটুকু লাভ হবে সেটি বিরাট প্রশ্ন। তবে এই ধরনের কোর্স যে একেবারে কোনো কাজে দেয় না, তাও ঠিক নয়। হতে পারে ১০০ জন প্রশিক্ষণ নিলে ১০ জনের চিন্তায় পরিবর্তন আসবে। সেই ১০ জন হয়তো যাত্রীদের সঙ্গে ভালো আচরণ করবেন। কিন্তু প্রশিক্ষণ নেওয়ার পরে শতভাগ কর্মকর্তার আচরণ বদলে যাবে, সেটি ভাবার কোনো কারণ নেই। এর জন্য সিস্টেম পরিবর্তন করা জরুরি।

দেশের সব সরকারি প্রতিষ্ঠান একভাবে চলবে আর বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা সেখানে ফেরেশতার মতো ভালো হয়ে যাবেন, এটি ভাবার কোনো কারণ নেই। সবই সিস্টেমের অংশ। কাজে যদি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি এবং অপরাধের শাস্তি নিশ্চিত করা না যায়, তাহলে শুধু ভালো কথা বলে, নীতিবাক্য শুনিয়ে লাভ নেই। মানুষ নীতি কথায় প্রভাবিত হওয়ার চেয়ে শাস্তিকে বেশি ভয় পায়।

যদি বিমানবন্দরে যাত্রী হয়রানির অভিযোগ জানানোর জন্য একটি হটলাইন থাকে এবং ভুক্তভোগীরা সেখানে অভিযোগ জানায়; যদি অভিযোগগুলো সঠিক তদন্ত করে তাৎক্ষণিকভাবে অভিযুক্ত কর্মকর্তাকে শাস্তি দেওয়া যায়, তার বেতন বন্ধ করে দেওয়া যায়, তাহলে এক মাসের মধ্যে তাদের আচরণ বদলে যাবে। এর জন্য কোনো কোর্সের প্রয়োজন হবে না।

ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে ঢুকে কেউ ট্রাফিক সিগন্যাল অমান্য করেন না, অহেতুক হর্ন বাজান না। এমনকি ফুটপাতে চিপসের খোসাটাও ফেলেন না। অথচ ওই একই ব্যক্তি ক্যান্টনমেন্টের বাইরে এলেই অহেতুক হর্ন বাজাতে থাকেন। এমনকি জ্যামের ভেতরেও অব্যাহতভাবে হর্ন বাজান। সিগন্যাল অমান্য করেন। অসুস্থ প্রতিযোগিতায় নামেন। ট্রাফিক পুলিশকে হাত উঁচিয়ে এমনকি দড়ি বেঁধে গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। কিন্তু একই ব্যক্তি ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে ঢুকে কীভাবে বদলে যায়? তাকে তো কোনো কোর্স করানো হয়নি। অর্থাৎ তিনি শাস্তিকে ভয় পান।

অতএব বিমানবন্দরের কর্মকর্তাদের ভালো আচরণ শেখানোর কার্যক্রমটি তখনই কার্যকর হবে, যখন এইসব উদ্যোগের পাশাপাশি কাজের ক্ষেত্রে তাদের জবাবদিহি নিশ্চিত করা যাবে। আইনের প্রয়োগ তথা শাস্তি নিশ্চিত করা যাবে। দুর্নীতি, দুই নম্বরি, অনিয়মের সকল রাস্তা খুলে রেখে বিমানবন্দরের কর্মীদের ভালো আচরণের কোর্স করানো হলে তাতে রাষ্ট্রের কিছু পয়সা খরচ হবে বটে, আখেরে এগুলোও সরকারি কর্মকর্তাদের ঘাস চাষ কিংবা পুকুর কাটা শিখতে বিদেশ সফরের মতো ঘটনায় পর্যবসিত হবে।

সুতরাং, বেবিচক চেয়ারম্যান যা বলেছেন, যে স্পিরিটে তিনি যাত্রীদের সুরক্ষা ও সম্মানের বিষয়ে কথা বলেছেন, আশ্বাস দিয়েছেন, এটি জরুরি। রাতারাতি সবকিছু বদলে দেওয়া না গেলেও অন্তত পরিবর্তনের সূচনাটা হওয়া দরকার এবং কোনো একটা সংস্কার কাজ শুরু করে সেটা কিছুদিন পরে বন্ধ করে না দিয়ে অব্যাহত রাখা দরকার। পরবর্তীতে যিনি চেয়ারম্যান আসবেন, তাকেও এই স্পিরিট ধারণ করতে হবে। আগামী জাতীয় নির্বাচনের পরে যে মন্ত্রী আসবেন, মন্ত্রণালয় ও প্রশাসনের যেসব কর্মকর্তা বিমানবন্দরের ইস্যুগুলো দেখভালের দায়িত্বে আছেন, তাদের সবাইকে এটা বিশ্বাস করতে হবে যে দেশের বিমানবন্দরগুলো সত্যিই যাত্রীবান্ধব হবে।

যে প্রবাসীদের পাঠানো টাকায় দেশের অর্থনীতি সচল থাকে, তারা দেশের মাটিতে পা রেখে এবং দেশ ছেড়ে যাওয়ার সময় সর্বোচ্চ সম্মানটুকু পাবেন। কারণ যখন তারা দীর্ঘদিনের মতো দেশ ছেড়ে যান, তখন প্রত্যেকের মন খারাপ থাকে। প্রত্যেকের চোখে জল থাকে। তারা বাবা মা, স্বামী স্ত্রী, সন্তান, বন্ধু ও প্রিয়জনদের ছেড়ে চলে যান। একইভাবে দীর্ঘদিন পরে যখন দেশের মাটিতে পা রাখেন, তখনও আনন্দে তাদের চোখ অশ্রুসজল হয়। সুতরাং এরকম স্পর্শকাতর মুহূর্তে যদি বিমানবন্দরের কর্মীদের দ্বারা তাদের হয়রানি ও নাজেহাল হতে হয়, অসম্মানিত হতে হয়, তাহলে সেই অসম্মানটা যতটা না ওই প্রবাসীদের, তারচেয়ে বেশি রাষ্ট্রের, সরকারের এবং জনগণের।

লেখক: কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স এডিটর, নেক্সাস টেলিভিশন

(দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদকীয় নীতিমালার সঙ্গে লেখকের মতামতের মিল নাও থাকতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির আইনগত, মতামত বা বিশ্লেষণের দায়ভার সম্পূর্ণরূপে লেখকের, দ্য ডেইলি স্টার কর্তৃপক্ষের নয়। লেখকের নিজস্ব মতামতের কোনো প্রকার দায়ভার দ্য ডেইলি স্টার নেবে না।)

Comments

The Daily Star  | English

Trial of murder case drags on

Even 11 years after the Rana Plaza collapse in Savar, the trial of two cases filed over the incident did not reach any verdict, causing frustration among the victims.

9h ago