অতিরিক্ত ভালবাসায় সন্তানের কাছে জিম্মি হয়ে যাচ্ছি কি

‘আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে’, এই বাসনা নিয়ে মা-বাবা তাদের সন্তানকে বুক দিয়ে আগলে রাখেন, নিরাপত্তা দেন, তাদের সকল সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে চান। তারা স্বপ্ন দেখেন, সন্তান একদিন মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে।

'আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে', এই বাসনা নিয়ে মা-বাবা তাদের সন্তানকে বুক দিয়ে আগলে রাখেন, নিরাপত্তা দেন, তাদের সকল সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে চান। তারা স্বপ্ন দেখেন, সন্তান একদিন মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে।

অনেক পরিবারেই বাবা-মায়ের এই ভালবাসা ও সন্তানকেন্দ্রিক নির্ভরতা বাড়তে বাড়তে এমন এক স্তরে পৌঁছেছে, যেখানে বাবা-মা সন্তানের কাছে প্রায় জিম্মি হয়ে যাচ্ছেন। সন্তান বড় হওয়ার পাশাপাশি বাবা-মাকে নিয়ন্ত্রণ করা শিখছে, স্বাধীনভাবে থাকতে চাইছে, মত প্রকাশ করছে কিন্তু নিজের দায়িত্ব ও কর্তব্যবোধ থেকে দূরে সরে যাচ্ছে।

বিশেষ করে এ সময়ের ধনী ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোতে দেখা যায়, অনেক মা-বাবাই সন্তানের ইচ্ছা-অনিচ্ছায় চালিত হচ্ছেন বা চলতে বাধ্য হচ্ছেন। এখন প্রায় সব ঘরেই একজন বা দুজন করে সন্তান এবং এই চোখের মণিদের বাবা-মায়েরা সাধ্যমতো বা সাধ্যের বাইরে গিয়েও ভালো রাখার চেষ্টা করেন।

সন্তান বড় করার সময় আমরা প্রায় সবাই তাদেরকে রূপকথার গল্প শুনিয়ে বড় করি। বলি যে, তোমরাই আমাদের গল্পের রাজপুত্র, রাজকন্যা। তোমাদের চাওয়া-পাওয়া, ভালো থাকা, বড় হওয়াই আমাদের কাছে সব। আধুনিককালের অনেক অভিভাবক শত কষ্ট হলেও বুঝতে দিতে চান না তাদের প্রকৃত সামর্থ্য কতটা এবং সংসারের চাহিদার দিকটি। বুঝতে দিতে চান না বাবা-মা তাদের কতটা দিতে পারবে এবং বাবা-মায়ের কাছে তাদের কতটা চাওয়া উচিৎ।

রাজপুত্র ও রাজকন্যাদের জীবন যেমন জৌলুসে ঠাসা, তেমনি আমাদের শিশুরাও মনে করতে শুরু করে, তাদের বাবা-মায়ের জীবনটাও হয়তো তেমনই। আলো ঝলমলে, রাজকীয়, চারিদিকে শুধু আনন্দ, বিত্ত, অর্থ ও প্রতিপত্তি। সুযোগ-সুবিধা ও অতিরিক্ত প্রশ্রয় দিয়ে আমরা অনেকেই সন্তানকে এমনভাবে বড় করতে থাকি যে, সন্তান বাবা-মায়ের সক্ষমতার কথা চিন্তা না করেই আবদার করে, কান্নাকাটি করে, না দিতে পারলে চাপ দেয়, দিতে না পারার ব্যর্থতার জন্য বিদ্রোহ করে, এমনকি আত্মহত্যাও করে।

আমার পরিচিত এক তরুণী ভালবেসে বাবা-মায়ের অমতে এমন একটি ছেলেকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়, যার সম্পর্কে কোনো ভালো তথ্য খুঁজে পাননি তার বাবা-মা। তাদের তীব্র আপত্তি সত্ত্বেও মেয়েটি একাই যখন সবকিছু ঠিক করে ফেলে, তখন তারা আক্ষেপ করে বলেন, 'মেয়ে চাইলে আকাশের চাঁদ এনে দেওয়ার চেষ্টা করতাম। কখনো কোনো আবদারে না করিনি। নিজেদের কষ্ট হলেও ওকে সবকিছু দিতে চেষ্টা করেছি, বুঝতে দেইনি সংসারে অভাব কী জিনিস। আর আজকে আমার মেয়ে আমার কথা কানেই তুলছে না। উপরন্তু খুব খারাপ ব্যবহার করছে।' সেদিন তাদের বলে ফেলেছিলাম, মেয়ে চাইলেই আকাশের চাঁদ পেড়ে দেওয়ার চেষ্টা করাটাই ভুল ছিল এবং আজকে তার মাশুল দিচ্ছেন।

সন্তানের কাছে নানাভাবে প্রকাশ করতে হবে যে আমরা তাদের ভালবাসি, স্নেহ করি, তার মতামতকে সম্মান করি। সন্তানের ভালোর জন্য, খুশির জন্য বাবা-মা অবশ্যই সর্বোচ্চটা করার চেষ্টা করবেন, কিন্তু সেটা যেন সাধ্যের বাইরে গিয়ে না হয়।

শিশু সুন্দর কিছু বা অন্য বন্ধুর মতো কিছু কোনো জিনিস চাইতেই পারে, না দিলে জেদ করতে পারে, কাঁদতে পারে বা মন খারাপ করতে পারে। কিন্তু এর বেশি কিছু যেন না করে, সেটা বাবা-মাকেই বুঝাতে হবে। যখন তখন যেকোনো কিছু সন্তানের সামনে হাজির করলে তা বুমেরাং হয়ে উঠতে পারে।

একটা বয়স পর্যন্ত মা-বাবা সন্তানকে অতিরিক্ত আহ্লাদ-আদর দেন। যা চায়, তাই দেওয়া হয়। এরপর সন্তান যখন বয়ঃসন্ধিকালে পৌঁছে, তখনই শুরু হয় সংঘাত। তখন অধিকাংশ ক্ষেত্রে সন্তানের দাবি দাওয়া ও চাহিদার সঙ্গে অভিভাবকের মতের মিল নাও হতে পারে। এদিকে শিশু এটা জেনেই বড় হয় যে, তার অবস্থান পরিবারে একছত্র, তার চাওয়াই বাবা-মায়ের কাছে শেষ কথা। সে যেভাবে বলবে, তাই হবে। ফলে, এর কোনো ব্যত্যয় হলে অভিভাবকের সঙ্গে সন্তানের দ্বন্দ্ব শুরু হয়, বাড়ে মানসিক দূরত্ব। বাবা-মা যখন তার চাহিদা মেটাতে পারেন না বা কম পারেন, তখনই ছেলেমেয়েরা নানাভাবে বিপথগামী হয়ে যেতে পারে। এই চাওয়া ও পাওয়ার ফাঁক দিয়ে সন্তানের সঙ্গে বাবা-মায়ের মানসিক যোগাযোগ কমে যায়।

ইন্টারপারসোনাল যোগাযোগ পড়তে গিয়ে আমরা জেনেছি, অন্যের যে আচরণে আমরা মনোযোগ দেই, সে আচরণ করতে তারা আরও উৎসাহ পায় এবং তারা সেটা আবার করে। সন্তানের ক্ষেত্রেও এই কথা প্রযোজ্য। তাদের প্রতি এই মনোযোগ দেওয়ার ব্যাপারটা নানাভাবে হতে পারে, যেমন সন্তানের আবদার পূরণ করে, প্রশংসা করে, পুরস্কার দিয়ে, আদর করে।

আবার মন্দ কাজের ক্ষেত্রে 'না' বলার মাধ্যমে বা 'স্পষ্ট করে কথা বলা'র মাধ্যমেও তাদের প্রত্যুত্তর দেওয়া যেতে পারে। সন্তান যেন বুঝতে পারে, তার এই আচরণ বাবা-মায়ের পছন্দ হয়নি বা কাঙ্ক্ষিত নয়। এভাবে সে তার আচরণ, জেদ, চাহিদাকে সংযত করতে শিখবে। সন্তানের অন্যায় চাহিদা ও সেটাকে কেন্দ্র করে বেয়াদবি করাকে একেবারেই প্রশ্রয় দেওয়া ঠিক না। আচরণ যদি অতিরিক্ত অগ্রহণযোগ্য হয়, তখন তার আদর-ভালবাসাসহ প্রাপ্য সুবিধা কমিয়ে দিতে হয়।

আজকাল অভিভাবকদের অনেকে নিজেদের অর্থনৈতিক শক্তি দেখানোর জন্য নৈতিকতাকে বিসর্জন দেন এবং সেই পথে উপার্জিত পয়সা দিয়ে সন্তানকে সুখ কিনে দেওয়ার চেষ্টা করেন। এতে কিন্তু সন্তানের ক্ষতি ছাড়া লাভ হয় না। অভিভাবকের মূল্যবোধের ভিত্তি দুর্বল হলে, সেই সন্তান কখনো ঠিক পথে বড় হতে পারবে না। অনেক অভিভাবক এটা ভুলে গিয়ে যেভাবে হোক টাকা আয় করে সন্তানকে অতিরিক্ত কিছু দিয়ে সন্তুষ্ট করতে চান।

সন্তানকে প্রয়োজনের অতিরিক্ত কিছু দিয়ে সুখী করার চেষ্টা করা ও চাহিদা বুঝতে না দেওয়াটা এক ধরণের অপরাধ, যা অনেক অভিভাবক করেন। এই কথাটি বলেছিলেন একজন অধ্যাপক। কথা প্রসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, পড়ানোর সুবাদে অসংখ্য শিক্ষার্থীকে তিনি দেখেছেন, তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন, মিশেছেন এবং বুঝতে পেরেছেন যে, যেসব ছেলেমেয়ে পরিবারে চাহিদা বুঝে বড় হয়েছে, তারা অনেকটাই সহনশীল স্বভাবের হয়, নিজেকে দ্রুত গড়ে তোলার চেষ্টা করে। তারা নিজের ও পরিবারের প্রয়োজন মেটানোর কথা ভাবে এবং সেই অনুযায়ী কাজ করে।

কিন্তু যেসব ছেলেমেয়ে প্রয়োজনের অতিরিক্ত পেয়ে বড় হয়, তারা কোনো ধরনের অপ্রাপ্তি মেনে নিতে পারে না। যখন কোনোকিছু না পায়, তখন ইমোশনাল বা ডিপ্রেসড হয়ে পড়ে। বাবা-মা কিছু দিতে না পারলে, তা জোর করে আদায়ের চেষ্টা করে। অথবা বাবা-মায়ের ওপর এমন চাপ সৃষ্টি করে, যা তাদেরকে জিম্মি করার শামিল হয়ে যায়।

আমরা সবাই চেষ্টা করি সন্তানকে সর্বোত্তম সুখ দিতে। আমাদের বাবা-মায়েরাও তাই করতেন। কিন্তু কীভাবে তারা সন্তানের জন্য সুখ যোগাড় করছেন, সেই পরিস্থিতি লুকাতেন না। তাদের কষ্টের কথা, অভাব-অনটন ও সক্ষমতার কথা সন্তানকে বুঝতে দিতেন। বাবা-মায়েরা যেটুকু দিতে পারছেন, সেটার পেছনে যে তাদের পরিশ্রম আছে, সেই বিষয়টা স্পষ্ট করে দিতেন। যাতে সন্তান বুঝতে পারে, বাবা-মা তাদের নিরাপদে ও সুখে রাখার জন্য অনেক কিছু করছেন।

আসল কথা হলো, সন্তানকে জীবনে চাহিদার ব্যাপারটা বুঝতে দিতে হবে। সেইসঙ্গে বুঝাতে হবে, কোনোকিছু পাওয়ার বা অর্জনের সুখ। বর্তমান সময়ে অনেক অভিভাবক সন্তানকে প্রয়োজনের তুলনায় এতো বেশি সুখ দেওয়ার চেষ্টা করেন যে শান্তিটা চলে যায়। অতিরিক্ত পেয়ে গেলে সন্তান পাওয়ার সুখটা বুঝতে চেষ্টা করে না, শেখে না ধন্যবাদ দিতে। মনে করে, এই পাওয়াটা তাদের অধিকার। আর কিছু দিতে না পারাটা হয়ে দাঁড়ায় বাবা-মায়ের ব্যর্থতা।

অনেক সময় বাবা-মা তাদের ব্যস্ততা ও অসচেতনতার কারণে ব্যক্তিগতভাবে সন্তানকে সময় দিতে পারেন না। সময় দিতে না পারার ব্যর্থতা ঢাকতে তারা সন্তানের হাতে তুলে দেন অপরিমিত অর্থ, প্রাচুর্য ও ব্যাপক স্বাধীনতা। এই প্রশ্রয় সন্তানকে করে তোলে বেপরোয়া, দুর্বিনীত ও অনেক ক্ষেত্রে অপরাধী।

সাধারণত প্রয়োজনের তুলনায় বেশি কিছু পেলে সন্তান, বিশেষ করে শিশু-কিশোররা যেমন সহজে মন্দ পথে পা বাড়ায়, তেমনি অপরাধীরাও খুব সহজে তাদের ব্যবহার করার সুযোগ পায়। অধিকাংশ অভিভাবক সন্তানকে 'সময় দেওয়ার পরিবর্তে সুবিধা দেওয়ার' ব্যাপারে বেশি উৎসাহী থাকেন। তারা মনে করেন, এটাই যথেষ্ট প্যারেন্টিং। তাই এখন শুধু দারিদ্রের কারণেই নয়, অতিরিক্ত পাওয়ার কারণেও সমাজের উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানরাও অপরাধ জগতে ব্যাপকভাবে জড়িয়ে যাচ্ছে।

শিশু-কিশোররা যখন প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি কিছু পেয়ে যায় এবং যখন তাদের কাজের বা আচরণের জন্য কোথাও কোনো জবাবদিহি করতে হয় না, যখন তারা দেখে অভিভাবক অসৎ ও অন্যায় করেও শক্তির জোরে টিকে আছে, তখন তারা খুব সহজেই বিপজ্জনক পথে পা বাড়ায়।

সন্তানের চাহিদার সবটাই সবসময় পূরণ করতে হবে, এমন কোনো কথা নেই, দরকারও নেই। জীবনে আমরা যা চাই, যেভাবে চাই, যতোটুকু চাই, তা সবই পাবো, তা কিন্তু নয়। এই সত্যটা সন্তানকে একটু একটু করে বোঝাতে হবে। সন্তানকে বোঝাতে হবে, চাইলেই সবকিছু সবসময় দিতে বাবা-মা বাধ্য নয়, সন্তান সবসময় সবকিছু না-ও পেতে পারে।

বাবা-মা দরিদ্র বা মধ্যবিত্ত হলে জীবনে অনেক না পাওয়া, কম পাওয়া ও হতাশা থাকলেও পরিবার নিয়ে কখনই হীনমন্যতায় ভোগা উচিৎ নয়। সন্তানকে জানতে হবে, মা-বাবা কঠোর পরিশ্রম করে উপার্জন করেন, সযত্নে যেকোনো দুর্যোগ-দুর্বিপাক থেকে পরিবারকে আগলে রাখেন। যে মা ঘর সামলান, তিনিও সন্তানের ও পরিবারের সুখের জন্য জীবনকে উৎসর্গ করেন।

কোনো একজন মনীষীর লেখায় পড়েছিলাম, 'সাধ্যের বাইরে যে সাধ, তা কালে পূরণ হওয়ার নয়, সাধ্যের মধ্যেই আছে সকল সত্য।' সন্তানকেও বুঝাতে হবে যে সাধ্যের মধ্যে সবটুকু সুখ বাবা-মা তাকে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। বাবা-মায়ের ভালবাসাকে জিম্মি করে সন্তান বাড়তি কিছু দাবি করতে পারে না।

সাম্প্রতিক খবরে বেশ কয়েকবার চোখে পড়েছে, বাবা-মা দাবি পূরণ করতে না পারায় সন্তান আত্মহত্যা করছে। এমনকি বাবা-মাকে হত্যা করার মতো ঘটনাও ঘটছে। অভিভাবক হিসেবে আপনি, আমি যতোটুকু পারবো, সন্তানকে ততোটুকুই দেবো। উচ্চবিত্ত সহপাঠী, বন্ধু, প্রতিবেশী কিংবা পরিচিত কেউ কী ব্যবহার করছে, তাদের সম্পদ কতটা আছে, তা অনুকরণ করার মানসিকতা নিয়ে যেন সন্তান গড়ে না ওঠে, সেটা অবশ্যই লক্ষ্য করতে হবে।

হাত খরচের জন্য প্রয়োজনের অতিরিক্ত টাকা, ব্র্যান্ডের সবচেয়ে দামী স্মার্টফোন, ব্র্যান্ডের পোশাক, জুতা, ব্যাগসহ দামি জিনিস ব্যবহারের প্রবণতা সন্তানকে বিপথে চালিত করতে পারে এবং সেটা ধনী ঘরের সন্তানকেও করে।

সাধ্যের মধ্যেই আছে সকল সত্য। সন্তানকে বাবা-মায়ের সক্ষমতা ও অপারগতা বুঝতে হবে। সেইসঙ্গে পরিবার, বাবা-মা ও সমাজের প্রতি একটা দায়িত্ববোধ তৈরি হতে হবে। সন্তান যেন শুধু নিজের ইচ্ছা, নিজের প্রয়োজন, উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে প্রাধান্য দিতে না শেখে।

আমরা যারা জীবনের অনেকগুলো বছর পার করে এসেছি, বাবা-মা হয়েছি, সন্তানকে বড় করেছি, যুগের নানান পরিবর্তনের ধারায় নিজেরাও পরিবর্তিত হয়েছি; তবে সবসময় চেষ্টা করেছি যেন সন্তানের ইচ্ছা-চাহিদা-শখের কাছে জিম্মি হয়ে না পড়ি। যেমনটা জিম্মি হননি আমাদের অনেকের পূর্বসূরি। সন্তানের সঙ্গে বাবা-মায়ের সম্পর্কটা উভয় দিক দিয়েই হবে আদর, ভালবাসা, নিরাপত্তা, আশ্রয়-প্রশ্রয়, দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনের; জিম্মি করার নয়।

সর্বোচ্চ বিনিয়োগ করলেই সন্তানকে বড় করা যাবে বা ভালো মানুষ বানানো যাবে— এমন কোনো সহজ পথ নেই।

শাহানা হুদা রঞ্জনা, সিনিয়র কোঅর্ডিনেটর, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন

(দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদকীয় নীতিমালার সঙ্গে লেখকের মতামতের মিল নাও থাকতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির আইনগত, মতামত বা বিশ্লেষণের দায়ভার সম্পূর্ণরূপে লেখকের, দ্য ডেইলি স্টার কর্তৃপক্ষের নয়। লেখকের নিজস্ব মতামতের কোনো প্রকার দায়ভার দ্য ডেইলি স্টার নেবে না।)

Comments