সাইবার আইন কার নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে?

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের পর থেকে এ পর্যন্ত যত মামলা হয়েছে, সেগুলো বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, সরকার বা ক্ষমতাবানরা অসন্তুষ্ট হয় বা বেজার হয়, এমন কোনো সংবাদ বা প্রতিক্রিয়া প্রতিরোধই এই আইনের লক্ষ্য।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের (আইসিটি অ্যাক্ট) ৫৭ ধারার অপপ্রয়োগ নিয়ে যখন সারা দেশে তোলপাড় শুরু হলো, তখন ইন্টারনেটভিত্তিক সন্ত্রাস, পর্নোগ্রাফি ও অন্যান্য অপরাধ দমনে 'সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০১৫' তৈরির উদ্যোগ নিয়েছিল সরকার।

আইনের খসড়াটি ওয়েবসাইটে দিয়ে নাগরিকের মতামতও আহ্বান করেছিল আইসিটি মন্ত্রণালয়। কিন্তু, ওই আইনটি সংসদে ওঠেনি। বরং এর ৩ বছর পরে ২০১৮ সালে সংসদে পাস হয় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, যেটি আইসিটি অ্যাক্টের ৫৭ ধারা নিয়ে বিতর্ককেও ছাড়িয়ে যায়।

এই আইনের প্রয়োগ (মূলত অপপ্রয়োগ) নিয়ে এমন সব ঘটনা ঘটতে থাকে, যা ডিজিটাল মাধ্যমে নাগরিকের সুরক্ষার বদলে ক্ষমতাবানদের কথিত মানহানি প্রতিরোধের অস্ত্রে পরিণত হয়। এমতাবস্থায় আইনটি নিয়ে দেশে-বিদেশে সমালোচনা শুরু হয়। আইনটি শুধু সংশোধন নয়, বরং বাতিলের দাবি জানানো হয় বিভিন্ন ফোরাম থেকে।

অবশেষে সম্প্রতি আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কিছু বিধান সংশোধন করা হবে এবং সংশোধিত ও অন্যান্য ধারাগুলো নতুন সাইবার নিরাপত্তা আইনে প্রতিস্থাপন করা হবে।

প্রশ্ন হলো, ২০১৫ সালে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ যে আইনের খসড়া তৈরি করে নাগরিকের মতামত চেয়েছিল, সেটিই কি নতুন রূপে আবির্ভূত হবে? তার চেয়ে বড় প্রশ্ন, নাম পরিবর্তন হলেও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে যেসব কারণে সমালোচনা ও বিতর্ক হয়েছে, নতুন আইন হলেও তার রাজনৈতিক প্রয়োগ কি বন্ধ হবে?

২০১৫ সালে যে সাইবার নিরাপত্তা আইনের খসড়া করা হয়েছিল, সেখানে যেসব ঘটনাকে অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করে তার শাস্তির বিধান করা হয়েছিল, তার অনেকগুলো বিষয় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রয়েছে। তবে এই আইনের সবচেয়ে বেশি প্রয়োগ বা অপপ্রয়োগ হয়েছে মূলত ইন্টারনেট মাধ্যমে ব্যক্তির মানহানির প্রশ্নে। অর্থাৎ জীবিত কিংবা মৃত কোনো প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা, সংসদ সদস্য, মন্ত্রী বা জনপ্রতিনিধি এমনকি স্থানীয় পর্যায়ের কোনো নেতার ব্যাপারে প্রকাশিত অনেক সংবাদের বিরুদ্ধেও এই ধারায় মামলা হয়েছে।

শুধু তাই নয়, মামলা করেছেন এমন কেউ, যিনি সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত বা সংক্ষুব্ধ নন। অর্থাৎ কোনো দলের নেতার বিরুদ্ধে কোনো সংবাদ কিংবা ফেসবুক স্ট্যাটাসের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তার দলের মাঠ পর্যায়ের কোনো নেতা। মূলত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে সবচেয়ে বড় সমালোচনার জায়গাই ছিল, যে কেউ যে কারোর বিরুদ্ধে মামলা করতে পারেন। আবার গত ৫ বছর ধরে যে প্রবণতাটি লক্ষ্য করা গেছে তা হলো, এই আইনে মামলা হলেই পুলিশ দ্রুততম সময়ের মধ্যে আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। আর গ্রেপ্তার হলেই তার গন্তব্য কারাগার। কারণ, ধারাটি অজামিনযোগ্য।

মূলত আইনের এই কড়াকড়ির কারণেই ক্ষমতাবান এবং তাদের সমর্থকরা প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে আইনটি খুব সহজেই প্রয়োগ করতে পারছেন। এমনকি কারো অপরাধ ও দুর্নীতি নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলে সেই সংবাদের বিরুদ্ধে নিয়ম অনুযায়ী প্রতিকারের পথে না গিয়ে সরাসরি প্রতিবেদক ও সম্পাদকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল আইনে মামলা দিয়ে হয়রানির ঘটনা ঘটেছে। শুরু থেকে এই আইনে সবচেয়ে বেশি মামলা হয়েছে সংবাদ এবং ফেসবুক স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে। যার হাত থেকে সাংবাদিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক—কেউই মুক্তি পাননি।

এসব কারণে এখন সরকার নানাবিধ চাপের মুখে আইনটি সংশোধন বা এর নাম পরিবর্তনের উদ্যোগ নিলেও ইন্টারনেট দুনিয়ায় নাগরিকের সুরক্ষার নামে ভিন্ন মত ও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে হয়রানি বন্ধ হবে কি না, সেটি বিরাট প্রশ্ন। অর্থাৎ আসন্ন সাইবার আইন কার নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে—সরকারের, সরকারি দলের নেতাদের, সামাজিক-রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে ক্ষমতাবানদের, নাকি সাধারণ নাগরিক ও গণমাধ্যমকর্মী তথা সকলের। এই মূল বিবেচ্য।

তারচেয়ে বড় কথা, সরকার কেন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বদলে সাইবার নিরাপত্তা আইন করছে? তাদের ইনটেনশন বা নিয়ত কী? এটি কি শুধুই দেশি-বিদেশি চাপ মোকাবিলার কৌশল, না কি সরকার সত্যিই ডিজিটাল প্লাটফর্মে দল-মত নির্বিশেষে রাষ্ট্রের সব নাগরিকের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে চায়?

গণমাধ্যমের খবর বলছে, নতুন আইনে মোট ৬০টি ধারা থাকবে। আগামী সেপ্টেম্বরে সংসদে এটি বিল আকারে উত্থাপন করা হবে।

তবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে যেভাবে ফেসবুকে রাজনৈতিক ও ধর্মীয় বিষয়ে স্ট্যাটাস বা কমেন্টের কারণে অসংখ্য মানুষ এর ভিকটিম হয়েছেন, তেমনি দুর্নীতি ও অনিয়মের সংবাদ প্রকাশ করেও যেভাবে সাংবাদিকরা হয়রানির শিকার হয়েছেন, সেটি বন্ধ হবে কি?

আইনমন্ত্রী বলেছেন, 'আমি আশা করছি সাইবার আইনে সাংবাদিকদের হয়রানি অবশ্যই বন্ধ হবে।' তিনি বলেন, 'সাংবাদিকদের একটা কথা ছিল, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট থাকলে একটা মানসিক চাপের মধ্যে থাকতে হয়। সেটাকেও আমরা ধর্তব্যের মধ্যে নিয়েছি এবং সেই কারণে এই পরিবর্তনগুলো আনা হয়েছে।' তবে ডিএসএ-এর অধীনে যেসব মামলা করা হয়েছিল সেগুলো চলবে। তবে মামলার কার্যক্রম চলবে নতুন সাইবার নিরাপত্তা আইনে। (বিবিসি বাংলা, ৭ অগাস্ট ২০২৩)

সাইবার নিরাপত্তা আইনে যেসব ধারায় পরিবর্তন আনা হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ২১ ধারা। এই ধারা অনুযায়ী, যদি কেউ ডিজিটাল মাধ্যমে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, জাতির পিতা, জাতীয় সংগীত বা জাতীয় পতাকার বিরুদ্ধে কোনোরকম প্রোপাগান্ডা ও প্রচারণা চালায় বা তাতে মদদ দেয় তাহলে সেটি অপরাধ বলে গণ্য হতো এবং এর জন্য ১০ বছরের কারাদণ্ড বা ১ কোটি টাকা জরিমানার বিধান ছিল। এই একই অপরাধ কেউ দ্বিতীয়বার করলে তার সাজা দ্বিগুণ করার বিধান ছিল। আর বারবার একই অপরাধের ক্ষেত্রে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা ৩ কোটি টাকা জরিমানার বিধান ছিল। এই ধারাটিতে পরিবর্তন এনে সাজার মেয়াদ ৭ বছর করা হয়েছে। আর দ্বিতীয়বার একই অপরাধ করলেও সাজা দ্বিগুণ হবে না।

তবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সবচেয়ে বেশি মামলা হয়েছে মানহানি অভিযোগে, ফলে নতুন সাইবার আইনেও এরকম বিধান থাকায় পরিস্থিতির কতটা উন্নতি হবে, সেটি বিরাট প্রশ্ন। আইনমন্ত্রী অবশ্য বলছেন, মানহানির মামলায় নতুন আইনে কোনো কারাদণ্ডের বিধান থাকবে না। ফলে এই ধারায় মামলা হলে কাউকে গ্রেপ্তার করা যাবে না। ফলে এটি একটি ভালো সংবাদ যে অন্তত দুর্নীতি ও অপরাধবিষয়ক সংবাদে কারো কথিত মানহানির অভিযোগে অন্তত সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা হবে না বা জেলে যেতে হবে না।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের সময় সাংবাদিকদের তরফে প্রধান উদ্বেগ ছিল ৪টি জায়গায়।

১. জামিনঅযোগ্য ধারা অনেক বেশি। শাস্তি ও জরিমানার পরিমাণ অস্বাভাবিক।

২. কোনো কোনো ধারায় অপরাধের সংজ্ঞা অস্পষ্ট।

৩. আইনটিতে পুলিশের যে অবারিত ক্ষমতা, তাতে অপপ্রয়োগের মাত্রা বাড়বে।

৪. বিশেষত সংবাদকর্মীদের ক্ষেত্রে এই আইনের বেপরোয়া প্রয়োগের কারণে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সংকুচিত হবে।

তাছাড়া এই আইনের আরেকটি বড় দুর্বলতা (যে দুর্বলতার শক্তি কাজে লাগিয়েছে ক্ষমতাবানরা) হলো, প্রচলিত ফৌজদারি আইনে যেসব অপরাধ ও তার সাজার বিধান নিশ্চিত আছে, সেগুলোও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আনা হয়েছে।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের একটি বড় সমস্যা হলো অপরাধের সংজ্ঞা স্পষ্ট নয়। যেমন: ধর্মীয় অনুভূতি বলতে কী বুঝায়, কী লিখলে কারো ধর্মীয় অনুভূতি আঘাতপ্রাপ্ত হবে, ধর্মীয় বিষয়ে কেউ যদি এমন কিছু লেখেন, যেটি ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়েছে বলে মনে হতে পারে, সেটি কে ঠিক করবে?

মানহানি নিয়েও একই কথা। কোন কথা লিখলে কারো মানহানি হবে, সেটিও আইনে স্পষ্ট নয়। সুতরাং সাইবার নিরাপত্তায় যে নতুন আইন আসবে বলে সরকার বলছে, সেখানে প্রতিটি অপরাধের সংজ্ঞা যেমন স্পষ্ট থাকতে হবে, তেমনি সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি ছাড়া কেউ মামলা করতে পারবেন না, এমন বিধানও থাকা জরুরি।

একজন জনপ্রতিনিধির অনিয়ম-দুর্নীতির খবর প্রকাশিত হলে পাড়া-মহল্লার একজন পাতিনেতাও মামলা করতে পারবেন, এই প্রবণতা বন্ধের বিধান আইনে সুস্পষ্ট থাকতে হবে। উপরন্তু ফেসবুক স্ট্যাটাস এবং সংবাদ ও বিশ্লেষণ যে এক জিনিস নয় এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একজন সাধারণ মানুষের স্ট্যাটাস ও গণমাধ্যমের ভাষা ও তথ্যে যে বিস্তর ফারাক—আইনে সেটি স্পষ্ট থাকতে হবে।

স্মরণ করা যেতে পারে, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের (আইসিটি অ্যাক্ট) ৫৭ ধারা নিয়ে বিতর্কের মুখে সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করেছিল এবং ৫৭ ধারার বিধানগুলোকে আরও বিস্তৃত করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ঢুকিয়ে দিয়েছিল। তাতে আইসিটি আইনের চেয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপপ্রয়োগ আরও বেশি হয়।

অতএব সমালোচনার মুখে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কিছু ধারা সংশোধন এবং নতুন সাইবার নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের পরে সাইবার দুনিয়ায় নাগরিকের সুরক্ষা কতটুকু নিশ্চিত হবে, আর এখন যেভাবে কথিত মানহানির অভিযোগে রাজনৈতিক ভিন্নমত দমনের জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ব্যবহার করা হয়—নতুন সাইবার আইনে তার পুনরাবৃত্তি হবে কি না বা ভিন্নমত দমনের জন্য নতুন কোনো কৌশল নেওয়া হবে কি না, তা এখনই বলা মুশকিল।

আইনে যা-ই বলা থাক না কেন, সেটির প্রয়োগ অথবা অপপ্রয়োগ নির্ভর করে সরকারের ইনটেনশন বা নিয়তের ওপর। যেমন: শুরু থেকেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে যেসব অভিযোগে এবং যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, তাতে মনে হয়েছে এই আইনের উদ্দেশ্য ক্ষমতাসীন দলের জীবিত ও মৃত নেতা এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে ক্ষমতাবানদের সম্মান সুরক্ষা।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের পর থেকে এ পর্যন্ত যত মামলা হয়েছে, সেগুলো বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, সরকার বা ক্ষমতাবানরা অসন্তুষ্ট হয় বা বেজার হয়, এমন কোনো সংবাদ বা প্রতিক্রিয়া প্রতিরোধই এই আইনের লক্ষ্য। আবার বিভিন্ন সংবাদ ও কার্টুন প্রকাশিত হওয়ার পরে এই আইনে গণহারে গণমাধ্যমকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, তাতে অনেকে এটিকে গণমাধ্যমকর্মী নিয়ন্ত্রণ আইন বলেও অভিহিত করেছেন।

সুতরাং সাইবার আইনে গণমাধ্যমের জন্য এমন একটি সুরক্ষা বলয় থাকতে হবে, যাতে অপরাধ ও দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ ও প্রচার করতে গিয়ে সাংবাদিকদের ভয়ের মধ্যে থাকতে না হয়। অর্থাৎ এই আইনে সাংবাদিক বা সংবাদকর্মীর পেশাগত কাজ যাতে বাধাগ্রস্ত না হয়, সেটি নিশ্চিত করতে হবে। কেননা গণমাধ্যম যদি সারাক্ষণ ভয়ের মধ্যে থাকে, আইনি জটিলতায় তটস্থ থাকে এবং যেকোনো সংবাদ প্রকাশ ও প্রচারের আগেই একধরনের স্বনিয়ন্ত্রণ (সেলফ সেন্সরশিপ) আরোপ করে, তাহলে সেই দেশে গণমাধ্যম বিকশিত হয় না। বরং গণমাধ্যম চাপে থাকলে তাতে আখেরে রাষ্ট্রই ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

আমীন আল রশীদ: কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স এডিটর, নেক্সাস টেলিভিশন

(দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদকীয় নীতিমালার সঙ্গে লেখকের মতামতের মিল নাও থাকতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির আইনগত, মতামত বা বিশ্লেষণের দায়ভার সম্পূর্ণরূপে লেখকের, দ্য ডেইলি স্টার কর্তৃপক্ষের নয়। লেখকের নিজস্ব মতামতের কোনো প্রকার দায়ভার দ্য ডেইলি স্টার নেবে না।)

Comments