পুলিশ সদস্যকে হত্যা করেছে ছাত্রদল: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। ছবি: স্টার

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, আজ রাজধানীতে ছাত্রদলের কর্মীরা এক পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করেছে।

আজ শনিবার বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত পুলিশ সদস্যদের দেখতে সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান মন্ত্রী। 

এ সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'বিএনপি আগামীকাল হরতাল ডেকেছে। তারা আজ গাড়ি পুড়িয়েছে,বাস পুড়িয়েছে। আমরা আশ্বস্ত করতে চাই যে কেউ রাস্তা অবরোধ করলে, গাড়ি ভাঙচুর করলে, আগুন দিলে আমরা ব্যবস্থা নেব। আশা করি সবকিছু স্বাভাবিক গতিতে চলবে।'

আজ সংঘর্ষে নিহত পুলিশ কনস্টেবল আমিরুল পারভেজের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, 'তারা আমাদের একজন পুলিশ সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। তাদের ছোড়া পাথরের আঘাতে যখন সে পড়ে গেল, আমাদের কাছে ছবি আছে, ছাত্রদলের এক নেতা তাকে নির্মমভাবে পিটিয়েছে। তাকে শুধু পেটানো করা হয়নি, ছুরি দিয়ে তার মাথায় আঘাত করা হয়েছে।'

'আমাদের পুলিশ বাহিনী অত্যন্ত ধৈর্যের সঙ্গে তাদের মোকাবিলা করেছে। তারা বৃষ্টির মতো ইট-পাটকেল ছুড়েছে। তাদের পরিকল্পনা ছিল বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরির,' যোগ করেন তিনি।

মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান আরও বলেন, '২০১৪ সালে আমাদের পুলিশ বাহিনী চরম ধৈর্যের সঙ্গে মোকাবিলা করছে। আমি মনে করি পুলিশ আগামী দিনগুলোও ধৈর্যের সঙ্গে মোকাবিলা করবে।'

তিনি আরও বলেন, 'বিএনপি ২৮ অক্টোবর ঢাকায় ১০-১২ লাখ লোক নিয়ে সমাবেশ করবে। ঢাকার পুলিশ কমিশনার তাদের জিজ্ঞেস করলেন, আপনারা কত লোক আনবেন, কোন জায়গা থেকে কোন জায়গা পর্যন্ত থাকবেন? ডিএমপি তাদের নাইটিঙ্গেল মোড় থেকে ফকিরাপুল মোড় পর্যন্ত সীমানা দিয়ে দিল।'

'কিন্তু আমরা দেখলাম শুরুতে তারা ধীরে ধীরে প্রধান বিচারপতির বাসার দিকে চলে গেল। সেখানে আওয়ামী লীগের একটি মিছিল যাচ্ছিল। তারা (বিএনপি নেতাকর্মীরা) তাদের ওপর হামলা চালায়। শুধু হামলাই নয়, তাদের (আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের) বহনকারী পিকআপে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে তারা প্রধান বিচারপতির বাসভবনের গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে,' যোগ করেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, 'এ অবস্থায় পুলিশ আর বসে থাকতে পারে না। পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। আমরা দেখেছি, ওই মুহূর্তে তারা (বিএনপি) ইট-পাটকেল ছুড়েছে, আগুন দিয়েছে এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। তাদের সবার হাতে লাঠি ছিল। তারা ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে ঢুকে তিনটি গাড়ি জ্বালিয়ে দেয়। পুলিশ অনেক ধৈর্যের সঙ্গে তাদের মোকাবিলা করেছে।'

'তারা রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে আগুন দিয়েছে, অ্যাম্বুলেন্সে আগুন দিয়েছে, পুলিশের অনেক ছোট-বড় স্থাপনায় আগুন দিয়েছে, দুটি সরকারি ভবনেও আগুন দিয়েছে। তারা জজ কমপ্লেক্সেও হামলা করেছে,' যোগ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

Comments

The Daily Star  | English

Khaleda Zia returns home from London

Khaleda Zia, accompanied by her two daughters-in-law Zubaida Rahman and Syeda Sharmila Rahman, is now on way to her Gulshan residence

1h ago