টি-টোয়েন্টিতে পারফরম্যান্স ‘ওভাররেটেড’, শ্রীরামের চাই ‘ইমপ্যাক্ট’

Sridharan Sriram
টি-টোয়েন্টি দলের টেকনিক্যাল পরামর্শক শ্রীধরন শ্রীরাম। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

কোন ব্যাটার ফিফটি পেরুলেন, কিংবা অর্ধেকের বেশি বল খেলে সেঞ্চুরির কাছে গেলেন। কিন্তু দল হারল। এই ধরনের পারফরম্যান্সকে 'ওভাররেটেড' হিসেবে আখ্যা দিয়েছে শ্রীধরণ শ্রীরাম। বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দলের টেকনিক্যাল কনসালটেন্টের মতে টি-টোয়েন্টিতে ম্যাচ জিততে হলে চাই ইমপ্যাক্ট। আগামী কদিন খেলোয়াড়দের মধ্যে তিনি খুঁজবেন এই 'ইমপ্যাক্ট'।

কুড়ি ওভারের সংস্করণে স্ট্রাইকরেট বরাবরই বড় ইস্যু বাংলাদেশ দলের। বেশিরভাগ সময় টিম ম্যানেজমেন্ট স্ট্রাইকরেটের দিকে না তাকিয়ে কে কত রান করলেন খুঁজত সেটাই। দল হারলেও কারো ব্যক্তিগত কোন ফিফটিকে নিয়ে করা হতো স্তুতি। আবার শুরুতে উইকেট হারানোর অবস্থায় কেউ নেমে মন্থর ব্যাট করলে বলা হয় বিপর্যয় সামাল দিয়েছেন।

কিন্তু টি-টোয়েন্টিতে উইকেট পড়ে গেলেও ধরে খেলার সুযোগ নেই। পাল্টা আক্রমণে গিয়েই জেতার পরিস্থিতি তৈরি করতে হয়। ঠিক এই দর্শনেরই অনুসারী শ্রীরাম। বুধবার স্কোয়াড বিশ্বকাপের স্কোয়াড ঘোষণার পর খেলার ধরণ নিয়ে ব্যাখ্যায় তিনি জোর দেন ইমপ্যাক্টের উপর,  'এটা আপনাদের সবার জন্যই চোখ খুলে দেওয়ার মতো। আমি ইমপ্যাক্ট খুঁজছি, পারফরম্যান্স নয়। বাংলাদেশ জিতবে যদি সাত-আটজন ইমপ্যাক্ট ফেলতে পারে। ১৭-১৮ বলে ৩০-২৫ রান হচ্ছে আমার কাছে ইমপ্যাক্ট। ছোট উদাহরণ হচ্ছে এশিয়া কাপে মাহমুদউল্লল্লাহর আউটের পর হাসারাঙ্গার ওভারে মোসাদ্দেকের মারমুখী ভূমিকা, ওটাই ইমপ্যাক্ট। আমার মনে হয় টি-টোয়েন্টিতে পারফরম্যান্স ওভাররেটের ব্যাপার। পারফরম্যান্স থাকার পরও একটা দল হারতে পারে। কিন্তু যদি আপনার ইমপ্যাক্ট বেশি থাকে, জেতার সুযোগ থাকে অনেক বেশি।'

ভারতীয় এই কোচের পর্যবেক্ষণ ম্যাচের ভেতরের ছোট ছোট মুহূর্তে বাংলাদেশ হাতছাড়া করে ম্যাচ। এসব জায়গা চিহ্নিত করে তিনি ভিন্ন ফল আনতে উদগ্রীব,  'আমরা খেলার গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলো জিততে চাই। বাংলাদেশ কাছে গিয়ে অনেক ম্যাচ হেরেছে। এসব ম্যাচের অর্ধেক জেতা গেলেও পরিসংখ্যান ভিন্ন হতো। কেন কাছে গিয়ে হারল এটা বোঝার চেষ্টা করছি। আমাদের গুরুত্বপূর্ণ পরিস্থিতির সচেতনতা বাড়াতে হবে। আমরা যদি ছোট মুহূর্তগুলো জিততে পারি ফল ভিন্ন হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Interest payments, subsidies soak up almost half of budget

Interest payments and subsidies have absorbed nearly half of Bangladesh’s total budget expenditure in the first seven months of the current fiscal year, underscoring growing fiscal stress and raising concerns over public finances.

1h ago