ছন্দে ফেরার সেঞ্চুরিতে ইনজামামকে ছাড়িয়ে বাবর
![](https://bangla.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/images/2022/09/23/babar_azam_100_t20.jpg?itok=ZxIewly0×tamp=1663903491)
১০, ৯, ১৪, ০, ৩০, ৫ ও ৩১। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বাবর আজমের আগের সাত ইনিংস। হঠাৎ করেই এই সংস্করণে ব্যাট হাতে ছন্দ হারিয়ে ফেলেছিলেন পাকিস্তানের অধিনায়ক। দুঃসময় পেছনে ফেলে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ালেন তিনি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হাঁকালেন চোখ ধাঁধানো এক সেঞ্চুরি। তাতে সাবেক দলনেতা ইনজামাম উল হককে ছাড়িয়ে নতুন কীর্তি গড়লেন বাবর।
বৃহস্পতিবার করাচিতে সাত ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ইংলিশদের গুঁড়িয়ে দেয় পাকিস্তান। জাতীয় স্টেডিয়ামে ১০ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে জিতে সমতায় ফেরে তারা। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৯৯ রান তোলে সফরকারীরা। জবাবে ৩ বল হাতে রেখে বিনা উইকেটে ২০৩ রান করে জয় নিশ্চিত করে স্বাগতিকরা। বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় ৬৬ বলে অপরাজিত ১১০ রান করেন বাবর। ছন্দে ফেরার দুর্দান্ত ইনিংসটি তিনি সাজান ১১ চার ও ৫ ছক্কায়।
সব সংস্করণ মিলিয়ে পাকিস্তানের অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি এখন বাবরের। ইংলিশদের বিপক্ষে শতরানের ইনিংসটি তার দশম। এতদিন ১৩১ ম্যাচে ৯ সেঞ্চুরি নিয়ে ইনজামাম ছিলেন তার পাশে। তাকে পেরিয়ে এককভাবে তালিকার শীর্ষে উঠতে ডানহাতি বাবরের লেগেছে মাত্র ৮৪ ইনিংস। তিনে থাকা মিসবাহ উল হকের ১৮৯ ম্যাচে ৮ সেঞ্চুরি। ১৮৬ ম্যাচে ৬ সেঞ্চুরি নিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছেন বিশ্বকাপজয়ী সাবেক তারকা ইমরান খান। যৌথভাবে পাঁচ নম্বরে আছেন আজহার আলি (৪৬ ম্যাচে ৫ সেঞ্চুরি) ও জাভেদ মিয়াঁদাদ (১১০ ম্যাচে ৫ সেঞ্চুরি)।
স্মরণীয় রান তাড়ায় ৩৯ বলে ফিফটি ছোঁয়ার পর ৬২ বলে তিন অঙ্কে পৌঁছান বাবর। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে এটি তার দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। প্রথমটি করেছিলেন গত বছর এপ্রিলে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। ৫৯ বল মোকাবিলায় ১৫ চার ও ৪ ছয়ে খেলেছিলেন ১২২ রানের ঝলমলে ইনিংস। তার অনবদ্য নৈপুণ্যে সেঞ্চুরিয়নে ২০৪ রানের পাহাড় পেরিয়ে ৯ উইকেটে জিতেছিল পাকিস্তান।
এই সংস্করণে কোনো উইকেট না হারিয়ে সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ডও গড়ে পাকিস্তান। বাবরের সঙ্গী রিজওয়ান অপরাজিত থাকেন ৫১ বলে ৮৮ রানে। তিনি মারেন ৫ চার ও ৪ ছক্কা। টি-টোয়েন্টিতে যে কোনো উইকেটে এটাই পাকিস্তানের প্রথম দুইশ ছোঁয়া (১১৭ বলে অবিচ্ছিন্ন ২০৩ রান) জুটি। আগের রেকর্ডও গড়েছিলেন বাবর ও রিজওয়ান। সেঞ্চুরিয়নের ওই ম্যাচে উদ্বোধনী জুটিতে তারা যোগ করেছিলেন ১৯৭ রান।
Comments