আমিরাতকে এবার ১৭০ রানের চ্যালেঞ্জ দিল বাংলাদেশ

মঙ্গলবার দুবাই আন্তর্জাতি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করতে গিয়ে ৫ উইকেটে ১৬৯ রান করে সফরকারীরা। ৩৭ বলে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন মিরাজ।
Liton Das & Mehedi Hasan Miraz

ওপেন করতে নেমে ১৫ ওভার পর্যন্ত টিকলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ইতিবাচক অ্যাপ্রোচ থাকলেও খুব একটা আগ্রাসী হতে পারেননি যদিও। তবু তার ফিফটির কাছাকাছি যাওয়া ইনিংস থাকল ভিত হয়ে। দ্রুত রান আনার চেষ্টায় লিটন দাস, আফিফ হোসেন, মোসাদ্দেক হোসেনরা ফেরেন মাঝারি ইনিংস খেলে।  শেষ দিকে কাজটা সারেন ইয়াসির আলি ও নুরুল হাসান সোহান। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় তাই জুতসই পুঁজি পেয়ে গেছে বাংলাদেশ।

মঙ্গলবার দুবাই আন্তর্জাতি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করতে গিয়ে ৫ উইকেটে ১৬৯ রান করে সফরকারীরা। ৩৭ বলে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন মিরাজ।

আগের দিনের চেয়ে এদিন শুরুটা হলো ভালো। ভাগ্যের জোরে পরাস্ত হয়েও অল্পের জন্য রক্ষা পাওয়া সাব্বির রহমান ফ্রি হিট উড়ান বিশাল ছক্কায়। এরপরের ওভারে আরিয়ান লারকাকে সামনের পা বাড়িয়ে খেলতে গিয়ে পরাস্ত হয়ে পরিষ্কার এলবিডব্লিউতে বিদায় নেন। ৯ বলে করেন ১২ রান।

ছক্কার শট ছাড়া সাব্বিরকে নড়বড়ে দেখা গেছে পুরোটা সময়। শুরুতে একটি বাউন্ডারি পান ব্যাটের কানায় লেগে। জাতীয় দলে ফেরার পর তিন ম্যাচে তিনি করলেন ৫,০ ও ১২ রান।

মিরাজকে কিছুটা সাবলীল দেখাচ্ছিল। তবে স্পিনারদের বিপক্ষেই স্বস্তি পেয়েছেন বেশি।  তিনে নেমে লিটনও ছিলেন চনমনে। তাদের ব্যাটে পাওয়ার প্লের ছয় ওভারে চলে আসে ৪৮ রান।

পাওয়ার প্লের পরেও দলকে টানতে থাকেন তারা। দ্বিতীয় উইকেটে আসে ২৮ বলে ৪১ রানের জুটি, যাতে ২৫ রানই লিটনের। থিতু হওয়া লিটন আভাস দিচ্ছিলেন বড় কিছুর। তবে আয়ান খানের বাঁহাতি স্পিনে জায়গা বের করে কাট করতে গিয়ে পয়েন্টে ক্যাচ দিয়ে দেন তিনি।

আগের ম্যাচে অপরাজিত ফিফটি করে দলকে টানা আফিফ হোসেন নেমেই চালাতে থাকেন। শুরুতেই পেয়ে গিয়েছিলেন চার-ছয়। আয়ানকে এক ছক্কা মারার পর ফুলটস পেয়ে আরেকটির চেষ্টায় মিড উইকেটে কার্তিক মেইয়াপ্পনের দারুণ ক্যাচে পরিণত হন তিনি। ১০ বলে আফিফ করেন ১৮।

পাঁচে নেমে মোসাদ্দেক প্রথম কয়েকবল ধুঁকলেও পরে সামলে নিয়ে পান বড় শট। রিভার্স সুইপের সফল চেষ্টায় লেগ স্পিনার মেইয়াপ্পনকেও থিতু হতে দিচ্ছিলেন না। আরেক পাশে মিরাজ মাঝের ওভারে নিজের খেলা করে দিয়েছিলেন মন্থর। অবশ্য ভাগ্য তার পক্ষে ছিল। মিস টাইমিং হওয়া শটগুলো যায়নি ফিল্ডারদের কাছে। ফিফটিটা মনে হচ্ছিল পেয়েই যাবেন। তবে কাছে গিয়েই এবার দুর্ভাগ্যই কাড়ল তাকে। বাঁহাতি পেসার সাবির আলির বলটা লেগ স্টাম্পের বাইরে পিচড করলেও আম্পায়ার এলবিডব্লিউর আবেদনে সাড়া দেন। ৩৭ বলে ৪৬ করে ফেরেন মিরাজ।

স্লগ ওভারের ঝড়ের আগে ফেরেন মোসাদ্দেক। স্পিন হিট করতে নামা এই ডানহাতি ২২ বলে করেন ২৭ রান।  ৬ষ্ঠ উইকেটে এরপর ১৮ বলে ৩২ রান যোগ করেন ইয়াসির-সোহান। ১৩ বলে ২১ রানে অপরাজিত থাকেন ইয়াসির। প্রথম টি-টোয়েন্টির মতো এদিনও ছক্কায় ইনিংস শেষ করা সোহান ১০ বলে করেন ১৯ রান।

Comments

The Daily Star  | English

Sajek accident: Death toll rises to 9

The death toll in the truck accident in Rangamati's Sajek increased to nine tonight

2h ago