মাঝপথে খেই হারিয়ে পাকিস্তানের কাছে বাংলাদেশের হার

চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য তাড়ায় লিটন দাস ও আফিফ হোসেন দেখালেন আশা। তবে তারা বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর আর লড়াই করতে পারল না বাংলাদেশ।
ছবি: এএফপি

চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য তাড়ায় লিটন দাস ও আফিফ হোসেন দেখালেন আশা। তবে তারা বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর আর লড়াই করতে পারল না বাংলাদেশ। টপাটপ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ হারল তারা। শেষদিকে ইয়াসির আলি রাব্বি অপরাজিত ঝড়ো ইনিংসে কেবল হারের ব্যবধানই কমালেন।

শুক্রবার নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ২১ রানে জিতেছে পাকিস্তান। হ্যাগলি ওভালের স্পোর্টিং উইকেটে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে তারা তোলে ৫ উইকেটে ১৬৭ রান। জবাবে সাকিব আল হাসানবিহীন বাংলাদেশ পৌঁছাতে পারে ৮ উইকেটে ১৪৬ রান পর্যন্ত।

১২ ওভার শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ ছিল ১ উইকেটে ৯১ রান। একই সময়ে বাংলাদেশ ২ উইকেটে ৮৪ রান জমা করে। অর্থাৎ দুই দলের মধ্যে খুব বেশি রানের পার্থক্য ছিল না। কিন্তু এরপর পাকিস্তানের বোলারদের তোপে উল্টো পথে যাত্রা শুরু হয় টাইগারদের।

বাংলাদেশের পক্ষে তিনে নেমে লিটন ২৬ বলে ৩৫ রান করেন। তার ব্যাট থেকে আসে ৪ চার ও ১ ছক্কা। চারে নামা আফিফ ২৩ বলে ২৫ রান করেন ১টি করে চার ও ছয়ের সাহায্যে। তৃতীয় উইকেটে ৪০ বলে ৫০ রান যোগ করেন দুজনে।

মোহাম্মদ নওয়াজ এই জুটি ভাঙার পর খেই হারায় দল। মাত্র ১৪ রানের মধ্যে ৪ উইকেট খুইয়ে টাইগাররা অনেক আগেই ছিটকে যায় ম্যাচ থেকে। সাত নম্বরে নেমে ইয়াসির বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে ৪২ রান করেন। ২১ বল মোকাবিলায় ৫ চার ও ২ ছক্কা মারেন তিনি। পেসার হারিস রউফের করা ইনিংসের শেষ ওভারে বাউন্ডারির ফুলঝুরি ছুটিয়ে ২০ রান আনেন তিনি।

পাকিস্তানের পেসার মোহাম্মদ ওয়াসিম ৪ ওভারে ২৪ রানে নেন ৩ উইকেট। বাঁহাতি স্পিনার নওয়াজ ২ উইকেট নিতে খরচ করেন ২৫ রান। চূড়ান্ত রূপ দিতে না পারলেও দুজনই জাগান হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা। পাশাপাশি রউফ, শাহনেওয়াজ দাহানি ও শাদাব খান পান উইকেটের স্বাদ।

উদ্বোধনী জুটিতে ২৬ বলে ২৫ রান যোগ করেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও সাব্বির রহমান। তবে পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার আগে ফিরে যান দুই ওপেনারই। ৬ ওভারে বাংলাদেশ তোলে ৩৮ রান। মিরাজ ১১ বলে ১০ রান করেন। টাইমিংয়ে গড়বড় করা সাব্বির ১৮ বলে ১৪ রানে ফিরতি ক্যাচ দেন রউফের হাতে।

ডিপ মিডউইকেটে লিটন নওয়াজের শিকার হওয়ার পরের বলে এলবিডব্লিউ হন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। গোল্ডেন ডাকে সাজঘরে ফেরেন তিনি। আফিফকে থামান দাহানি। সাকিবের অনুপস্থিতিতে অধিনায়কের দায়িত্ব পাওয়া সোহান আউট হন লেগ স্পিনার শাদাবের বলে। ৯ বলে তার সংগ্রহ ৮ রান।

১৯তম ওভারের প্রথম দুই ডেলিভারিতে ওয়াসিম রাখেন সামর্থ্যের ছাপ। ইয়র্কারে তাসকিন আহমেদ এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন। ৮ বলে তার রান ২। আরও দুর্দান্ত ইয়র্কারে নাসুম আহমেদ স্টাম্প হারান। রানের খাতা খুলতে পারেননি তিনি। হাসান মাহমুদ ২ বলে ১ রানে অপরাজিত থাকেন।

Comments

The Daily Star  | English
Chief Adviser Muhammad Yunus

Chief Adviser Yunus's UNGA trip a critical turning point

Now is the best chance for Bangladesh to strengthen international cooperation.

2h ago