জাতীয় লিগে দুই দিনেই জয় ঢাকার
জাতীয় ক্রিকেট লিগে এবার প্রথমবারের মতো ব্যবহৃত হচ্ছে ডিউক বলে। আর এ বলের বাড়তি মুভমেন্টে কাবু ব্যাটাররা। ফলে মাত্র দুই দিনেই ফলাফল এসেছে প্রথম স্তরের একটি ম্যাচে। রংপুর বিভাগকে ইনিংস ও ৬২ রানে হারিয়েছে ঢাকা বিভাগ।
মূলত দেশের বাইরের কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য এবার ডিউক বলে খেলার আয়োজন করেছে বিসিবি। কিন্তু এর সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারছেন না ব্যাটাররা। প্রথম দিনের মতো দ্বিতীয় দিনেও চলে বোলার দাপট।
মঙ্গলবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম স্তরের ম্যাচে আগের দিনের ৫ উইকেটে ১২২ রান নিয়ে এদিন ব্যাটিংয়ে নামে ঢাকা। বাকি ৫ উইকেট হারিয়ে আর ৮৮ রান যোগ করতে পারে দলটি। নাদিফ চৌধুরী ৯০ রান করেন। এছাড়া তাইবুর রহমানের ব্যাট থেকে আসে ৪২ রান।
রংপুরের পক্ষে ৪৮ রানের খরচায় ৩টি উইকেট নেন মুশফিক হাসান। ৩টি শিকার রবিউল হকের।
প্রথম ইনিংসে ১১৮ রানে পিছিয়ে থাকা রংপুরের দ্বিতীয় ইনিংস গুটিয়ে যায় মাত্র ৫৬ রানে। ওপেনার মাইশুকুর রহমান ছাড়া কোনো ব্যাটারই পারেননি দুই অঙ্ক স্পর্শ করতে। দুই পেসার সুমন খান ও সালাহউদ্দিন শাকিল ৪টি করে উইকেট নিয়ে ধসিয়ে দেন রংপুরের ব্যাটিং লাইন আপ।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্রথম স্তরের অপর ম্যাচে অবশ্য রান মিলেছে। আগের দিনের বিনা উইকেটে ১৫ রান ব্যাটিংয়ে নামা সিলেট দিন শেষে ৭ উইকেটে করেছে ৩০৩ রান। ফলে ১৬২ রানের লিড পেয়েছে দলটি।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮৭ রান করেন জাকির হাসান। ৭৯ রান আসে অমিত হাসানের ব্যাট থেকে। তৌফিক করেন ৬৮ রান। আবু বক্কর ১৩ ও আবু জায়েদ রাহী ০ রানে উইকেটে আছেন। চট্টগ্রামের পক্ষে ১১২ রানের খরচায় ৫টি উইকেট নেন হাসান মাহমুদ।
খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় স্তরের ম্যাচে আগের দিনের ৩ উইকেটে ৩৭ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামা ঢাকা মেট্রো গুটিয়ে গেছে ১৫৬ রানে। সর্বোচ্চ ২৫ রান আসে শরিফুল্লাহর ব্যাট থেকে। খুলনার পক্ষে ৩টি করে উইকেট নেন সালমান হোসেন ও আব্দুল হালিম। ২টি শিকার জিয়াউর রহমানের।
২৫ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দিন শেষে ৫ উইকেটে ১০৮ রান তুলেছে খুলনা। ওপেনার প্রান্তিক নওরোজ নাবিল ৫২ রান করেন। অমিত মজুমদারের ব্যাট থেকে আসে ২৩ রান। টিপু সুলতান ৬ ও জিয়া ১ রানে উইকেটে আছেন। ঢাকা মেট্রোর পক্ষে ২টি করে উইকেট নেন শরিফুল্লাহ ও মানিক খান।
রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় স্তরের অপর ম্যাচে ৯ উইকেটে ২৬৯ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামা বরিশাল এদিন আর ১২ রান যোগ করে ২৮১ রানে গুটিয়ে গেছে। তানভির করেন ৫১ রান। নাহিদ রানা ৪টি ও সানজামুল ইসলাম ২টি উইকেট নেন।
নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটে ১৮৬ রান করেছে রাজশাহী। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬১ রান তুলে অপরাজিত আছেন প্রিতম কুমার। তার সঙ্গে ২২ রানে অপরাজিত আছেন সানজামুল। এছাড়া জুনায়েদ সিদ্দিকি ৩২ ও জহুরুল ইসলাম ২৯ রান করেন। বরিশালের পক্ষে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন রুয়েল মিয়াহ ও তানভির।
Comments