মুকিদুলের তোপে তামিম-মুমিনুলদের হারাল রংপুর
ডিউক বলে হচ্ছে এবারের জাতীয় ক্রিকেট লিগ। আর বল মোকাবিলায় রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন ব্যাটাররা। তাই এ লিগে এবার ছড়ি ঘোরাচ্ছেন পেসাররা। প্রথম স্তরের ম্যাচে মুকিদুল ইসলামের তোপে তৃতীয় দিনেই চট্টগ্রাম বিভাগকে হারিয়ে দিয়েছে রংপুর বিভাগ।
বুধবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৭ উইকেটে জিতেছে রংপুর। চট্টগ্রামের দেওয়া ১০৪ রানের লক্ষ্য সহজেই পেরিয়ে যায় তারা।
আগের দিনের ৬ উইকেটে ১২৬ রান নিয়ে ব্যাট করতে নেমে শেষ চার উইকেট হারিয়ে আরও ৭৩ রান যোগ করে চট্টগ্রাম। প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও তোপ দাগান মুকিদুল। প্রথম ইনিংসে ৪টি উইকেট নেওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে পেয়েছেন ৩টি উইকেট। চট্টগ্রামের অধিনায়ক ইরফান শুক্কুরকে ব্যক্তিগত ৬৭ রানে বোল্ড করে দেন মুকিদুল। তখন থেকেই জয় দেখতে থাকে রংপুর। পরে অবশ্য ইয়াসিন আরাফাত ৩২ ও আহমেদ শরিফ ২১ রান করে লিড তুলে নেয় চট্টগ্রাম।
লক্ষ্য তাড়ায় নাসির হোসেনের অপরাজিত ৪৫ ও তানবির হায়দারের অপরাজিত ৩৬ রানে ২৩.৫ ওভারেই লক্ষ্যে পৌঁছায় রংপুর।
প্রথম স্তরের অপর ম্যাচে বিকেএসপিতে ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে ২১৮ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় দিন শেষে ৩ উইকেটে ১১০ রান করেছে সিলেট বিভাগ। ইমতিয়াজ হোসেন ৪২ ও জাকির হাসান ২০ রানে ব্যাট করছেন।
এর আগে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে আগের দিনের ২ উইকেটে ৮৮ রান নিয়ে ব্যাট করতে নেমে ২৫৬ রানে অলআউট হয়ে যায় ঢাকা। শুভাগত হোম ৮৯ রান করেন। সিলেটের হয়ে ৫৩ রানের খরচায় ৫টি উইকেট নেন তানজিম হাসান সাকিব।
কক্সবাজারে দ্বিতীয় স্তরের ম্যাচে খুলনা বিভাগের বিপক্ষে ২৩০ রানের লিড নিয়েছে বরিশাল বিভাগ। আগের দিন ১৬৯ রানে ৮ উইকেট হারানো খুলনা এদিন ২১৩ রানে অলআউট হয়। প্রথম ইনিংসে ৩৫ রানে গিয়ে থেকে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেটে ১৯৫ রান তুলেছে বরিশাল। মোহাম্মদ আশরাফুল ৫৫ ও সোহাগ গাজী ৬৪ রানে অপরাজিত রয়েছেন।
দ্বিতীয় তরের অপর ম্যাচে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ৪১ রানে পিছিয়ে আছে ঢাকা মেট্রো। প্রথম ইনিংসে ২৩২ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে তৃতীয় দিন শেষে ৪ উইকেটে ১৯১ রান করেছে ঢাকা মেট্রো। সাদমান ইসলাম খেলেছেন ৫২ রানের ইনিংস। মার্শাল আইয়ুব ৫৯ ও জাহিদুজ্জামান ৫১ রান করে অপরাজিত রয়েছেন।
সকালে আগের দিনের ৬ উইকেটে ৩৩৩ রান নিয়ে ব্যাট করতে নেমে শেষ চার উইকেট হারিয়ে আর ৩৩ রান যোগ করে ৩৬৬ রানে অলআউট হয় রাজশাহী। আগের দিন ১০৮ রানে অপরাজিত থাকা মুশফিকুর রহিম আর ২ রান যোগ করে ১১০ রানে আউট হন। ফরহাদ রেজা ৬৩ রানের ইনিংস খেলেন।
Comments