জাতীয় লিগে মার্শালের সেঞ্চুরি
প্রথম দিনের মতো দ্বিতীয় দিনেও বৃষ্টির দাপট। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে জাতীয় লিগের তৃতীয় রাউন্ডের চার ম্যাচের মধ্যে দ্বিতীয় দিনে মাঠে গড়িয়েছে কেবল একটি ম্যাচ। বাকি তিন ম্যাচে মাঠে বল গড়ায়নি একটিও। বরিশাল বিভাগের বিপক্ষে মার্শাল আইয়ুবের সেঞ্চুরিতে লড়াইয়ের আভাস দিচ্ছে ঢাকা মেট্রো।
রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে ঢাকা মেট্রো ও বরিশালের মধ্যকার ম্যাচে আগের দিন কেবল টসই হয়েছিল। যেখানে টস জিতে ঢাকা মেট্রোকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছিল বরিশাল। তবে মাত্র এক বল পরই বৃষ্টি নামলে হয়নি খেলা।
মঙ্গলবার সেখান থেকেই শুরু হয় ম্যাচ। কামরুল ইসলাম রাব্বির করা দিনের দ্বিতীয় বলেই বোল্ড হয়ে যান ওপেনার মাহফিজুল ইসলাম। শামসুর রহমান শুভকে নিয়ে দ্বিতীয় উইকেটে ৩৬ রানের জুটি গড়েন অধিনায়ক মোহাম্মদ নাঈম শেখ। এদিন ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিলেও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি নাঈম। শাহিন আলমের বলে ক্যাচ দেন উইকেটরক্ষকের হাতে। এরপর স্কোরবোর্ডে আর কোন রান না হতে আউট হয়েছেন শামসুরও। ফলে বেশ চাপে পড়ে যায় দলটি।
এরপর চতুর্থ উইকেটে আইচ মোল্লাকে নিয়ে দলের হাল ধরেন মার্শাল। ৮৪ রানের জুটি গড়েন এ দুই ব্যাটার। এরপর জাহিদুজ্জামানের সঙ্গে ৩১, শরিফুল্লাহর সঙ্গে ৩৯, আবু হায়দার রনির সঙ্গে ৪৩ এবং রকিবুল হাসানের সঙ্গে ২৭ রানের আরও চারটি ছোট জুটি গড়েন মার্শাল। কিন্তু এরপর স্কোরবোর্ডে আর কোনো রান যোগ না করতে শেষ তিনটি উইকেট হারালে ২৫৫ রানে গুটিয়ে যায় দলটি।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১০০ রানের ইনিংস খেলেন মার্শাল। ১৮৬ বলে ৭টি চারের সাহায্যে এ রান করেন তিনি। আইচ মোল্লার ব্যাট থেকে আসে ৯০ বলে ৪২ রান। অধিনায়ক নাঈম করেন ২৫ রান। বরিশালের পক্ষে ৩টি উইকেট উইকেট নিয়েছেন কামরুল ও রুয়েল মিয়া।
নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে আসাদুল্লাহ গালিবের তোপে পড়ে দলীয় ৯ রানেই দুই ওপেনার রাফসান আল মাহমুদ ও মোহাম্মদ আশরাফুলকে হারায় বরিশাল। কামরুল ১ ও আবু সায়েম ০ রানে উইকেটে আছেন। বরিশালের আসাদুল্লাহ নেন ২টি উইকেট।
বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম বিভাগ ও ঢাকা বিভাগের মধ্যকার ম্যাচ, সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রংপুর বিভাগ ও সিলেট বিভাগের মধ্যকার ম্যাচ এবং সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের একাডেমি মাঠে খুলনা বিভাগ ও রাজশাহী বিভাগের মধ্যকার ম্যাচে মাঠে গড়ায়নি একটি বলও।
Comments