ভারতকে ফের হুমকি দিয়ে রাখলেন রমিজ

Ramiz Raja
ফাইল ছবি- রয়টার্স

রাজনৈতিক বৈরিতায় ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে দ্বি-পাক্ষিক সিরিজ অনেক দিন যাবত বন্ধ। দুই দলের দেখা হয়  বহুজাতিক আসরে। এবার দুই দেশে হতে যাওয়া দুটি এমন আসর নিয়ে তাদের মধ্যে চলছে পাল্টাপাল্টি অবস্থান। ভারত যদি পাকিস্তানে হতে যাওয়া এশিয়া কাপ খেলতে না যায়, তাহলে পাকিস্তানও বর্জন করবে ভারতে হতে যাওয়া বিশ্বকাপ।

২০২৩ সালের অক্টোবর-নভেম্বরে পরবর্তী ওয়ানডে বিশ্বকাপের আয়োজক ভারত। তার আগে সেপ্টেম্বর ওয়ানডে সংস্করণের এশিয়া কাপ হওয়ার কথা পাকিস্তানে। কিন্তু দেশটিতে দল না পাঠানোর নীতিগত অবস্থান আছে বিজেপি শাসিত সরকারের। এমনটা হলে ভারতের বিশ্বকাপও বর্জন করবে পাকিস্তান।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম উর্দু নিউজকে এমন কথাই আবার স্পষ্ট জানালেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) প্রধান রমিজ রাজা, তার মতে পাকিস্তান ভারতে না গেলে দর্শক আগ্রহেও পড়বে ভাটা,  'আগামী বছর ভারতে ওয়ানডে বিশ্বকাপে যদি পাকিস্তান না যায় তাহলে সেটি কে দেখবে? আমাদের অবস্থান অনড়। তারা যদি এশিয়া কাপ খেলতে পাকিস্তানে আসতে রাজী হয় তবে আমরাও যাব। যদি তারা না আসে আমরাও যাব না, আমাদেরকে ছাড়াই বিশ্বকাপ হবে।'

এশিয়া কাপ খেলতে ২০০৮ সালে পাকিস্তানে গিয়েছিল ভারত। এরপর আর দেশটিতে দল পাঠায়নি তারা। মাঝে নিরাপত্তা ইস্যুতে অনেকদিন ধরে পাকিস্তানে যায়নি কোন দলই। দেশটির নিরাপত্তা সমস্যা মিটেছে কয়েক বছর ধরে। এখন অন্য দলগুলোর সফরও স্বাভাবিক।

কেবল ভারতের জন্য এশিয়া কাপ আয়োজন তাই নিরপেক্ষ ভেন্যুতে নিতে চায় না তারা। রমিজ জানান, মাঠের খেলায় ভালো করাতেও তাদের অবস্থান এখন বেশ শক্ত, 'আমাদের দল এখন পারফর্ম করছে। আমরা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলেছি, আমরা কঠোর পথে যাব।'

দুই পক্ষে মতামত অনানুষ্ঠানিকভাবে জানা গেলেও এই বিষয়ে এখনো কোন আলোচনা না হওয়ার কথাও জানা রমিজ। তবে তারা কোনভাবেই তাদের অবস্থান থেকে সরে আসবেন না বলে জানিয়েছেন তিনি, 'এশিয়া কাপ খেলতে ভারত পাকিস্তানে আসবে না, এরকম কোন আলোচনা এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলে হয়নি। তবে সুযোগ যদি আসে (আলোচনার) আমাদের অবস্থান থাকবে অনড়। তোমরা যদি আস, আমরাও যাব। এটাই আমাদের কথা।'

Comments

The Daily Star  | English

Project stalled amid bureaucratic hurdles

The construction of Jagannath University’s long-awaited second campus in Keraniganj has stalled due to bureaucratic delays.

1h ago