অধিনায়ক ছিটকে গেলেন, সহ-অধিনায়কও ঠিক করেনি বিসিবি

কুঁচকির চোটে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ থেকে ছিটকে গেছেন তামিম ইকবাল। ওয়ানডে অধিনায়ক না থাকায় তার বদলে নেতৃত্ব দেওয়ার কথা সহ-অধিনায়কের। কিন্তু সহ-অধিনায়কও কাউকে বেছে নেয়নি বিসিবি। ভারতের বিপক্ষে নেতৃত্ব কে দেবেন, সিরিজ শুরুর তিনদিন আগেও তা অজানা।
বৃহস্পতিবার দিনের বেলাতেই জানা যায় ওয়ানডে সিরিজ ও প্রথম টেস্টে থাকছেন না তামিম। আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে সন্ধ্যায় বিসিবিও জানিয়ে দেয় তা। দলের ফিজিও বায়েজিদুল ইসলাম জানান, 'তামিমের কুঁচকিতে গ্রেড ওয়ান স্ট্রেইন ধরা পড়েছে এমআরআইতে। অন্তত দুই সপ্তাহ তাকে পুনর্বাসনের মধ্য দিয়ে যেতে হবে।'
বিবৃতিতে তামিমের বিকল্প কাউকে নেওয়ার কথা জানায়নি বিসিবি। সবচেয়ে বিস্ময়কর হলো অধিনায়ক ছিটকে গেলেও তার বদলে নেতৃত্ব কে দেবেন তাও জানানো হয়নি।
এর আগে বিকেলে মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, কে দেবেন নেতৃত্ব। তখনো তিনি স্পষ্ট উত্তর দিতে পারেননি।
গত জুন মাসে লিটন দাসকে টেস্টে সাকিব আল হাসানের ডেপুটি হিসেবে ঘোষণা করা হয়। তখন বলা হয়েছিল সব সংস্করণেই একজন সহ-অধিনায়ক ঠিক করা হবে। টি-টোয়েন্টিতে নুরুল হাসান সোহানকে দায়িত্ব দেওয়া হলেও ওয়ানডেতে জায়গাটা রাখা হয় ফাঁকা।
বোর্ড সভাপতি জানান তারা সহ-অধিনায়কত্ব ঠিক করে উঠতে পারেননি, 'সহ-অধিনায়ক এখন পর্যন্ত আমরা ঠিক করিনি। আমরা পরে সিদ্ধান্ত নেব। আনুষ্ঠানিকভাবে আগে শুনি কতদিনের জন্য খেলতে পারবে না। হঠাৎ করে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। পুরো তথ্যটা পেয়ে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে।'সন্ধ্যায় পুরো তথ্য পাওয়ার পরও সিদ্ধান্ত আসেনি।
তামিমকে অনির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য দেওয়া হয় অধিনায়কত্ব। কিন্তু ২০২৩ বিশ্বকাপে তিনি অধিনায়ক কিনা এই জায়গা এখনো স্পষ্ট নয়। নাজমুল এমন প্রশ্নে আবারও হাঁটেন ধোঁয়াশার পথে, 'এখন পর্যন্ত তো তাই-ই (তামিম অধিনায়ক) আছে। আমরা তো কিছু বদলাইনি। এভাবে কেউ বলে নাকি, ওই সিরিজ পর্যন্ত? এভাবে সাধারণত আমরা বলি না। ও অধিনায়ক মানে অধিনায়ক। অধিনায়ক ইস্যু নিয়ে আমাদের এখনও পর্যন্ত কোনো চিন্তা নেই। কোনো দ্বিমত আমরা পাইনি যে কী করব, না করব।'
এদিকে পীঠের চোটে ভুগতে থাকা তাসকিন আহমেদের খেলা নিয়ে আছে সংশয়। তার ব্যাকআপ হিসেবে শরিফুল ইসলামকে ওয়ানডে স্কোয়াডে ডেকে নেওয়া হয়েছে।
৪ ডিসেম্বর মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হবে প্রথম ওয়নডে। ৭ ডিসেম্বর একই ভেন্যুতে দ্বিতীয় ম্যাচ। এরপরই দুদল চলে যাবে চট্টগ্রামে। ১০ ডিসেম্বর জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে হবে তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ। ১৪ ডিসেম্বর থেকে চট্টগ্রামেই হবে প্রথম টেস্ট। ঢাকায় ফিরে দ্বিতীয় টেস্ট শুরু ২২ ডিসেম্বর।
Comments