রোহিত-শুভমানের সেঞ্চুরিতে কিউইদের হোয়াইটওয়াশ করল ভারত
সিরিজ হার নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল আগেই। শেষ ওয়ানডে ম্যাচটি ছিল কিউইদের জন্য হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর। কিন্তু তাতে ভারতের দুই ওপেনার শুভমান গিল ও অধিনায়ক রোহিত শর্মার ঝড়ো সেঞ্চুরিতে রানের পাহাড়ে চাপা পড়ে দলটি। এরপর ডেভন কনওয়ে এক প্রান্ত আগলে লড়াই চালালেও বড় হার মানতে বাধ্য হয় নিউজিল্যান্ড। ফলে সফরকারীদের হোয়াইটওয়াশ করেই ছাড়ে রোহিত শর্মার দল।
মঙ্গলবার ইন্দোরে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচে সফরকারী নিউজিল্যান্ডকে ৯০ রানে হারিয়েছে ভারত। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ৩৮৫ রান করে স্বাগতিকরা। জবাবে ৪১.২ ওভারে ২৯৫ রানে গুটিয়ে যায় কিউইরা।
বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালো করতে পারেনি নিউজিল্যান্ড। শুরুতেই হার্দিক পান্ডিয়ার শিকার হয়ে খালি হাতে ফেরেন ওপেনার ফিন অ্যালান। তবে তিন নম্বরে নামা হেনরি নিকোলস নিয়ে দারুণ জবাব দেন আরেক ওপেনার ডেভন কনওয়ে। গড়েন ১০৬ রানের জুটি। এরপর নিকোলস কুলদিপ যাদবের শিকার হলে ড্যারিল মিচেলের সঙ্গে দলের হাল ধরেন কনওয়ে। ৭৮ রানের আরও একটি দারুণ জুটি গড়েন।
মিচেলকে ফিরিয়ে এ জুটি ভাঙেন শার্দুল ঠাকুর। এরপর আর সে অর্থে লড়াইটা জমাতে পারেনি কিউইরা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ৫২ বল বাকি থাকতেই গুটিয়ে যায় দলটি। তবে এক প্রান্তে লড়াই করেছিলেন কনওয়ে। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১৩৮ রানের ইনিংস খেলেন। ১০০ বলে ১২টি চার ও ৮টি ছক্কায় সাজান নিজের ইনিংস। এছাড়া নিকোলস ৪২ ও মিচেল স্যান্টনার ৩৪ রান করেন।
ভারতের পক্ষে ৪৫ রানের খরচায় ৩টি উইকেট পান শার্দুল। ৬২ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট নেন কুলদিপও। ২টি উইকেট পান জুজবেন্দ্র চাহাল।
এদিন টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে নামে স্বাগতিকরা। দুই ওপেনার শুভমান ও রোহিতের ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা পায় দলটি। এ দুই ওপেনারের বেধড়ক পিটুনিতে ২৬ ওভারে ওপেনিং জুটিতেই আসে ২১২ রান। তাতে বড় সংগ্রহের ভিত পেয়ে যায় দলটি। আর সেখানে ইমারত গড়েন বাকি ব্যাটাররা।
তবে এক পর্যায়ে মনে হয়েছিল দলীয় সংগ্রহ চারশ ছাড়িয়ে কেবল সময়ের ব্যপার মাত্র। কিন্তু ওপেনারদের বিদায় করার পর কিউই বোলাররা কিছুটা নিয়ন্ত্রিত বোলিং করতে পারলে সে অর্থে আর বড় জুটি হয়নি। তাতে রানের ঊর্ধ্ব গতিতে কিছুটা লাগাম টানতে সমর্থ হয় সফরকারীরা।
ভারতীয় ব্যাটারদের আগ্রাসনে এদিন বিব্রতকর এক রেকর্ডই গড়ে ফেলেন ডাফি। রান দেওয়ার সেঞ্চুরি করে ফেলেন তিনি। ১০ ওভার বল করে দেন ১০০ রান। তবে পেয়েছেন বিরাট কোহলি সুরিয়াকুমার যাদব ও হার্দিক পাণ্ডিয়ার উইকেট। ৩ উইকেট নিয়েও ওয়ানডেতে তারচেয়ে বেশি রান সবার উপরে এখন ডাফি। এর আগে ২০১০ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩ উইকেট নেওয়ার পরও ৯ রান খরচ করেছিলেন বাংলাদেশের পেসার শফিউল ইসলাম। এদিন সে রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড গড়েন ডাফি।
ওয়ানডে ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি তুলে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১১২ রানের ইনিংস খেলেন শুভমান। ৭৮ বলে ১৩টি চার ও ৫টি ছক্কায় এ রান করেন এ ওপেনার। সেঞ্চুরি পান আরেক ওপেনার অধিনায়ক রোহিতও। ৩ বছর ৫ মাস পর মিলে তার সেঞ্চুরি। ৮৫ বলে ৯টি চার ও ৬টি ছক্কায় খেলেন ১০১ রানের ইনিংস। এছাড়া ৩৮ বলে ৩টি করে চার ও ছক্কায় করেন ৫ রান।
নিউজিল্যান্ডের পক্ষে ডাফি ছাড়াও ৩টি উইকেট পেয়েছেন ব্লেয়ার টিকনার। তিনি খরচ করেন ৭৬ রান।
Comments