আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আর দেখা যাবে না ফিঞ্চকে
গত সেপ্টেম্বরে ওয়ানডে থেকে অবসরে গিয়েছিলেন অ্যারন ফিঞ্চ। প্রথমবার অস্ট্রেলিয়াকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতানো এই অধিনায়ক এবার ছেড়ে দিলেন কুড়ি ওভারের ক্রিকেটও। টেস্ট ক্যারিয়ার আগেই থমকে যাওয়ায় ৩৬ পেরুনো এই ওপেনারকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আর দেখার সম্ভাবনা রইল না।
সোমবার আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকেও আনুষ্ঠানিক অবসরের ঘোষণা দেন ফিঞ্চ। মেলবোর্নে গণমাধ্যমকে ফিঞ্চ জানান, ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত খেলার সম্ভাবনা না থাকায় এখনি বিদায় বলছেন তিনি, 'বুঝতে পারলাম ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত আমি খেলতে পারব না। কাজেই সরে যাওয়ার জন্য এটাই আদর্শ সময়। তাতে করে দল নতুন করে তৈরি হতে পারবে।'
১০৩টি টি-টোয়েন্টি খেলা ফিঞ্চ ৭৬ ম্যাচেই নেতৃত্ব দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়াকে। তার নেতৃত্বে ২০২১ সালে কুড়ি ওভারের বিশ্বকাপ ট্রফি প্রথমবার উঁচিয়ে ধরে ক্রিকেট পরাশক্তি অস্ট্রেলিয়া। তার নেতৃত্বে ঘরের মাঠে গত বছর আরেকটি বিশ্বকাপে নামলেও তাতে ব্যর্থ হয় অজিরা।
টি-টোয়েন্টি সংস্করণে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সর্বোচ্চ ৩ হাজার ১২০ রান করেছেন ফিঞ্চ। ৩৪.২৮ গড় আর ১৪২.৫ স্ট্রাইকরেটে আলো ছড়িয়ে গেছেন তিনি। গত অক্টোবরে বিশ্বকাপে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৪৪ বলে ৬৩ রানই হয়ে থাকল তার শেষ ইনিংস।
বিদায় বেলায় স্বজন, বন্ধু ও ভক্তদের কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন এই ডানহাতি ব্যাটার, 'আমি আমার পরিবারকে ধন্যবাদ জানাই। বিশেষ করে আমার স্ত্রী এমি, আমার সতীর্থ, ক্রিকেট ভিক্টোরিয়া, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ও অস্ট্রেলিয়ার সব ক্রিকেটারকে ধন্যবাদ আমাকে সমর্থন দেওয়ার জন্য। আমাকে ভালোবাসা দেওয়ায় সব সমর্থকদেরও জানাই কৃতজ্ঞতা।'
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়লেও মেলবোর্ন রেনেগেটসের হয়ে বিগব্যাশ খেলে যাবেন ফিঞ্চ। ভিক্টোরিয়া রাজ্য দলের হয়ে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটও খেলতে দেখা যাবে তাকে।
ফিঞ্চের বিদায়ে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান ডা. লেচলান হেন্ডারসন, 'অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ (ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে) জেতানো মাত্র পাঁচজন অধিনায়কের একজন ফিঞ্চ। অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটে তার বিশেষ জায়গা থাকবে। সর্বোচ্চ পর্যায়ে সেরা নিবেদন দেখিয়ে খেলার জন্য তাকে আমরা ধন্যবাদ জানাই। তার পরবর্তী জীবনের জন্য শুভকামনা।'
২০১১ সালে টি-টোয়েন্টি দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ফিঞ্চের। ২০১৩ সালে ওয়ানডে অভিষেকের পর ২০২২ পর্যন্ত খেলেছেন ১৪৬ ম্যাচ। ২০১৯ বিশ্বকাপে নেতৃত্ব দেন অস্ট্রেলিয়াকে। ২০১৮ সালে টেস্ট অভিষেক হলেও সাদা পোশাকে ক্যারিয়ার লম্বা হয়নি। খেলেছেন স্রেফ ৫ টেস্ট।
Comments