নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ

অচেনা জয়ের স্বাদ এবার পেতে চান জ্যোতি

ছবি: এএফপি

নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের অভিষেকে দুটি ম্যাচ জিতেছিল বাংলাদেশ। পরের তিনটি আসরে অবশ্য হারই ছিল তাদের একমাত্র প্রাপ্তি। প্রতিবারই স্কোয়াডে থাকায় ব্যর্থতার ভাগীদার হন বর্তমান অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতিও। তবে এবার বিশ্বমঞ্চে প্রায় নয় বছরের দীর্ঘ জয়খরার অবসান ঘটানোর লক্ষ্য তার।

দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে বসেছে এবারের বিশ্বকাপ। 'এ' গ্রুপে স্বাগতিকদের সঙ্গে আছে বাংলাদেশ। তাদের বাকি তিন প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড।

২০১৪ সালের নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজক ছিল বাংলাদেশ। সেবার গ্রুপ পর্বে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছিল তারা। অভিষেক আসরে আরও একটি জয়ের দেখা মিলেছিল, আয়ারল্যান্ডয়ের বিপক্ষে। কিন্তু গত তিনটি বিশ্বকাপে (২০১৬, ২০১৮ ও ২০২০) মোট ১২টি ম্যাচ খেলেও শেষ হাসি থেকে যায় অধরা।

আগামীকাল রোববার এবারের আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। কেপটাউনে তাদের প্রতিপক্ষ লঙ্কানরা। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ১১টায়। অন্য দলগুলো শক্তির বিচারে অনেক এগিয়ে থাকায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে লড়াইটিতে জ্যোতিদের জয়ের বাস্তবিক সম্ভাবনা রয়েছে। তবে কাজটা সহজ হবে না মোটেও। কারণ, উদ্বোধনী ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে চমক দেখিয়েছে তারা।

লঙ্কানদের মুখোমুখি হওয়ার আগে শনিবার সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ দলনেতা জ্যোতি তুলে ধরেন বিশ্বকাপে তার লক্ষ্য, 'আমি তিনটা বিশ্বকাপ খেলেছি, এখনও একটা জয়ের দেখা পাইনি। আমার লক্ষ্য, এবার যেন জয় দিয়ে জয়খরা ঘোচাতে পারি।'

কাগজে-কলমে নয়, জয় আসে মাঠের পারফরম্যান্সের মধ্য দিয়ে। আর সেখানে বাংলাদেশের ভাবনার আছে অনেক কিছু। ঘাটতি রয়েছে টি-টোয়েন্টিতে সাফল্যের অন্যতম চাবিকাঠি পাওয়ার হিটিংয়ে। সেটা অকপটে স্বীকার করে নেওয়া জ্যোতি ব্যক্তিগত নয়, দলগত নৈপুণ্য দিয়ে ফল নিজেদের পক্ষে আনতে চান। 

গত বছর নারী টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক এই ব্যাটার যোগ করেন, 'জিততে হলে আমাদের দল হিসেবে খেলতে হবে। আমাদের পাওয়ার হিটার নেই, অন্য দলগুলোর মতো ভালো ফিনিশার নেই; কিন্তু দল হিসেবে যদি খেলতে পারি, ভালো কিছু হবে। বোলিং, ব্যাটিং ও ফিল্ডিং তিন বিভাগেই ভালো করতে পারলে জিততে পারব। তাই তিন বিভাগে সেরাটা দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য।'

Comments

The Daily Star  | English

10 ministries brace for budget cuts

The railway ministry, the power division, and the primary and mass education ministry will see the biggest chop.

10h ago