বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড সিরিজ

বাংলাদেশকে ২০৯ রানে বেঁধে সহজ লক্ষ্য পেল ইংল্যান্ড

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা একেবারে মন্দ ছিল না বাংলাদেশের। ২ উইকেট খুইয়ে একশর কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল তারা। কিন্তু নাজমুল হোসেন শান্ত বাদে বাকি ব্যাটাররা ইনিংস লম্বা করতে ব্যর্থ হলো। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট তুলে নেওয়া ইংল্যান্ডের বোলাররা শেষদিকে চড়াও হয়ে অল্পতে বেঁধে ফেলল স্বাগতিকদের।

বুধবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ৪৭.২ ওভারে ২০৯ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। শেষ ৬ উইকেট তারা হারায় মাত্র ৫০ রানে। ইনিংসের এক পর্যায়ে ৩৬তম ওভারে তাদের সংগ্রহ ছিল ৪ উইকেটে ১৫৯ রান। এরপর পথ হারিয়ে ধুঁকতে ধুঁকতে কোনোমতে দুইশ পেরিয়ে থামে তারা।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৮ রান করেন তিনে নামা শান্ত। ৮২ বল মোকাবিলায় তিনি মারেন ৬টি চার। ১৬ ওয়ানডের ক্যারিয়ারের এটি তার প্রথম হাফসেঞ্চুরি। বাংলাদেশের আরও পাঁচ ব্যাটার দুই অঙ্কে পৌঁছান। তাদের মধ্যে দুজনই লেজের দিকের ক্রিকেটার। অতিরিক্ত খাত থেকে ২৬ রান না আসলে পুঁজিটা আরও মামুলি হতো তামিম ইকবালের দলের।

টস জিতে ব্যাট করতে গিয়ে ভালো শুরু পান তামিম। তবে আরেক পাশে লিটন দাস ছিলেন গুটিয়ে। জোফরা আর্চারের কিছু আলগা বল কাজে লাগিয়ে দ্রুত রান আনছিলেন তামিম। প্রথম ৮ বল কোনো রান না নেওয়া লিটন রানের খাতা খোলার পরই ক্রিস ওকসের বলে পুল করে মেরেছিলেন ছক্কা। কিন্তু ওকসই তার হন্তারক। হালকা ভেতরে ঢোকা বল লাইন মিস পায়ে লাগান। এলবিডব্লিউর সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করেও লাভ হয়নি তার। 

তামিম থিতু হয়ে গিয়েছিলেন। তার উপর ছিল বড় ভরসা। কিন্তু মার্ক উড বল হাতে নিয়েই ভড়কে দেন বাংলাদেশ অধিনায়ককে। উডের বাড়তি গতি সামাল দিতে না পেরে স্টাম্প খোয়ান ৩২ বলে ২৩ রান করে। 

তিনে নেমে দ্রুতই থিতু হয়ে যান শান্ত। বাউন্ডারি বের করে নিয়মিত। তার সঙ্গে মিলে জুটি পেয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম। তৃতীয় উইকেটে ৬২ বলে ৪৪ রানের জুটির পর থামতে হয় মুশফিককে। ৩৪ বলে ১৭ করা বাংলাদেশের অভিজ্ঞ ব্যাটার আদিল রশিদের লেগ স্পিন  স্লগ সুইপের চেষ্টায় ওঠান সহজ ক্যাচ। সাকিব আল হাসান এসে টিকতে পারেননি। মঈন আলির অফ স্পিনে সুইপ করতে গিয়ে খোয়ান স্টাম্প।

১০৬ রানে ৪ উইকেট পড়ার পর জুটি বাঁধেন শান্ত ও মাহমুদউল্লাহ। তারা যোগ করেন ৫৩ রান। তবে লেগে যায় ৮০ বল। বিশেষ করে, শান্ত হয়ে পড়েন খোলসে বন্দি। ৬৭ বলে হাফসেঞ্চুরি ছোঁয়ার পর রশিদের গুগলি পুল করায় চেষ্টায় থামেন তিনি। শর্ট মিডউইকেটে তার ক্যাচ নেন জেসন রয়।

দলের খাতায় আর ১৬ রান যোগ হতেই সাজঘরে ফেরেন মাহমুদউল্লাহ ও আফিফ হোসেন। এতে ভেস্তে যায় শুরুর ভিত কাজে লাগানোর আশা। উডের বলে ইংলিশ দলনেতা বাটলারের তালুবন্দি হন মাহমুদউল্লাহ। ৪৮ বল খেলে তিনি করেন ৩১ রান। উইকেট উপহার দিয়ে আফিফ দ্রুত মাঠ ছাড়েন। তাকে ফিরিয়ে ওয়ানডে অভিষেকে উইকেটের স্বাদ নেন উইল জ্যাকস।

আর্চারের বল খোঁচা দিয়ে থামেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এরপর তাসকিন আহমেদ ও তাইজুল ইসলাম মিলে দলের সংগ্রহ দুইশ পার করান। ৫ বলের মধ্যে তারা আউট হলে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। তাসকিন ১৮ বলে ১৪ ও তাইজুল ১৩ বলে ১০ রান করেন। ইংল্যান্ডের পক্ষে ২টি করে উইকেট নেন আর্চার, উড ও মঈন ও রশিদ।

Comments

The Daily Star  | English
National election

Political parties must support the election drive

The election in February 2026 is among the most important challenges that we are going to face.

7h ago