টানা চার ম্যাচে শূন্য পাকিস্তানি ব্যাটারের

অভিষেক ম্যাচে কি দারুণই না ছিলেন আবদুল্লাহ শফিক। ম্যাচ জেতানো ৪১ রানে ক্যারিয়ার শুরু। কিন্তু এরপর ১৮০ ডিগ্রি উল্টে গেল সব। রান করতেই ভুলে গেছেন। টানা চারটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে শূন্য রানে আউট হয়ে গড়েছেন অনাকাঙ্ক্ষিত এক রেকর্ড। ক্রিকেট ইতিহাসে এমন বিব্রতকর রেকর্ড নেই আর কেউর।
রোববার রাতে শারজাহতে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৭ উইকেটে হেরেছে পাকিস্তান। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৩০ রান করতে সমর্থ হয় দলটি। জবাবে ১ বল হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে আফগানরা। এর আগে প্রথম ওয়ানডেতে ৬ উইকেটে জিতেছিল তারা। ফলে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতে নিল আফগানিস্তান।
নিয়মিত অধিনায়ক বাবর আজম ও উইকেটরক্ষক-ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ানকে বিশ্রাম দেওয়া দলটি আরও একবার ব্যর্থ হয়েছে। ফজলহক ফারুকির তোপে স্কোরবোর্ডে কোনো রান যোগ করার আগেই জোড়া ধাক্কা খায় পাকিস্তান। সিয়াম আইয়ুবের পর গোল্ডেন ডাক নিয়ে মাঠ ছাড়েন আগের তিন ম্যাচে শূন্য রানে আউট হওয়া শফিক। ফারুকির বলে পড়েন এলবিডাব্লিউর ফাঁদে।
আগের ম্যাচে দুই বল খেলে আজমতুল্লাহ ওমরজাইয়ের বলে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে পড়েছিলেন শফিক। এর আগে নিউজিল্যান্ড সিরিজে দুটি ম্যাচ খেলে শূন্য রানে আউট হন শফিক। সে দুই ম্যাচেও দুটি করে বল মোকাবেলা করতে পেরেছিলেন তিনি।
শফিকের বিদায়ের পর দলীয় ২০ রানে ফিরে যান আরেক পাক ওপেনার মোহাম্মদ হারিসও। তবে কিছুটা চেষ্টা করেছিলেন ইমাদ ওয়াসিম। চতুর্থ উইকেটে তায়াব তাহিরকে নিয়ে ৪০ রানের জুটি গড়েন। এরপর ষষ্ঠ উইকেটে অধিনায়ক শাদাব খানের সঙ্গে গড়েন ৬৭ রানের জুটি। ফলে মাঝারী পুঁজি পায় দলটি।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৪ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন ইমাদ। ৫৭ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। এছাড়া শাদাব ৩২ রান করেন। আফগানিস্তানের পক্ষে দুটি উইকেট নেন ফারুকি।
লক্ষ্য তাড়ায় দলীয় ৩০ রানের ভাঙে আফগানদের ওপেনিং জুটি। উসমান ঘনিকে ফেরান জামান খান। এরপর ইব্রাহীম জাদরানকে নিয়ে ৫৬ রানের জুটি গড়েন রহমানুল্লাহ গুরবাজ। তাতেই জয়ের ভিত পেয়ে যায় দলটি। এরপর ১৬ রানের ব্যবধানে এ দুই ব্যাটার ফিরে গেলেও জয় পেতেই সমস্যা হয়নি। বাকি কাজ মোহাম্মদ নবিকে নিয়ে শেষ করেন নজিবুল্লাহ জাদরান।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৪ রানের ইনিংস খেলেন গুরবাজ। ৪৯ বলে ২টি চার ও ১টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। ৪০ বলে ৩৮ রান করেন ইব্রাহীম। নজিবুল্লাহ অপরাজিত ২৩ রান করেন।
Comments