উইলিয়ামসন-আসিফের সঙ্গে মাসসেরার লড়াইয়ে সাকিব
গত মাসে ইংল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সাদা বলের ক্রিকেটে আলো ছড়ান সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশের বাঁহাতি তারকা অলরাউন্ডার ব্যাটে-বলে দেখান নজরকাড়া পারফরম্যান্স। সেই সুবাদে আইসিসি প্লেয়ার অব দ্য মান্থ-এর তিনজনের সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা পেলেন তিনি।
মার্চ মাসের সেরার লড়াইয়ে থাকা পুরুষ ও নারী ক্রিকেটারদের নাম বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। বাংলাদেশের টেস্ট ও ওয়ানডে অধিনায়ক সাকিবের দুই প্রতিদ্বন্দ্বী হলেন নিউজিল্যান্ডের কেন উইলিয়ামসন ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের আসিফ খান। মেয়েদের তিনজনের সংক্ষিপ্ত তালিকায় আছেন পাপুয়া নিউগিনির সিবোনা জিমি ও রাভিনা ওয়া এবং রুয়ান্ডার হেনরিয়েট ইশিমউই।
ইংল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে গত মাসে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলেন সাকিব। তার পারফরম্যান্স ছিল ধারাবাহিক। ফলে তৃতীয়বারের মতো আইসিসি প্লেয়ার অব দ্য মান্থ-এর সংক্ষিপ্ত তালিকায় ঠাঁই পেলেন তিনি। এর আগে ২০২১ সালের জুলাই মাসের সেরা হওয়ার পর ওই বছর অক্টোবর মাসের সেরার লড়াইয়েও ছিলেন ৩৬ বছর বয়সী ক্রিকেটার।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে ৮ রানে আউট হওয়া সাকিব দ্বিতীয় ম্যাচে করেন ৫৮ রান। তৃতীয় ওয়ানডেতে ৭৫ রানের ঝলমলে ইনিংসের পাশাপাশি ৩৫ রানে ৪ উইকেট নেন তিনি। তার ম্যাচসেরা হওয়ার দিনে বাংলাদেশ হারিয়ে দেয় ইংলিশদের। ফলে হোয়াইটওয়াশ এড়ায় টাইগাররা।
এরপর দুই দলের টি-টোয়েন্টি সিরিজে স্মরণীয় সাফল্য অর্জন করে বাংলাদেশ। বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের হোয়াইটওয়াশ করে তারা। তিন ম্যাচেই উইকেটের স্বাদ নেওয়া সাকিব প্রথমটিতে খেলেন ২৪ বলে ৩৪ রানের অপরাজিত ইনিংস।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে পরের সিরিজেও ব্যাটে-বলে ছন্দ দেখান সাকিব। প্রথম ওয়ানডেতে তার ব্যাট থেকে আসে ৯৩ রান। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন তিনি। ২৪ বলে অপরাজিত ৩৮ রানের ইনিংসের পর ২২ রানে শিকার করেন ৫ উইকেট। সেদিন নিউজিল্যান্ডের টিম সাউদিকে সরিয়ে ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতম সংস্করণে সবচেয়ে বেশি উইকেটের (১৩৬) মালিক হন তিনি।
Comments