সব ধরনের কন্ডিশনে খেলায় উন্নতির লক্ষ্য হাথুরুসিংহে

এবার দৃষ্টিসীমা প্রসারিত করে নতুন ছক আঁকছেন হাথুরুসিংহে। কারণ, সামনে দেশের বাইরে অনেক টেস্ট ম্যাচ খেলতে হবে বাংলাদেশকে।
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

ইংল্যান্ডের মাটিতে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে আসন্ন ওয়ানডে সিরিজ ছাড়িয়ে আরও দূরে তাকিয়ে আছেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। প্রতিপক্ষ ও ফলাফল নিয়ে দুর্ভাবনায় আটকে থাকতে চান না তিনি। কন্ডিশন যাই হোক না কেন, বাংলাদেশের প্রধান কোচের লক্ষ্য দলের সার্বিক উন্নতি।

তিন দিনের অনুশীলন ক্যাম্পের জন্য বুধবার সন্ধ্যায় সিলেট যাচ্ছে তামিম ইকবালের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ দল। উদ্দেশ্য আইরিশদের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের জন্য নিজেদেরকে ঝালাই করে নেওয়া। আইসিসি ওয়ানডে সুপার লিগের অংশ হিসেবে আগামী মাসে চেমসফোর্ডে মুখোমুখি হবে দুই দল।

ইংল্যান্ডের উইকেট ও কন্ডিশনের সঙ্গে হাথুরুসিংহে মিল খুঁজে পেয়েছেন সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের। সেকারণে অনুশীলন ক্যাম্পের জন্য ওই ভেন্যুকে বেছে নেওয়া হয়েছে। এদিন মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে গণমাধ্যমের কাছে তিনি বলেছেন, 'আমরা যখন সিলেটে খেললাম, মনে হলো, ইংল্যান্ডের উইকেটের সঙ্গে এখানকার কয়েকটি উইকেটের মিল রয়েছে। তাই আমার মনে হলো, সেখানেই অনুশীলন করা উচিত। আবহাওয়ার বিষয়টি তো আছেই। এখানে (ঢাকায়) অনেক গরম। যে ধরনের উইকেট আমি চাই, তা এখানে পাব না।'

হাথুরুসিংহে আগেরবার যখন বাংলাদেশের কোচ ছিলেন, তখন ঘরের মাঠে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে মূলত স্পিননির্ভর কৌশল বেছে নিয়েছিলেন। তাতে দারুণ কিছু ফলাফল এলেও সমালোচনাও কম ছিল না। এবার দৃষ্টিসীমা প্রসারিত করে নতুন ছক আঁকছেন তিনি। কারণ, সামনে দেশের বাইরে অনেক টেস্ট ম্যাচ খেলতে হবে বাংলাদেশকে।

আগামীর চ্যালেঞ্জ নিয়ে ওয়াকিবহাল বাংলাদেশের প্রধান কোচ যোগ করেছেন, 'শুধু ইংল্যান্ডের কন্ডিশন নিয়ে ভাবছি তা না। আমাদের সার্বিক উন্নতির জন্য এটা প্রয়োজন। আমরা প্রতিপক্ষ ও ফলাফল নিয়ে দুশ্চিন্তা করছি না। আমরা উন্নতি করতে চাই, সেটা যেখানেই খেলি না কেন। সামনে আমাদের অনেকগুলো টেস্ট ম্যাচ আছে। বিশেষ করে, ঘরের বাইরে বেশি খেলতে হবে।'

আয়ারল্যান্ড সফরের জন্য ১৫ সদস্যের বাংলাদেশ দল:

তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), লিটন দাস, রনি তালুকদার, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহিদ হৃদয়, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, ইয়াসির আলি চৌধুরী, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, ইবাদত হোসেন, শরিফুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী।

Comments