বিশ্বকাপে থাকবেন মাহমুদউল্লাহ, ধারণা পাপনের
ঘরের মাঠে গত মার্চে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের পর ওয়ানডে দলে জায়গা হারিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। তাকে ছাড়াই এরপর আয়ারল্যান্ডকে আতিথ্য দেয় বাংলাদেশ। একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ইংল্যান্ডে চলমান ওয়ানডে সিরিজেও নেই অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। তবে বিশ্বকাপের দলে তিনি থাকবেন বলে ধারণা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের।
চলতি বছরের অক্টোবর-নভেম্বরে ভারতে অনুষ্ঠিত হবে আইসিসি ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ। সেখানে সরাসরি খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ দল। তবে টাইগারদের বিশ্বকাপের স্কোয়াডে মাহমুদউল্লাহর থাকা নিয়ে রয়েছে জোরালো শঙ্কা।
চেমসফোর্ডে চলছে বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ডের তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। গতকাল শুক্রবার দ্বিতীয় ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। মাঠে উপস্থিত ছিলেন ইংল্যান্ডে অবস্থানরত বোর্ড প্রধান পাপন। সেখানে সিরিজ কাভার করতে যাওয়া সাংবাদিকদের কাছে তিনি বলেন, 'মাহমুদউল্লাহ, আমার ধারণা, থাকবে বিশ্বকাপে।'
আইরিশদের বিপক্ষে ঘরের মাঠের সিরিজের আগে নির্বাচকরা জানিয়েছিলেন, মাহমুদউল্লাহকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। তবে সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স হতাশাজনক হওয়ায় তাকে বাদ দেওয়া হয়েছে, এমন গুঞ্জনই জোরালো। সেসময় চন্ডিকা হাথুরুসিংহের কাছ থেকে অবশ্য আশার বাণী শুনেছিলেন তিনি। বাংলাদেশের প্রধান কোচ বলেছিলেন, টিম ম্যানেজমেন্টের বিশ্বকাপ পরিকল্পনায় জোরালোভাবে আছেন মাহমুদউল্লাহ।
দীর্ঘদিন ধরে দলের সঙ্গে থাকা কোনো ক্রিকেটারকে স্কোয়াডে রেখে একাদশে না খেলানো কঠিন। কারণ, নানামুখী প্রশ্ন ওঠার সুযোগ থাকে। তরুণ নাজমুল হোসেন শান্ত ও তাওহিদ হৃদয়কে উদাহরণ হিসেবে ব্যবহার করে এই প্রসঙ্গে বিসিবি সভাপতি বলেন, 'হৃদয়-শান্তকে বিশ্রাম দিয়ে কিছুদিন কাউকে খেলানো যাবে, এটা যতটা সহজ, কিন্তু রিয়াদকে স্কোয়াডে রেখে খেলাচ্ছে না (এটা ততটা সহজ নয়)। এটা সবাই চিন্তা করেছে, কেমন হবে ব্যাপারটা, যদি না খেলায় কোনো একটা ম্যাচে (প্রশ্ন উঠতে পারে)। এই জিনিসগুলোই চিন্তা করে (তাকে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের স্কোয়াড রাখা হয়নি)।'
২০২২ সালের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ১৮টি ওয়ানডে খেলেছেন ৩৭ বছর বয়সী মাহমুদউল্লাহ। ১৬ ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে পাঁচবারই ছিলেন অপরাজিত। ৪৩.৭২ গড়ে তার সংগ্রহ ৪৮১ রান। গড় ভালো হলেও যে পজিশনে তিনি খেলেছেন, সেখানে পরিস্থিতির দাবি নিয়মিত মেটাতে পারেননি। রান পেলেও তা বেশিরভাগ সময় লাগেনি দলের কাজে। এই সময়ে তার স্ট্রাইক রেটের দশা বেহাল, মাত্র ৬৮.৯১।
মাহমুদউল্লাহর অনুপস্থিতিতে ছয় নম্বরে ব্যাট করছেন মুশফিকুর রহিম। ফিনিশারের ভূমিকায় তিনি কার্যকর সব ইনিংস খেলছেন, রানও পাচ্ছেন ধারাবাহিকভাবে। মাহমুদউল্লাহ জায়গা হারানোর পর নতুন পজিশনে খেলার মুশফিকের ইনিংসগুলো হলো যথাক্রমে ২৬ বলে ৪৪, ৬০ বলে অপরাজিত ১০০, ৭০ বলে ৬১ ও ২৮ বলে অপরাজিত ৩৬ রান।
Comments