আয়ারল্যান্ড সিরিজে বিশ্বকাপের জন্য আলাদা দুই প্রাপ্তি দেখছেন শান্ত

ইংল্যান্ডের মাঠে গিয়ে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে  খেলে মঙ্গলবার বিকেলে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ দল। প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে গেলেও বাকি দুই ম্যাচই ছিল উত্তেজনা ভরপুর, রোমাঞ্চকর। সেই রোমাঞ্চের দোলায় বাংলাদেশ পেয়েছে দারুণ দুই জয়।
Najmul Hossain Shanto
বিমানবন্দরে নাজমুল হোসেন শান্ত। ছবি: ফিরোজ আহমেদ/স্টার

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজটি না খেললেও বাংলাদেশের কোন সমস্যা ছিল না। আগেই বিশ্বকাপ নিশ্চিত পয়েন্ট ছেড়ে দিলেও অসুবিধার কিছু ছিল না। তবে তামিম ইকবালরা অধিক গুরুত্ব দিয়েই খেলেছেন সিরিজ, ফলও এসেছে নিজেদের পক্ষে। ভালো ফলের পাশাপাশি দুটি প্রাপ্তিও খুঁজে পেলেন সিরিজ সেরা নাজমুল হোসেন শান্ত।

ইংল্যান্ডের মাঠে গিয়ে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে  খেলে মঙ্গলবার বিকেলে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ দল। প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে গেলেও বাকি দুই ম্যাচই ছিল উত্তেজনা ভরপুর, রোমাঞ্চকর। সেই রোমাঞ্চের দোলায় বাংলাদেশ পেয়েছে দারুণ দুই জয়।

একটিতে বড় রান তাড়া করে এক পর্যায়ে চাপে পড়েও জয়, আরেকটিতে যথেষ্ট পুঁজি না নিয়েও নাটকীয়ভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে পাওয়া জয়।

বৃষ্টি বিঘ্নিত দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৪৫ ওভারে লক্ষ্য ছিল ৩২০। রান তাড়ায় অধিনায়ক তামিম, লিটন দাস আর সাকিব আল হাসান ফিরে গিয়েছিলেন তড়িঘড়ি। কিন্তু ১০১ মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া জুটিতে বাজিমাত করেন শান্ত আর তাওহিদ হৃদয়। ৯৩ বলে ক্যারিয়ার সেরা ১১৭ আসে শান্তর ব্যাটে।

পরেরটিতে ২৭৪ রান করে অস্বস্তিতে ছিল বাংলাদেশ। এক পর্যায়ে হাতে ৭ উইকেট নিয়ে ৫৪ বলে ৫২ রান দরকার ছিল আয়ারল্যান্ডের। সেই ম্যাচটিও ৪ রানে জিতে নেয় লাল সবুজের প্রতিনিধিরা । অনিয়মিত বোলার হয়ে অফ স্পিনে মহা গুরুত্বপূর্ণ ব্রেক থ্রো এনে অবদান রাখেন শান্ত।

দুইরকম স্নায়ু পরীক্ষায় জিতে যাওয়ায় আত্মবিশ্বাস বেড়েছে বাংলাদেশে। দেশে ফিরে বিমানবন্দরে শান্ত জানালেন, বিশ্বকাপের জন্য এই দুই ম্যাচই বেশ কাজে দেবে, 'আমরা যেটা ৩২০ তাড়া করলাম, আমার মনে হয় এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। যে ম্যাচটা আমরা ডিফেন্ড করলাম, সেটাও। দুটা ম্যাচই বিশ্বকাপের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বড় দলের বিপক্ষে এ ধরনের পরিস্থিতি বিশ্বকাপে আসতেই পারে। দুই ধরনের অনুভূতিই পেলাম কীভাবে চেজ করতে হয় বা ডিফেন্ড করতে হয়। এই জিনিস মনে রেখে সামনে ম্যাচ খেলতে পারলে দলের জন্য ভালো হবে।'

সিরিজে প্রথম ম্যাচে ৪৪, পরের ম্যাচে ১১৭ ও শেষ ম্যাচে শান্তর ব্যাট থেকে আসে ৩৫ রান। সেই সঙ্গে বোলিংয়ে এক উইকেট। কোন প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই শান্ত হয়েছেন সিরিজ সেরা। দারুণ সময় পার করা বাঁহাতি ব্যাটার এতে একেবারে আত্মতুষ্টির কিছুও দেখছেন না। বড় আসরের আগে আরও উন্নতির ঝোঁক তার, 'ভালো হচ্ছে, ভালো যাচ্ছে। কিন্তু আমার মনে হয় আরও উন্নতি করার জায়গা আছে। আরও ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে। আমার মনে হয় এই ছন্দ চালিয়ে যেতে পারলে আমার ও দলের জন্য ভালো।'

Comments