টেস্ট অধিনায়কত্ব করা অবশ্যই গর্বের বিষয়: লিটন

এশিয়া কাপে লিটন দাস
লিটন দাস। ছবি: ফিরোজ আহমেদ/স্টার

২০১৫ সালে টেস্ট অভিষেকের সময় ব্যাটিং দ্যুতিতে আগামীর উজ্জ্বল বার্তা দিয়েছিলেন লিটন দাস। নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে ৮ বছর পর বাংলাদেশকে টেস্টে নেতৃত্ব দিতে যাচ্ছেন তিনি। বিশেষ অনুভূতিতে উদ্বেল না হলেও এই প্রাপ্তি তাকে করছে গর্বিত।

গত বছর সাকিব আল হাসানকে ফের অধিনায়কত্ব দিয়ে টেস্টের স্থায়ী সহ-অধিনায়ক করা হয় লিটনকে। এবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে চোটের কারণে সাকিব না থাকায় দেশের ১২তম টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে টস করতে যাচ্ছেন তিনি। 

অভিজাত সংস্করণে ঐতিহ্যের ধারা মেনে ব্লেজার পরে হয়ে আসছে টস। নিজের উপর আসা দায়িত্ব এই সময়টায় অনেক অধিনায়ক টের পান বেশি করে। প্রথমবার হলে রোমাঞ্চ আরও বেশি করে স্পর্শ করে। লিটনের এখনো তেমন কিছু মনে হচ্ছে না, 'এভাবে কখনো চিন্তা করা হয়নি আসলে। দেখা যাক টস করতে গেলে অনুভূতিটা যদি ওভাবে আসে তাহলে আসতেই পারে।' 

সোমবার সংবাদ সম্মেলনেই শুরুতেই অধিনায়কত্ব নিয়ে লিটনকে দিতে হলো কয়েকটি প্রশ্নের জবাব। এর আগে গত বছরের শেষ দিকে তামিম ইকবালের অনুপস্থিতিতে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন লিটন। তার সিরিজও নেতৃত্বে জেতে দল।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নেতৃত্বের অভিজ্ঞতা আগেই হয়ে যাওয়ায় এবার বিশেষ অনুভূতির জোয়ার নেই, তবে বুকে হাত দিয়ে তিনি জানালেন আছে গর্ব,  'বিশেষ কিছু না। এটা তো অবশ্য একটা ভালো লাগার ব্যাপার কাজ করে। টেস্ট ক্রিকেটকে সবাই প্রাধান্য দেয়। টেস্ট ক্রিকেটার হওয়াটাই অনেক বড় বিষয়। তার মধ্যে দেশের হয়ে অধিনায়কত্ব করা এটা তো অবশ্যই গর্বের বিষয়।'

আনুষ্ঠানিকভাবে এই টেস্টে নেতৃত্ব পেলেও মাঠে নানান কারণে নিয়মিত অধিনায়কদের অনুপস্থিতিতে মাঠ চালাতে হয়েছে তাকে। অধিনায়কত্ব নিয়ে তাই আলাদা চিন্তার জায়গা নেই তার,  'আপনি যদি ভাইস ক্যাপ্টেনসি করবেন, তাহলে…(অভিজ্ঞতা হয়ে যায়)। এমনও হয়েছে যে সাকিব ভাই মাঠের বাইরে গেছেন,  তখন আমাকে ১-২ ওভার হলেও অধিনায়কত্ব করতে হয়েছে। এটা নিয়ে তাই চিন্তা হয়নি।' 

ক্যারিয়ারের শুরুতে তুমুল সম্ভাবনার পর অন্ধকার নামতে দেরি হয়নি। বিপর্যস্ত সময় পার করে আবার ঘুরে দাঁড়িয়ে নিজের জায়গা পাকাও করে নিয়েছেন। টেস্ট অধিনায়কত্বের অভিষেকের আগে পেছন ফিরে তাকাতে চাইলেন লিটন,  'অনেক উত্থান পতন ছিল। খারাপ সময় ছিল। আমি মনে করি ব্যর্থতা থাকা দরকার। ব্যর্থতা থাকলে শেখা যায়, আমিও শিখেছি। আশা করছি সেটা কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যাব।'

Comments

The Daily Star  | English

Dengue cases see sharp rise in early July

Over 1,160 hospitalised in first 3 days, total cases cross 11,000

11h ago