ইবাদতের তোপে শেষের পথে আফগানিস্তান
লাঞ্চের আগেই ১১ ওভারের মধ্যে আফগানদের তিন উইকেট তুলে নিয়েছিল বাংলাদেশ। লাঞ্চের পর সামান্য প্রতিরোধ হলেও উইকেট পতনের স্রোত থামাতে পারল না সফরকারীরা। ইবাদত হোসেন-শরিফুল ইসলামের পেস ঝাঁজের সঙ্গে পরে যোগ হলো মেহেদী হাসান মিরাজ আর তাইজুল ইসলামের ঘূর্ণি। তাতে অনেকটা দিশেহারা অবস্থা আফগানিস্তানের।
মিরপুরে বৃহস্পতিবার একমাত্র টেস্টের দ্বিতীয় দিনে পেসাররা দেখাতে থাকেন দাপট। শুরুর সেশনে বাংলাদেশ ২০ রান তুলতে বাকি ৫ উইকেট হারালেও আফগানদের স্বস্তি দেয়নি। চা-বিরতি পর্যন্ত ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৪ রান তুলেছে তারা। ফলোঅন এড়াতেই এখনো দরকার ৩৯ রান।
লাঞ্চের আগে পেস, বাউন্স আর মুভমেন্টে আফগানদের কোণঠাসা করে দিয়ে দাপট দেখাচ্ছিল বাংলাদেশ। ইবাদত-শরিফুল মিলে তুলে নিয়েছিলেন ৩ উইকেট।
লাঞ্চের পর পরই আসে আরেক সাফল্য। শরিফুলের আরেকটি আচমকা লাফানো বলে ব্যাট লাগিয়ে স্লিপে ক্যাচ দেন আফগান অধিনায়ক হাসমতুল্লাহ শহিদি। চতুর্থ স্লিপে লাফিয়ে ক্যাচ হাতে জমান মিরাজ। এরপর একটি জুটি হয়ে যায়। পঞ্চম উইকেটে প্রতিরোধ গড়েন আফসার জাজাই আর নাসির জামাল।
তবে স্বস্তিতে ছিলেন না তারা, প্রায়ই এজড হয়ে বল যাচ্ছিল ফিল্ডারদের কাছ ঘেঁষে। বৃত্তের ভেতর ফিল্ডার বেশি থাকায় বেরিয়ে যায় কিছু বাউন্ডারি। ইবাদত, শরিফুলের মত অতটা ছন্দে ছিলেন না তাসকিন। তার আলগা বল থেকেও রান আনতে থাকে আফগানরা।
মিরপুরের উইকেটের জন্য বিরল দৃশ্যের জন্ম দিয়ে ১৮ ওভারের পর স্পিনারদের আক্রমণে আনে বাংলাদেশ। মিরাজ বল হাতে নেন ২১ ওভারের। নিজের দ্বিতীয় ওভারেই ব্রেক থ্রো আনেন তিনি। ভেতরে ঢোকা বলে নাসিরকে এলবিডব্লিউ করে সাফল্য পান বাংলাদেশের অফ স্পিনার। এতে ভেঙে যায় ৭৩ বলে ৬৫ রানের জুটি। নাসিরের বিদায়ে হাল ছেড়ে দেন আফসারও। ইবাদতের পরের ওভারে পুল করতে গিয়ে পুরো ব্যাটে নিতে পারেননি। টপ এজড হওয়া ক্যাচ ডিপ স্কয়ার লেগে সহজেই হাতে জমান শরিফুল। ১১৬ রানে ৬ উইকেট হারায় আফগানরা।
খানিক পর আবার আঘাত হানেন ইবাদত। এবার তার কোমরের উপরের বল নামাতে গিয়ে শর্ট লেগে সহজ ক্যাচে থামেন হামজা হোটাক। দুই ওভার পর ইয়ামিন আহমেদজাইকে তুলে নেন তাইজুল ইসলাম। ম্যাচের যা অবস্থা তাতে বাংলাদেশের বড় লিড পাওয়া প্রায় নিশ্চিত। প্রতিপক্ষকে ফলোঅন করায় কিনা নাকি নিজেরা আবার ব্যাট করতে নামে সেটাই বড় প্রশ্ন।
Comments