শান্ত বাজে বল ছাড়ে না: মুমিনুল

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

সংস্করণ যেটাই হোক, রান পাচ্ছেন ধারাবাহিকভাবে। সেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকেই শুরু। সে ধারায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে জোড়া সেঞ্চুরি। অথচ জাতীয় দলে যোগ দেওয়ার পর থেকে কতো সংগ্রামই না করতে তাকে। বছর খানেক আগেও তাকে নিয়ে কতো ট্রল। সেই সময়গুলো পার করে বাংলাদেশ দলের সবচেয়ে ধারাবাহিক পারফর্মারই এখন নাজমুল হোসেন শান্ত। তার এই পরিবর্তনের ব্যাখ্যাটা দারুণভাবেই করেছেন সতীর্থ মুমিনুল হক।

মুমিনুলের সঙ্গে দারুণ কিছু মিলও রয়েছে শান্তর। মাঝের এই সময়টা তার মতো সংগ্রাম করেছেন মুমিনুলও। সবশেষ যে ম্যাচে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন মুমিনুল, সেই ম্যাচেই টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি পান শান্ত। এরপর দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে সংগ্রাম শেষে আফগানিস্তানের বিপক্ষে আবার সেঞ্চুরির দেখা পেলেন দুই ব্যাটারই। আর টেস্টের দুই ইনিংসে সেঞ্চুরি পাওয়া বাংলাদেশের ব্যাটারও এখন তারা দুজন।

আফগানদের বিপক্ষে দুই ইনিংসেই ওয়ানডে স্টাইলে সেঞ্চুরি আদায় করেন শান্ত। মূলত বাজে বলে ছাড় না দেওয়ার মানসিকতার কারণেই এই ব্যাটিং বলে মনে করেন মুমিনুল, 'শান্তর ইনিংস দেখলে মনে হয় কি যে খেলাটা অনেক সহজ। নিজেরও মনে হয় ওভাবেই খেলি। কিন্তু আমি যে ধরনের ব্যাটসম্যান আমার ওভাবে খেলা কঠিন। শান্ত-লিটন দুজনের খেলা দেখতেই অনেক ভালো লাগে। একটা জিনিস যেটা ভালো, শান্ত খারাপ বলটা ছাড়ে না খারাপ বলটা বাউন্ডারি করে। শান্ত দুই ইনিংসে এই গরমে যেভাবে খেলছে, দুইটা একশ অনেক বড় অর্জন।'

তবে সব ছাপিয়ে আলোচনা সেই বাজে সময় নিয়ে। যার মধ্য দিয়ে গিয়েছেন মুমিনুলও। তার ভাষায়, 'আমি নিজে এটা ফেস করছি, এটা টেরেবল। যার মধ্যে দিয়ে যায় সেই বোঝে, আমার সময় মনে হয়েছে পুরো দুনিয়া এক দিকে আমি পুরো শেষ। যার হয় সে ছাড়া কেউ বোঝে না, এর মধ্যে যতই আসতে চেষ্টা করেন এটা অসম্ভব। ওই সময় একটা কাজ করতে পারেন শুধু প্রসেস ঠিক রাখতে পারেন, বাকিটা আল্লাহ যখন দেওয়ার তখন রান দিবে। আপনি যতই কামড়াকামড়ি করেন ছেঁড়াছেঁড়ি করেন কোনো কাজ হবে না।'

নিজের প্রসেসে ধরে রাখাতেই শান্ত ফিরেছেন বলে মনে করেন তিনি, 'আমার মনে শান্ত প্রসেস ঠিক রেখেছে। ওই যেই ধরণের খেলোয়াড়, ওর যে জায়গায় উন্নতি করা দরকার সে জায়গা ঠিক করেছে। জানি না সাইকোলোজিলি কিছু করেছে কি-না তবে আত্মবিশ্বাসী ছিল। নিশ্চয় কিছু না কিছু করেছে। তবে সামনাসামনি দেখে মনে হয়েছে ও ধৈর্য ধরেছে ওর যে প্রসেসটা ছিল সেটাতে। আর একেক জনের সিস্টেম একেক রকম। মুশফিক ভাইয়ের এক রকম, আমার এক রকম, তামিম ভাইয়ের এক রকম। মিরাজ। ও হয়তো ওর প্রসেসেই ছিল।'

তবে শান্তর ব্যাটিংয়ে দারুণ তৃপ্তি পেয়েছেন মুমিনুল, 'প্রথম ইনিংসে যখন একশ করছিল, দ্বিতীয় ইনিংসে… আমরা দলের সবাই চাচ্ছিলাম দুইটা একশ হোক। আমার কাছে মনে হয় দ্বিতীয় ইনিংসের চেয়েও প্রথম ইনিংসের একশ মূল্যবান কারণ ওইটাতে খেলাটার মোমেন্টামটা চেঞ্জ হয়ে যায়। এজন্য আমরা সবাই চাচ্ছিলাম একশ হোক! আলহামদুলিল্লাহ ওকে ধন্যবাদ, টিমের জন্য দুইটা একশ করে অবদান রাখার জন্য। এটা বিরাট ব্যাপার।'

Comments

The Daily Star  | English
Khaleda Zia calls for unity

‘Seize the moment to anchor democracy’

Urging people to remain united, BNP Chairperson Khaleda Zia has said the country must quickly seize the opportunity to institutionalise the democratic system.

3h ago