অ্যাশেজ ২০২৩

‘বাজবল’ বেশ ভালোভাবে সামলানোর তৃপ্তি হ্যাজেলউডের 

Josh Hazlewood

এজভাস্টনে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে অ্যাশেজের প্রথম বলেই বাউন্ডারি মেরে শুরু করেন জ্যাক ক্রলি। এই মানসিকতা দেখা যায় পুরো দিন জুড়ে। জো রুট, হ্যারি ব্রুক, জনি বেয়ারস্টোরা খেলে গেছেন আগ্রাসী ক্রিকেট। ওভারপ্রতি পাঁচের উপর রান তুলে শেষ বিকেলে আচমকা ইনিংসও ছেড়ে দেয় ইংল্যান্ড। তবে ইংল্যান্ডের ঝড়ের মাঝেও নিজেদের বেশ ভালোভাবেই খেলায় দেখছেন অজি পেসার জস হ্যাজেলউড। 

শুক্রবার অ্যাশেজের প্রথম টেস্টের প্রথম দিনে ৮ উইকেটে ৩৯৩ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে ইংল্যান্ড। জবাবে বিনা উইকেটে ১৪ রান করেছে অজিরা। 

ব্র্যান্ডন ম্যাককুলাম টেস্ট দলের কোচ আর বেন স্টোকস অধিনায়ক হওয়ার পর থেকে ইংল্যান্ড খেলছেন ভিন্ন ঘরানার ক্রিকেট। ম্যাককুলামের ডাকনামের সঙ্গে মিলিয়ে যাকে ডাকা হচ্ছে 'বাজবল'। টেস্টেও উইকেট আঁকড়ে পড়ে না থেকে উচ্চ-বিলাসী শটের পসরায় মাতছেন ইংলিশ ব্যাটাররা। 

জো রুটের মতো প্রথাগত ব্যাটার সুইচ হিট, র‍্যাম্প শট, স্কুপ খেলে পাচ্ছেন বাউন্ডারি। উইকেট পড়ে যাওয়ায় মাঝে কিছুটা প্রান্ত ধরে খেলা রুট অপরাজিত থাকেন ১৫২ বলে ১১৮ রানে। 

এর আগে ক্রলি ৭৩ বলে ৬১, বেয়ারস্টো ৭৮ বলে ৭৮, ব্র্যক ৩৭ বলে করেন ৩২। অন্য যেই এসেছেন দ্রুত রান আনার তাগিদ দেখা গেছে তাদের ভেতর। 

শেষ বিকেলে স্কোরটাকে আরও বড় করার সুযোগ না হুট করে ইনিংস ছেড়ে দেয় ইংলিশরা। দিনের খেলা শেষে ৬১ রানে ২ উইকেট নেওয়া হ্যাজেলউড বললেন তারা এতে খুব একটা অবাক হননি,  'জো যখন সেঞ্চুরি পেল এরপর কিছু শট খেলতে থাকল আমরা টের পাচ্ছিলাম এটা আসছে (ইনিংস ঘোষণা)। এভাবেই তারা ক্রিকেটটা খেলে আসছে এই সময়ে। প্রথম দিন আমি যেমন প্রত্যাশা করেছিলাম তেমন হয়েছে। উইকেট এতটা ভালো ছিল না (পেসারদের জন্য)। খুব স্লো ছিল। মুভমেন্ট বা স্যুয়িং ছিল না। ৮ উইকেটে ৩৯০ (৩৯৩ আসলে) বেশ সমান আমার মনে হয়।' 

ইংল্যান্ড দ্রুত রান আনলেও সময়মত উইকেট ফেলতে পেরেছে পেরেছে অস্ট্রেলিয়ান বোলাররা। ন্যাথান লায়ন ১৪৯ রান দিলেও তুলে নেন ৪ উইকেট। হ্যাজেলউডের মতে কোন গতিতে তারা এই রান করল তারচেয়ে বড় কথা আসলে কত রান করল,  'আপনি শেষ স্কোরটা দেখবেন। ৮ উইকেটে ৪০০ রান আসলে ৪০০ অলআউটের মতন। আমার মনে হয় ভিন্নভাবে দেখব আমরা। স্ট্রাইকরেট বা ইকোনমির দিকে না দেখে কত রান হলো আর কত উইকেট পড়ল সেটাই দেখব। আমরা যদি সহজ রাখি ব্যাপারটা তাহলে পুরো অ্যাশেজে নিজেদের মাথাটা উঁচু রাখতে পারব।' 
 

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

4h ago