রুটের যে কথা শুনে বাল্যবন্ধু বেয়ারস্টো তাকে ‘ঘৃণা’ করবেন

ছবি: এএফপি

জো রুট ও জনি বেয়ারস্টোর বেড়ে ওঠা একসঙ্গেই। ইয়র্কশায়ারের এই দুজন ক্রিকেটার বয়সভিত্তিক পর্যায় থেকেই সতীর্থ ছিলেন। ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক রুট এবার জানালেন, তার মুখ থেকে একটা কথা শুনলে বেয়ারস্টো তাকে ঘৃণা করবেন। কী সেই কথা? গত বছরের অ্যাশেজে হয়েছিল বিতর্কিত একটি স্টাম্পিংয়ের ঘটনা। রুটের মতে, তখন বেয়ারস্টো ক্রিজ ছেড়ে বের না হলেই পারতেন।

২০২৩ সালের অ্যাশেজের দ্বিতীয় টেস্টের ঘটনা সেটি। ক্যামেরন গ্রিনের বাউন্সার ছেড়ে দিয়ে পরক্ষণেই ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে পড়েন বেয়ারস্টো। পেছনে থাকা উইকেটরক্ষক অ্যালেক্স ক্যারি বল ধরেই ছুঁড়ে মারেন স্টাম্পের দিকে। স্টাম্পে বল লাগার দৃশ্য দেখে বাইরে থাকা বেয়ারস্টোর চোখেমুখে অবিশ্বাস খেলা করতে থাকে তখন। কিন্তু আম্পায়ার জানিয়ে দেন আউট। অস্ট্রেলিয়ার এমন স্টাম্পিং করার ঘটনায় উত্তাল হয়ে পড়েছিল লর্ডস স্টেডিয়াম। ইংল্যান্ডের সাবেক ক্রিকেটার ওয়েন মরগ্যান পরে বলেছিলেন, এমন উত্তেজিত লর্ডস তিনি কখনোই দেখেননি।

সম্প্রতি ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) ২০২৩ অ্যাশেজ নিয়ে একটি ডকুমেন্টারি প্রকাশ করেছে। সেখানে বেয়ারস্টোর ওই স্টাম্পিং নিয়ে রুট জানান তার মতামত, 'দিনশেষে এটা খেলার আইনের মধ্যে পড়ে। আপনাকে একজন খেলোয়াড় হিসেবে সতর্ক থাকতে হবে। জনি (বেয়ারস্টো) আমার এই কথা শুনে হয়তো ঘৃণা করবে আমাকে, কিন্তু আপনি যদি আপনার ক্রিজে থাকেন, আপনাকে আউট দেওয়া যায় না, নাকি?'

এমন সুযোগ পেলে হয়তো স্টাম্পিংয়ের সুযোগ রুট নিজেও নিতেন। এমনটা জানান সাদা পোশাকে ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক, 'প্রথমে আমি বেশ রাগান্বিত ছিলাম। আমার মনে হয়, আপনি যখন খেলায় জড়িয়ে থাকেন, নিজেকে অন্য অবস্থানে দেখতে পারাটা ভীষণ কঠিন হয়ে পড়ে। তো আমি বলতে চাইব যে, ওই ঘটনা হয়তো ভিন্নভাবে সামলাতাম, কিন্তু আমিও খুব সহজেই একই জিনিস করতে পারতাম।'

ডকুমেন্টারিতে বেয়ারস্টোকে নিয়ে তার আরেক সতীর্থ মঈন আলি বলেন, 'আমি সব সময় অনুভব করেছি, জনি (বেয়ারস্টো) ক্রিজ ছেড়ে বেশ আগে বেরিয়ে যায়। সে বল ছেড়ে দেওয়ার পরই সোজা হাঁটতে শুরু করে। আর আমার সব সময় মনে হয়েছে, সে আগেভাগে ক্রিজ ছেড়ে যায়।'

গত বছর অনুষ্ঠিত অ্যাশেজের দ্বিতীয় টেস্টে ৩৭১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করছিল ইংল্যান্ড। দলীয় ১৯৩ রানে ৫২তম ওভারের শেষ বলে স্টাম্পিংয়ের শিকার হন বেয়ারস্টো। ব্যক্তিগত ১০ রানে তার গুরুত্বপূর্ণ উইকেট হারায় ইংলিশরা। অস্ট্রেলিয়ার করা স্টাম্পিংটি এরপর তোলপাড় শুরু করে দিয়েছিল।

লর্ডসের লংরুমে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারদের সঙ্গে অসদাচারণের জেরে সেসময় নিষেধাজ্ঞাও পেয়েছিলেন এমসিসির কয়েকজন সদস্য। ক্যারির স্টাম্পিংয়ের পক্ষে-বিপক্ষে বিতর্ক হয়েছে এরপর অজস্রবার। দুই দেশের ক্রিকেটাররাও জড়িয়েছিলেন উত্তপ্ত বাকবিতণ্ডায়। অ্যাশেজের ইতিহাসেরই অন্যতম বিতর্কিত ও আলোচিত ঘটনা হয়ে পড়েছে সেটি। চলতি জুলাইয়ে প্রকাশিত ডকুমেন্টারিতে যদিও বেয়ারস্টো এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।

Comments

The Daily Star  | English
Hilsa fish production in Bangladesh

Hilsa: From full nets to lighter hauls

This year, fishermen have been returning with lesser catches and bigger losses.

14h ago