জাতীয় নির্বাচনের পরপরই বিপিএল আয়োজন করতে চায় বিসিবি

Ismail Haider Mallick

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন কবে হবে তার উপর নির্ভর করছে বিপিএলের সময়সূচী। তবে প্রাথমিকভাবে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে জাতীয় নির্বাচন ধরে এরপরই বিপিএল শুরু করার ভাবনা নিয়ে এগুচ্ছে বিসিবি।

এমনিতে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে শুরু হওয়ার কথা বিপিএলের নতুন আসর। তবে জাতীয় নির্বাচনের দিন-তারিখ ঠিক না হওয়ায় এই ব্যাপারে দোলাচলে ছিল বিসিবি।

নিরাপত্তা ও আনুষঙ্গিক আরও কিছু বিষয় মাথায় নিয়ে নির্বাচনের সময় থেকে বিপিএলকে আলাদা করার চিন্তা আগেই ছিল। এক্ষেত্রে হয় নির্বাচনের আগে না হয় নির্বাচনের পর বিপিএল আয়োজন করতে পারত বিসিবি। কিন্তু নির্বাচনের আগে বাংলাদেশ দলের আন্তর্জাতিক সিরিজ থাকায় বিপিএল এগিয়ে আনা যাচ্ছে না।

শনিবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিপিএল নিয়ে এক অনানুষ্ঠানিক সভা করেন টুনার্মেন্টের গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক।  পরে গণমাধ্যমকে তিনি জানান বিপিএল শুরুর একটা সম্ভাব্য তারিখ,  'এই বছর জাতীয় নির্বাচন আছে। নির্বাচনের চূড়ান্ত তারিখ এখনো ঘোষণা করেনি। বিপিএল কবে শুরু করতে পারি সেই আলোচনা আমাদের একটি বোর্ড মিটিংয়ে হয়েছে। সেখানে আমাদের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে, জাতীয় নির্বাচনের পরপরই আমরা বিপিএল করবো। জাতীয় নির্বাচন জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে শোনা যাচ্ছে পত্রপত্রিকায়। সেক্ষেত্রে আমরা ১০ তারিখ বা এর আগে-পরে একটা সুইটেবল ডেট দেখে বিপিএল শুরু করবো। জানুয়ারিতে শুরু করে আবার ফেব্রুয়ারিতেই শেষ করতে হবে। কারণ শ্রীলঙ্কা সিরিজ আছে।'

জাতীয় নির্বাচন ১০ তারিখের পরে হলে বিপিএল নিয়ে নতুন বিপাকে পড়বে বিসিবি। কারণ ফেব্রুয়ারিতেই আছে শ্রীলঙ্কা সফর। অন্তত এক মাস সময় না পেলে বিপিএল আয়োজন করা কঠিন। তবে মল্লিক জানালেন তারা বিভিন্ন মাধ্যমে খবর নিয়ে জেনেছেন, জাতীয় নির্বাচন জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই অনুষ্ঠিত হবে।

জানুয়ারির মাঝামাঝি বিপিএল শুরু হলেও প্লেয়ার্স ড্রাফট হয়ে যাবে সেপ্টেম্বরে, 'প্লেয়ার্স ড্রাফটা চেষ্টা করবো সেপ্টেম্বরের থার্ড বা শেষ সপ্তাহে করে ফেলতে যেন প্রত্যেকে দল গোছাতে পর্যাপ্ত সময় পায়।'

বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অস্থিরতার আঁচ বেশ কিছুদিন ধরে দেশেও লেগেছে। ডলার সংকটের কথা শোনা যাচ্ছে বারবার। এর জের বিপিএলেও পড়ার বাস্তবতা দেখেন মল্লিক, 'আগামী দুই বছরই বিপিএল আয়োজন করা খুব চ্যালেঞ্জিং হবে। তবে আমরা চ্যালেঞ্জ সামলাতে প্রস্তুতি নিচ্ছি।'

Comments

The Daily Star  | English
10-bed ICU

Life-saving care hampered in 25 govt hospitals

Intensive Care Units at 25 public hospitals across the country have remained non-functional or partially operational over the last few months largely due to a manpower crisis, depriving many critically ill patients of life-saving care.

9h ago