প্রস্তুতি ঘাটতি আর নিবেদন নিয়ে প্রশ্ন তুললেন হোপ

shai hope

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ছাড়াই এবার প্রথমবারের মতন হবে বিশ্বকাপ। বিশ্বজুড়ে ক্যারিবিয়ান সমর্থকদের কাছে ব্যাপারটা বড় ধাক্কার হলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক শেই হোপ বলছেন, এমন হওয়ারই কথা ছিল। তারা যে প্রস্তুতি নিয়ে বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব খেলতে গেছেন তা নিয়ে সেরা দল হওয়া যা না। সেই সঙ্গে ফিল্ডিংয়ে দলের ক্রিকেটারদের নিবেদন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

শনিবার হারারেতে বাছাইপর্বের সুপার সিক্সের ম্যাচে স্কটল্যান্ডের কাছে ৭ উইকেটে হেরে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তাতে নিশ্চিত হয়ে যায় তাদের বিশ্বকাপ না খেলা। গ্রুপ পর্বেই জিম্বাবুয়ে  ও নেদারল্যান্ডসের কাছে হেরে নিজেদের শঙ্কায় ফেলেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সুপার সিক্সে বদলাতে পারেনি নিয়তি।

এবার বাছাইপর্ব খেলতে যাওয়ার আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতে গিয়ে স্বাগতিকদের বিপক্ষে একটি ওয়ানডে সিরিজ খেলে ক্যারিবিয়ানরা। সেই সিরিজে ছিলেন না দলের প্রথম একাদশের অন্তত ৬ জন। মরুর দেশে দুর্বল প্রতিপক্ষের বিপক্ষে সিরিজ খেলে জিম্বাবুয়ের কন্ডিশনের প্রস্তুতি হয়নি। 

বোর্ড কর্তাদের দিকে ইঙ্গিত করে তাই প্রস্তুতির ঘাটতির কথা বললেন হোপ,  'প্রস্তুতি ভালো হওয়া দরকার ছিল। একদম শুরু থেকে।  আমরা কোন এক সকালে ঘুম থেকে উঠেই সেরা দল হয়ে যেতে পারি না। অনেক ব্যাপার আছে যেখানে নজর দেওয়া দরকার ছিল। আমরা যা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি সেটাই আমাদের নিয়ন্ত্রণ করা দরকার। আমরা ক্রিকেট খেলি, আমাদের ওয়েস্ট ইন্ডিজের ভক্তদের জন্য সেরাটা দেওয়া নিশ্চিত করতে হবে।'

বাছাইপর্বের ৫ ম্যাচে ১০টি ক্যাচ হাতছাড়া করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফিল্ডাররা। এমনকি স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে সুপার সিক্সের ম্যাচেও পড়েছে ক্যাচ। ক্যাচ ফসকানোর পাশাপাশি গ্রাউন্ড ফিল্ডিং হয়েছে বাজে। ক্যারিবিয়ানদের শরীরী ভাষায় ছিল না ঝাঁজ। ফিল্ডিং নিয়ে তাই নিবেদনের প্রশ্ন তুলেছেন হোপ,  'ফিল্ডিং হচ্ছে একটা তাড়নার ব্যাপার। কি ঘটছে সেই অনুযায়ী চেষ্টা দরকার ছিল। আমি মনে করি না প্রতিটা সময়ে আমরা শতভাগ দিতে পেরেছি।'

'ক্যাচ ফসকে যাবে, মিসফিল্ডিং হবে। এটা খেলারই অংশ। কিন্তু আমার মনে হয়েছে আমরা শতভাগ চেষ্টাও করিনি সব সময়।'

প্রতিভার ঘাটতি কোন কালেই ছিল না ওয়েস্ট ইন্ডিজে। তবে খামখেয়ালি নষ্ট করেছে তাদের ক্রিকেট সিষ্টেম। সহযোগী সদস্য দেশের সঙ্গে হেরে বিশ্বকাপ স্বপ্ন শেষ হয়ে যাওয়াকে এখন বাস্তবতা মেনে শিখতে চান হোপ, 'প্রতিভা আছে সন্দেহ নেই। কিন্তু ধারাবাহিক পারফরম্যান্স দরকার। তারা ভালো খেলেছে। কৃতিত্ব তাদেরকে দিতে হবে। তাদের কাছ থেকে আমরা শিখতে পারি।;

Comments

The Daily Star  | English
10-bed ICU

Life-saving care hampered in 25 govt hospitals

Intensive Care Units at 25 public hospitals across the country have remained non-functional or partially operational over the last few months largely due to a manpower crisis, depriving many critically ill patients of life-saving care.

8h ago