সিনিয়র ব্যাটারদের দায় দেখছেন নাহিদাও

অধিনায়ক নিগার সুলতানা ছাড়া ব্যর্থ বাকি সবার ব্যাট। তাতে আবারও কাঠগড়ায় সেই ব্যাটাররাই।

অসাধারণ বোলিং। তার সঙ্গে দুর্দান্ত ফিল্ডিং। তাতে ভারতের পুঁজিটা আটকে গেল একশর আগেই। কিন্তু সে লক্ষ্যও তাড়া করে জয় এনে দিতে পারলেন না ব্যাটাররা। এক নিগার সুলতানা ছাড়া ব্যর্থ বাকি সবার ব্যাট। তাতে আবারও কাঠগড়ায় সেই ব্যাটাররাই।

সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও ব্যর্থ ছিল ব্যাটারদের ব্যাট। সে হারের জন্য অধিনায়ক নিগার কাঠগড়ায় তুলেছেন সিনিয়র ব্যাটারদের। আজকের হারের পরও অধিনায়কের সুরেই কথা বললেন দলের অন্যতম সিনিয়র খেলোয়াড় নাহিদা আক্তার। প্রথম পাঁচ ব্যাটারকে আরও দায়িত্বশীল হতে বললেন তিনি।

মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার ভারতের কাছে ৮ রানে হারে বাংলাদেশ। ভারতের দেওয়া ৯৬ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ৫ উইকেটে ৮৭ রান তুলেছিল বাংলাদেশ। এরপর শেষ পাঁচ উইকেট হারিয়ে ৮ বল মোকাবেলা করে যোগ করতে পেরেছে স্রেফ ১ রান।

এদিন বাংলাদেশকে ম্যাচে রেখেছিলেন কেবল নিগারই। তার ব্যাট থেকে আসে সর্বোচ্চ ৩৮ রান। এছাড়া আর কোনো ব্যাটারই পারেননি দুই অঙ্ক স্পর্শ করতে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান এসেছে অতিরিক্তর খাত থেকে। বাড়তি ১৮ রান দিয়েছেন ভারতীয়রা।  

ম্যাচ শেষে সিনিয়রদের কাঠগড়ায় তুলে নাহিদা বললেন, 'আমার মনে হয় না স্কিলে ঘাটতি আছে। আমরা যথেষ্ট প্র্যাকটিস করতেছি। আমাদের কোচ যথেষ্ট ব্যাটারদের নিয়ে কাজ করতেছে। আমার মনে হয় ওই জায়গাটাই আমাদের অভিজ্ঞতা বা এক্সপেরিয়েন্সটা একটু কাজে লাগানো উচিত। যারা আমাদের সিনিয়র ব্যাটাররা আছে। যারা টপ ফাইভে ব্যাটিং করছে। ওই জায়গাটাই আমাদের ল্যাকিংস আছে।'

মাঝের ওভারগুলোতে সিনিয়র ব্যাটাররা পর্যাপ্ত রান করতে পারছেন না বলেই ভুগতে হচ্ছে বলে জানান নাহিদা, 'আমাদের ল্যাকিংসটা বললাম, টপ ফাইভ। ১১-১৫ আমরা একটু স্লো খেলে ফেলছি। আমরা যদি এই জায়গাটা একটু ইম্প্রুভ করতে পারি ব্যাটাররা, ওই জায়গাটাই সিঙ্গেলটা ক্যারি করতে পারি আমার মনে হয় নেক্সট ব্যাটারদের রান করা ইজি হয়ে যাচ্ছে। না হলে পরের ব্যাটারদের উপর প্রেশারটা বেড়ে যায়।'

তবে খেলোয়াড়দের ফিটনেসেও ঘাটতির কথা স্বীকার করলেন নাহিদা, 'টু বি অনেস্ট আমাদের ফিটনেস একটু দুর্বল ইন্ডিয়ার থেকে। আমরা চেষ্টা করতেছি, আমাদের ফিটনেসটা ডেভেলপ করার জন্য। বিদেশ থেকে আমাদের ট্রেনার নিয়ে আসা হয়েছে, আমরা আমাদের সিরিজ শেষে নেক্সট যে ক্যাম্পটা হবে ফিটনেসে বেশি ফোকাস দিবো।'

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

10h ago